কোম্পানীগঞ্জে হরতালে গাড়ি ভাঙচুর, পুলিশের মামলা

প্রকাশ | ১৩ জুন ২০২১, ১৬:৪৩

নোয়াখালী প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ওপর হামলার প্রতিবাদে আওয়ামী লীগের একাংশের ঢাকা ৪৮ ঘণ্টার হরতাল চলছে। এদিকে টেকের বাজার এলাকায় পুলিশের কাজে বাধা ও হামলার ঘটনায় ১৩ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত ১০০-১৫০ জনকে আসামি করে মামলা করেছে পুলিশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপজেলায় অতিরিক্ত পুলিশ ও র‌্যাব মোতায়েন করা হয়েছে।

রবিবার ভোর ৬টার দিকে বসুরহাট নতুন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় চট্টগ্রামের উদ্দেশ্যে ছেড়ে যাওয়া বসুরহাট এক্সপ্রেসের একটি বাস ভাঙচুর করে পিকেটাররা। এসময় আহত হয় গাড়ির চালক, সুপারভাইজার ও হেলপার।

এদিকে সকাল থেকে উপজেলার চরএলাহী, বাংলা বাজার, চরফকিরা, চাপরাশিরহাট, মুছাপুর ও বসুরহাটের বিভিন্ন সড়কে গাছের গুড়ি, ইট ও টায়ারে আগুন দিয়ে সড়ক অবরোধ করে পিকেটিং করে বাদল সমর্থকরা। উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে পুলিশ, গোয়েন্দা পুলিশ ও র‌্যাব অবস্থান নিয়েছে। র‌্যাব, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা সড়কগুলোতে টহল দিচ্ছে এবং সড়কে ফেলে রাখা গাছেরগুড়িসহ প্রতিবন্ধকতা তুলে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক করছে।

কোম্পানীগঞ্জ থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) আবুল কালাম আজাদ জানান, শনিবার দুপুরে টেকের বাজার এলাকায় পুলিশের ওপর হামলা চালিয়ে চারজন পুলিশ সদস্যকে আহত করেছে বিক্ষোভকারারী। এ ঘটনায় কোম্পানীগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক নিজাম উদ্দিন বাদী হয়ে ১৩ জনের নাম উল্লেখ ও অজ্ঞাত আরও ১০০ থেকে ১৫০ জনকে আসামি করে একটি মামলা করেছেন। বর্তমানে উপজেলার পরিস্থিতি স্বাভাবিক ও পুলিশের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।

এর আগে শনিবার সকাল ৯টার দিকে বসুরহাট বাজারে প্রধান সড়কের ইসলামী ব্যাংকের সামনে মেয়র আবদুল কাদের মির্জার সমর্থকরা প্রতিপক্ষ সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদলের ওপর হামলা চালিয়ে তাকে জখম করে। ঘটনার প্রতিবাদে উপজেলা আওয়ামী লীগের মুখপাত্র মাহবুব রশিদ মঞ্জু ৪৮ ঘণ্টার হরতালের ডাক এবং বিভিন্নস্থানে সড়ক অবরোধ করে বাদলের সমর্থকরা।

দুপুরে টেকের বাজারে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করার সময় পুলিশ বাধা দেয়। এতে পুলিশের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আন্দোলনকারীদের ইটের আঘাতে চারজন পুলিশ আহত হয়। পরে আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ৩৩টি ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে তাদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে উপজেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফখরুল ইসলাম সবুজ (৫৫) ও তার ছেলে তরিকুল ইসলাম চয়ন (১৮)সহ তিনজন গুলিবিদ্ধসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়।

(ঢাকাটাইমস/১৩জুন/কেএম)