কথিত স্বামীর বিষাক্ত ইনজেকশনে ‘যৌনকর্মীর’ মৃত্যুর অভিযোগ
প্রকাশ | ১৪ জুন ২০২১, ১১:৫৮ | আপডেট: ১৪ জুন ২০২১, ১২:০৮
বিষাক্ত ইনজেশন দিয়ে রাজবাড়ীর দৌলতদিয়ায় এক যৌনকর্মীকে (২৬) হত্যার অভিযোগ উঠেছে তার কথিত স্বামী রাশেদ খানের বিরুদ্ধে। রবিবার দুপুর ২টার দিকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মৃত্যু হয় তার।
তার বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর উপজেলায়।
ঘটনার পর রাশেদ ওই যৌনকর্মীর ঘর থেকে মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়েছে বলেও অভিযোগ পাওয়া গেছে। পাবনা সদর থানার শনিরদিয়া ভবানীপুর গ্রামে রাশেদের বাড়ি।
জানা গেছে, নিহত নারী দীর্ঘদিন ধরে দৌলতদিয়া যৌনপল্লীতে থাকেন। তার কাছে আসা-যাওয়া করতেন রাশেদ খান। এক পর্যায়ে রাশেদের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে বিভিন্ন সময় রাশেদ তার উপার্জিত টাকা হাতিয়ে নেয়। কিছুদিন আগেও রাশেদকে নগদ তিন লাখ টাকা দিয়েছেন ওই নারী। এরপর রাশেদ তাকে কাবিন রেজিস্ট্রি করে বিয়েও করে বলে জানা গেছে। কিন্তু তিনি চাইতেন তার স্ত্রী যৌনপেশা চালিয়েই অর্থ উপার্জন করুক। আর ওই যৌনকর্মী চাইতেন এ পেশা বাদ দিয়ে স্বাভাবিক জীবনে ফিরতে। এ নিয়ে তাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি হয়।
ওই যৌনকর্মীকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া একাধিক ব্যক্তি তার বরাত দিয়ে জানান, গত রবিবার ভোরে রাশেদ ওই নারীকে বলে, তোমার শরীর দুর্বল, একটি স্যালাইন দিলে ঠিক হয়ে যাবে। এরপর রাশেদ নিজেই তার গায়ে স্যালাইন পুশ করে। কিছুক্ষণের মধ্যে তার শরীরে জ্বালাপোড়া শুরু হয়। এসময় রাশেদ ওই নারীর ব্যবহার করা মোবাইল ফোনসহ ঘরে থাকা মূল্যবান জিনিসপত্র নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে স্থানীয়রা আহত যৌনকর্মীকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সে ভর্তি করে। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে চিকিৎসক ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুপুর ২টার দিকে তার মৃত্যু হয়।
স্বাস্থ্যকমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার নিতাই চন্দ্র জানান, ওই রোগীর শরীরে বিষাক্ত ইনজেশন পুশ করা হয়েছে। ক্রমেই তার অবস্থা গুরুতর হওয়ায় তাকে দ্রুত ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করেন তারা।
গোয়ালন্দ ঘাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল্লাহ আল তায়াবীর জানান, দৌলতদিয়া যৌনপল্লীর এক বাসিন্দার মৃত্যুর খবর শুনেছেন তিনি। ঘটনাস্থলে পুলিশের টিম পাঠানো হয়েছে।
(ঢাকাটাইমস/১৪জুন/পিএল)