চাকরির বয়সসীমা ৩২ না হলে অনশনের হুমকি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১২ জুন ২০২১, ১৪:৩৮ | প্রকাশিত : ১২ জুন ২০২১, ১৪:০২

করোনাকালে শিক্ষার্থীরা সেশনজটে পিছিয়ে পড়ার কারণে চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা স্থায়ীভাবে ৩২ বছর করার দাবি জানানো হয়েছে। এ দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন আন্দোলনকারীরা। শিক্ষার্থীরা জানান, তাদের দাবি না মানলে অহিংস আন্দোলন বা অনশনের মতো কর্মসূচিতে যাবেন আন্দোলনরত চাকরিপ্রত্যাশীরা।

শনিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তারা এ কথা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে আন্দোলনরত চাকরিপ্রত্যাশীরা বলেন, আমাদের দাবি নিয়ে সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে দেখা করার আকুতি জানিয়েছি। এখানেও দুইদিন সংবাদ সম্মেলন করেছি। মানববন্ধন করেছি, সংসদ অধিবেশনের দ্বিতীয় দিনে সংসদ প্রাঙ্গণে এ দাবি জানিয়ে মৌন সমাবেশ করেছি। তারপরও সংশ্লিষ্ট কর্তাব্যক্তিদের কাছে থেকে কোনো উত্তর পাইনি। ওনাদের উপলব্ধি করা উচিত।

তারা বলেন, আগামী ৭ থেকে ১০ দিন অপেক্ষা করব। এরপর যদি এ বিষয়ে কোনো সাড়া না পাওয়া যায়, তাহলে আন্দোলনে যাওয়া ছাড়া বিকল্প থাকবে না। ছেলেমেয়েরা ২৬ বছর বয়সে শিক্ষাজীবন শেষ করে করোনা শুরুর সময় থেকে আশায় বসে আছে চাকরির পরীক্ষায় অবতীর্ণ হবে। তারাও এই দেড় বছর হারাতে চলেছে। ১৯৯১ সালে শেষবার সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা ২৭ থেকে বাড়িয়ে ৩০ করা হয়। তখন মানুষের গড় আয়ু ছিল ৫৭ বছর। এই ৩০ বছরে গড় আয়ু ১৬ বছর বৃদ্ধি পেয়ে ৭৩ হলেও বৃদ্ধি পায়নি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা।

সংবাদ সম্মেলনে আন্দোলনরত চাকরিপ্রত্যাশীরা জানান, করোনাকালে চাকরির বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পরিমাণ ৮৭ থেকে কমে ১৩ শতাংশে নেমে এসেছে। বেকারত্বের হার ২০ থেকে ৩৫ শতাংশে উঠে এসেছে। করোনাকালীন ক্ষতিগ্রস্ত দেড় লাখ চাকরিপ্রত্যাশী। এই হার আরও বাড়বে বলেও তারা জানান।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন চাকরিপ্রত্যাশী যুব প্রজন্মের পক্ষে তানভির হোসেন, সাজিদ সেতু, আনোয়ার সাকিন, অক্ষয় রায়, সুমনা রহমান, মারজিয়া সুলতানা, আব্দুল্লাহ মামুন, সাদেকুল ইসলাম, ডালিয়া আহমেদ, মানিক রিপন, আব্দুল্লাহ নোমান, শারমিন পরি, আয়েশা আমির, আকাইদ আকন্দসহ অনেকে।

(ঢাকাটাইমস/ ১২জুন/আরকে/কেআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :