দিনাজপুর সদর উপজেলা মঙ্গলবার থেকে লকডাউন

করোনা সংক্রমণ ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পাওয়ায় দিনাজপুর সদর উপজেলায় আগামী মঙ্গলবার সকাল থেকে এক সপ্তাহের কঠোর লকডাউন ঘোষণা করেছে দিনাজপুর জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটি।

রবিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা থেকে রাত সাড়ে ১০টা পর্যন্ত দিনাজপুর জেলা প্রশাসক সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত দিনাজপুর জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির জরুরি সভায় সর্বসম্মতিক্রমে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

সিদ্ধান্ত হয়, ১৫ জুন সকাল ৬টা থেকে আগামী ২১ জুন লকডাউন চলাকালে দিনাজপুর সদর উপজেলার কোনো মানুষ প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের হতে পারবে না। মোটরসাইকেল, ইজিবাইক, কার-মাইক্রোবাসসহ সকল প্রকার যানবাহন চলাচল বন্ধ থাকবে, ওষুধ ও অত্যাবশ্যকীয় পণ্য ছাড়া সদর উপজেলার সকল দোকানপাট বন্ধ থাকবে।

দিনাজপুর জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও দিনাজপুর জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকিরের সভাপতিত্বে সভায় ভার্চুয়ালি যোগ দেন জাতীয় সংসদের হুইপ ইকবালুর রহিম, দিনাজপুর জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ বিষয়ক সমন্বয়কারী ধর্ম মন্ত্রণালয়ের সচিব নুরুল ইসলাম, দিনাজপুরের পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন, দিনাজপুর জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সদস্য সচিব দিনাজপুরের সিভিল সার্জন আব্দুল কুদ্দুছ, দিনাজপুর জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আজিজুল ইমাম চৌধুরী, দিনাজপুর প্রেসক্লাবের সভাপতি স্বরূপ বক্সী বাচ্চু, দিনাজপুর পৌরসভার মেয়র সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, দিনাজপুর শিল্প ও বণিক সমিতির সভাপতি সুজাউর রব চৌধুরী, বিএমএ দিনাজপুরের সাধারণ সম্পাদক বিকে বোস, দিনাজপুর এম. আব্দুর রহিম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. শামীমা, দিনাজপুর মোটর পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক সাহেদ রিয়াজ চৌধুরী পিম, দিনাজপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ফারুকুজ্জামান চৌধুরী মাইকেল, দিনাজপুর সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ইমদাদ সরকার, দিনাজপুর দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক জহির শাহসহ অন্যরা।

এসময় হুইপ ইকবালুর রহিম বলেন, এর আগে গত ৬ জুন অনুষ্ঠিত দিনাজপুর জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ কমিটির সভায় জীবন ও জীবিকার কথা ভেবে লকডাউনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি। কিন্তু দিনাজপুর সদর উপজেলায় সংক্রমণের হার ৭৫ শতাংশে পৌঁছেছে। এই অবস্থায় দিনাজপুর সদর উপজেলাকে এক সপ্তাহের লকডাউন ছাড়া কোনো উপায় নেই। এই লকডাউন কঠোরভাবে পালন করার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

দিনাজপুর জেলা করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ বিষয়ক সমন্বয়কারী ড. নুরুল ইসলাম বলেন, যেহেতু ভারতের ভ্যারিয়েন্ট বাংলাদেশের সীমান্ত এলাকায় প্রবেশ করেছে, সেহেতু এখন আমাদের সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে হবে। যদিও লকডাউন একটি সাডেন সিস্টেম, এটা দীর্ঘস্থায়ী করা সম্ভব নয়। তাই করোনা সংক্রমণ রোধে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে সকলকে সচেতন হওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।

(ঢাকাটাইমস/১৪জুন/পিএল)