আশুলিয়ায় লাখি আক্তার হত্যায় গ্রেপ্তার ৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৩ জুন ২০২১, ১৭:৪০

ঢাকার আশুলিয়া থানার সুবন্দী এলাকায় অজ্ঞাত লাশের পরিচয় শনাক্ত করেছে র‌্যাব-১। তার নাম লাখি আক্তার। হত্যার ঘটনায় জড়িত মূলহোতাসহ তিনজনকে গ্রেপ্তারও করেছে পুলিশের এই এলিট ফোর্সটি।

গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- মো. জুয়েল, মো. রফিক এবং মো. বাচ্চু মিয়া। গতকাল শনিবার র‌্যাব-১ এর একটি দল গাজীপুর মহানগর পুলিশের (জিএমপি) কাশিমপুর থানার মাটি মসজিদ গ্রামের রাসেলের বাড়িতে অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে।

রবিবার দুপুরে র‌্যাব-১ এর জ্যেষ্ঠ সহকারী পুলিশ সুপার মো. মোর্শেদুল হাসান স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ৮ জুন মঙ্গলবার দিবাগত রাতে ঢাকা জেলার আশুলিয়া থানার সুবন্দী এলাকায় একটি অজ্ঞাত নারীর লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। র‌্যাব নিহতের পরিচয় শনাক্ত করে। নিহত লাখি আক্তার ঢাকার সাভার থানার গোয়াইলবাড়ি গ্রামের মজিবর রহমানের মেয়ে।

এ ঘটনায় নিহত লাখির বাবা মজিবর রহমান বাদী হয়ে আশুলিয়া থানায় একটি মামলা করেন। র‌্যাব-১ এই চাঞ্চল্যকর হত্যাকাণ্ডের গোয়েন্দা নজরদারিসহ ছায়া তদন্ত শুরু করে। গতকাল শনিবার র‌্যাব-১ এর একটি দল কাশিমপুর থানার মাটি মসজিদ গ্রামের রাসেলের বাড়িতে অভিযান চালায়। অভিযানে মো. জুয়েল, মো. রফিক এবং মো. বাচ্চু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়। গ্রেপ্তারকৃতরা জিজ্ঞাসাবাদে নিহত লাখি আক্তারকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

গ্রেপ্তারকৃতদের বরাত দিয়ে র‌্যাব জানায়, গ্রেপ্তারকৃত মো. জুয়েল নিহত লাখি আক্তারের প্রথম স্বামী। জুয়েল একজন মাদকসেবী এবং চুরি, ছিনতাইসহ বিভিন্ন ধরনের অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত ছিল। এছাড়াও তিনি বিভিন্ন সময় লাখির উপর শারীরিক নির্যাতন করত। চার বছর পূর্বে লাখি ও জুয়েলের বিচ্ছেদ হয়। বিবাহ বিচ্ছেদের পরও জুয়েল লাখির বাসায় গিয়ে তাকে আবারও স্ত্রী হিসেবে নিতে চায়। কিন্তু পরিবারের কেউ লাখির সঙ্গে জুয়েলের আবার বিয়ে দিতে রাজি হয়নি। এতে জুয়েল ক্ষিপ্ত হয়ে লাখিকে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।

র‌্যাবের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২ মে এক সিঙ্গাপুর প্রবাসীর সঙ্গে লাখির বিয়ে হয়। বিয়ের কথা জানতে পেরে জুয়েল তার উপর ক্ষিপ্ত হয়। তিনি লাখিকে তার দ্বিতীয় স্বামীর সঙ্গে সংসার করতে দেবে না বলে জানায়। এরপর গত ৮ মে জুয়েল বাচ্চু মিয়ার প্ররোচণায় লাখি আক্তারকে কৌশলে আশুলিয়া থানার সুবন্দী এলাকার তাদের বাড়ির উত্তর পার্শ্বে কাঠের বাগানে নিয়ে যায়। পরে তাকে পূর্ব পরিকল্পিতভাবে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

ঢাকাটাইমস/১৩জুন/এএ/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :