ঢাকায় পৃথক ছুরিকাঘাতে নারীসহ আহত ৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৫ জুন ২০২১, ১১:২৯ | প্রকাশিত : ১৫ জুন ২০২১, ১১:০২

রাজধানীর মোহাম্মদপুর এবং ভাষানটেক এলাকায় পৃথক ছুরিকাঘাতে এক নারীসহ চারজন আহত হয়েছেন। তারা হলেন- শফিকুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই জাকির হোসেন এবং সিএনজি চালক আঙ্গুর ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তার।

সোমবার রাত নয়টা থেকে সাড়ে নয়টার মধ্যে এসব ছুরিকাঘাতের ঘটনা ঘটে। আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল এবং জাতীয় হৃদরোগ ইনিস্টিটিউটে ভর্তি করা হয়েছে। এসব ঘটনায় আট থেকে নয়জনকে আটক করেছে পুলিশ। তবে এখনও কোনো মামলা হয়নি।

দুটি ছুরিকাঘাতের একটি ঘটনা ঘটেছে রাজধানীর মোহাম্মদপুরে। সেখানে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন ইন্টারনেট ব্যবসায়ী শফিকুল ইসলাম ও তার ছোট ভাই জাকির হোসেন।

আহত শফিকুল ও তার ছোট ভাই জাকির মোহাম্মদপুরের বসিলা স্বপ্নধারা হাউজিংয়ে বসবাস করতেন।

শফিকুল ইসলামের বড় ভাই এরশাদুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, সোমবার রাত নয়টার দিকে শফিকুল ও জাকির স্বপ্নধারা হাউজিংয়ে তাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সামনে দাঁড়িয়েছিলেন। এ সময় সাব্বির ও দিলাসহ ৩০ থেকে ৪০ জন তাদের ছুরিকাঘাত করেন। পরে তাদের হাসপাতালে নেয়া হয়। কী কারণে ছুরিকাঘাত করা হয়েছে সে ব্যাপারে কিছু জানাতে পারেননি তিনি। আহত শফিকুল ইসলামের দুই হাতে এবং পেটে আর জাকিরের কাঁধে এবং পিঠে আঘাতের চিহ্ন পাওয়া গেছে। প্রথমে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়ার পর শফিকুলকে জাতীয় হৃদরোগ ইনিস্টিটিউট হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। আর জাকিরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।

মোহাম্মদপুর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) সজিব ঢাকাটাইমসকে বলেন, রাতে মারামারির খবর পেয়ে আমরা দুজনকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে আসি। তবে কী কারণে এই ঘটনা ঘটেছে সেটা এখনও জানতে পারিনি। আমরা এ ঘটনায় পাঁচ থেকে ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করেছি। যাচাই-বাছাই চলছে। এ ঘটনায় কোন মামলা করা হয়নি বলেও তিনি জানান।

অপরদিকে রাজধানীর ভাষানটেক এলাকায় পাওনা টাকা আনতে গিয়ে ছুরিকাঘাতে আহত হয়েছেন সিএনজি চালক আঙ্গুর ও তার স্ত্রী শারমিন আক্তার। আহত আঙ্গুর তার স্ত্রীকে নিয়ে ভাষানটেকের বিআরবি এলাকায় থাকতেন।

আহত আঙ্গুরের ছোট ভাই আবুল বাশার ঢাকাটাইমসকে বলেন, আমার ভাই ও ভাবি গতকাল সোমবার রাত সাড়ে নয়টার দিকে তার খালা শ্বাশুড়ির টেকপাড়ার বাসায় কিস্তির টাকা আনতে যান। পরে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে খালা শাশুড়ির ছেলেরা তাদের ছুরিকাঘাত করে। এতে আঙ্গুরের পিঠে ও পেটে এবং শারমিনের কপালে এবং পিঠে আঘাতপ্রাপ্ত হয়। খবর পেয়ে তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেয়া হয়।

ভাষানটেক থানার ডিউটি অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) সাইফুল ইসলাম ঢাকাটাইমসকে বলেন, এ ঘটনায় আমরা তিনজনকে আটক করে থানায় এনেছি। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি।

ঢাকাটাইমস/১৫জুন/এএ/এমআর

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :