পরীমনিকে ডিবি কার্যালয়ে ডেকেছে পুলিশ

প্রকাশ | ১৫ জুন ২০২১, ১৫:১৯ | আপডেট: ১৫ জুন ২০২১, ১৫:৩৩

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ধর্ষণচেষ্টা ও হত্যাচেষ্টার অভিযোগে দেশজুড়ে আলোচনায় থাকা ঢাকাই সিনেমার অভিনেত্রী পরীমনিকে রাজধানীর মিন্টো রোডের গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের কার্যালয়ে ডাকা হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুরে পরীমনিকে ডাকা হয়েছে বলে এই অভিনেত্রী নিজেই গণমাধ্যমকে জানিয়েছেন। বিকাল ৪টা নাগাদ পরীমনি ডিবি কার্যালয়ে যাবেন।

ডিবির গুলশান বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মশিউর রহমান পরীমনিকে ডিবিতে ডাকার বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, মামলার বাদী হিসেবে পরীমনিকে ডাকা হয়েছে। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা তার বক্তব্য শুনবেন। এছাড়া মামলার আসামিদের জিজ্ঞাসাবাদ করে যে তথ্য পাওয়া গেছে সে বিষয় নিয়েও পরীমনির সঙ্গে কথা বলা হবে।

গত রবিবার রাতে পরীমনি তার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে ‘ধর্ষণ ও হত্যাচেষ্টার’ অভিযোগ তুললে সারাদেশে আলোড়ন সৃষ্টি হয়। প্রতিকার চেয়ে তিনি বনানী থানায় গিয়ে কোনো সাড়া পাননি বলে অভিযোগ করেন। ফেসবুক পোস্টে বিচার চেয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাহায্য কামনা করেন।

এরপর গতরাতে বনানীর বাসায় এক সংবাদ সম্মেলন করে ঘটনার বিস্তারিত তুলে ধরেন পরীমনি। তার অভিযোগ, গত বুধবার রাতে কস্টিউম ডিজাইনার জিমি ও জিমির বন্ধু অমিসহ তারা উত্তরায় বোট ক্লাবে গিয়েছিলেন। ক্লাবটা তখন বন্ধ হয় হয়। দুজন বয়স্ক ব্যক্তি এসে তাদের মদপানের আমন্ত্রণ জানায়, যাদের একজন নাসির মাহমুদ বলে পরীমনির ভাষ্য। তবে শরীর খারাপ বলে তা প্রত্যাখ্যান করেছিলেন পরীমনি।

তিনি বলেন, জোরাজুরির এক পর্যায়ে তাকে মারধর করে কিছু লোক। এক পর্যায়ে নাসির মাহমুদ তার মুখে মদের বোতল ঠেসে ধরে গিলতে বাধ্য করেন। তখন তাকে ধর্ষণের চেষ্টা চালান। বিষয়টি চেপে যাওয়ার জন্য ওই ব্যবসায়ী তাকে ভয়ভীতি প্রদর্শন করেছেন বলে অভিযোগ করেন পরীমনি।

ঘটনার পরদিন দুপুর ১২টার দিকে সাভার মডেল থানায় একটি মামলা করেন ঢাকাই চলচ্চিত্রের এই অভিনেত্রী। এতে নাসির উদ্দিন ও তার বন্ধু অমির নাম উল্লেখ করে আরও চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে।

পরীমনির করা মামলার পর ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিন মাহমুদ ও তুহিন সিদ্দিকী অমিসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ইতোমধ্যে পরীমনির করা মামলার ব্যবসায়ী নাসির উদ্দিনসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে করা মামলাটি তদন্ত করে আগামী ৮ জুলাই প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।

ঢাকাটাইমস/১৫জুন/এসএস/এমআর