ধর্ষণের ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার করে প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের দাবি

রূপগঞ্জ (নারায়ণগঞ্জ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৪ জুন ২০২১, ১৭:৩৪ | প্রকাশিত : ১৪ জুন ২০২১, ১৬:৫৯

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গৃহবধূকে ধর্ষণের অভিযোগে ‘মিথ্যা মামলা’ প্রত্যাহার ও প্রকৃত ঘটনা উন্মোচনের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্যরা। সোমবার দুপুরে উপজেলার মুড়াপাড়া মঠেরঘাট এলাকায় রূপগঞ্জ প্রেসক্লাব কার্যালয়ে এ সংবাদ সম্মেলন করেন তারা। সংবাদ সম্মেলনে বক্তব্য দেন মামলায় গ্রেপ্তার হওয়া ভুক্তভোগী মামুন ও রাকিবুরের বাবা আব্দুল হক ও মা মাজেদা বেগম এবং মামুনের স্ত্রী বিপাশা বেগম।

ভুক্তভোগীদের পরিবারের লোকজন দাবি করেন, দুই বছর আগে আবুল হোসেন আমিরের সঙ্গে উপজেলার মুড়পাড়া ইউনিয়নের মীরকুটিরছেও এলাকার নেহা আক্তারের বিয়ে হয়। বিয়ের পর আবুল হোসেন আমির তার স্ত্রী নেহা আক্তারকে রেখে প্রবাসে চলে যান। বিয়ের পর গৃহবধূ নেহা আক্তার বিভিন্ন মানুষের সঙ্গে পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়েন।

নেহা আক্তারের সঙ্গে ভারতীয় এক যুবকের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। গত ৮ জুন নেহা আক্তার শ্বশুর বাড়ি থেকে নগদ টাকা ও স্বর্ণালংকার নিয়ে ভারতীয় ওই ছেলের কাছে যাওয়ার জন্য পালিয়ে যায়। পরে নেহার ভাসুর মামুন ও দেবর রাকিবুল ইসলামসহ পরিবারের অন্যান্য লোকজন পুলিশের সহযোগিতায় নেহা আক্তারকে ফিরিয়ে নিয়ে আসে।

নেহার পরিবারের লোকজন পারিবারিকভাবে বিষয়টি মীমাংসা করার আশ্বাস দিয়ে আবুল হোসেনের বড় ভাই মামুন মিয়া ও ছোট ভাই রাকিবুল ইসলামসহ পরিবারের সব সদস্যদেরকে মীরকুটিরছেঁও এলাকায় নেহা আক্তারের বাড়িতে ডাকে। গত শুক্রবার বিকালে মামুন মিয়া ও দেবর রাকিবুল ইসলাম গৃহবধূর বাবার বাড়িতে গেলে পুলিশ তাদের ধর্ষণের অভিযোগ এনে গ্রেপ্তার করে নিয়ে যায়। পরিবারের সদস্যরা মামুন মিয়া ও রাকিবুল ইসলামের বিরুদ্ধে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারসহ তদন্ত করে প্রকৃত রহস্য উন্মোচনের দাবি জানান।

এর আগে, গত শুক্রবার (১২ জুন) রাতে ধর্ষণের অভিযোগ এনে গৃহবধূ নেহা তার ভাসুর ও দেবরকে আসামি করে ধর্ষণের অভিযোগে রূপগঞ্জ থানায় একটি মামলা করেন। পরে রাতেই পুলিশ মামুন মিয়া ও দেবর রাকিবুল ইসলামকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

রূপগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এএফএম সায়েদ জানান, গৃহবধূ নেতা তার ভাসুর মামুন মিয়া ও দেবর রাকিবুল ইসলামকে আসামি করে ধর্ষণের অভিযোগ এনে রূপগঞ্জ থানায় মামলা করেন। মামলার পর বাদীর ভাসুর ও দেবরকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৪জুন/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :