গাইবান্ধা সদর থানার ওসির বদলি

গাইবান্ধা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহফুজার রহমানকে বদলি করা হয়েছে। তবে এটা শাস্তিমূলক বদলি কিনা, তা নিয়ে আন্দোলনকারীদের মধ্যে গুঞ্জন চলছে।

১০ জুন পুলিশ সদর দপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক (এআইজি) মোহাম্মদ আশরাফুজ্জামান স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এই আদেশ জারি করা হয়।

রবিবার সন্ধ্যায় জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ তৌহিদুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, ‘জনস্বার্থে’ গাইবান্ধা সদর থানার ওসিকে বদলি করে রংপুর রেঞ্জে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এদিকে গাইবান্ধায় জুতা ব্যবসায়ী হাসান হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র সদর থানা পুলিশের দায়িত্বহীনতা নিয়ে দীর্ঘদিন থেকে আন্দোলন করে আসছিল বিভিন্ন সামাজিক ও রাজনৈতিক সংগঠন। সর্বশেষ ‘হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চ’র উদ্যোগে হাসান আলী হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও সদর থানার ওসির অপসারণসহ চার দফা দাবি বাস্তবায়নে পালিত হয় হরতাল।

এ ব্যাপারে 'হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চ’র সমন্বয়কারী আমিনুল ইসলাম গোলাপ বলেন, ওসির বদলি কোন সমাধান না। তাকে আইনের আওতায় এনে শাস্তির দাবি জানাচ্ছি। এছাড়াও হাসান হত্যার সাথে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি না হওয়া পর্যন্ত আমাদের এ আন্দোলন চলমান থাকবে'।

রবিবার সন্ধ্যায় জেলা সিপিবি কার্যালয়ে হাসান হত্যার প্রতিবাদ মঞ্চের এক জরুরি সভায়ও এমন দাবি করা হয়।

মঞ্চের ভারপ্রাপ্ত সমন্বয়ক মিহির ঘোষের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় উপস্থিত ছিলেন- গোলাম মারুফ মনা, ওয়াজিউর রহমান রাফেল, মনজুর আলম মিঠু, সিরাজুল ইসলাম বাবু, প্রণব চৌধুরী , কাজী আবু রাহেন শফিউল্যাহ খোকন, মৃণাল কান্তি বর্মন, ছাদেকুল ইসলাম প্রমুখ।

প্রসঙ্গত, গাইবান্ধার ব্যবসায়ী হাসান আলীকে অপহরণ করে বাড়িতে টানা এক মাস পাঁচ দিন আটক রাখেন দাদন ব্যবসায়ী জেলা আ.লীগের বহিষ্কৃত নেতা মাসুদ রানা। পরে হাসানের স্ত্রী তার স্বামীকে উদ্ধারের জন্য সদর থানায় অভিযোগ করলেও পুলিশ তাকে উদ্ধার না করে উল্টো মাসুদ রানার কাছেই হাসানকে তুলে দেন।

পরবর্তীতে গত ১০ এপ্রিল মাসুদ রানার বাড়ি থেকে হাসানের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় হাসানের স্ত্রী সদর থানায় মাসুদ রানাসহ তিনজনকে আসামি করে হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর মাসুদ রানাকে পুলিশ আটক করলেও অপর দুই আসামি এখনো পলাতক রয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৩জুন/এলএ)