করোনা পরবর্তী উপসর্গ: কী করবেন কী করবেন না

ঢাকাটাইমস ডেস্ক
| আপডেট : ১৬ জুন ২০২১, ১২:০২ | প্রকাশিত : ১৬ জুন ২০২১, ১০:৩৭

বৈশ্বিক মহামারি করোনাভাইরাসের দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। শত চেষ্টাতেও নিয়ন্ত্রণে আসছে না এই ভাইরাস। এরই মধ্যেই বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করছেন তৃতীয় ঢেউ নিয়ে। এই মারাত্মক সংক্রমণ প্রতিরোধ করাটাই এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ এটি থেকে সুস্থ হবার পরও শরীরে থেকে যায় দীর্ঘমেয়াদি নানা প্রতিক্রিয়া। কিন্তু আক্রান্ত যদি হয়েই পড়ি, তখন উপায় কী!

করোনায় আক্রান্ত যেসব রোগী আইসোলেশনে থেকে ধীরে ধীরে সুস্থ হচ্ছেন, বিশেষজ্ঞরা তাদের জন্য একটি ডায়েট প্ল্যান শেয়ার করেছেন, যা রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতে এবং তাদের দ্রুত সুস্থ হতে সহায়তা করতে পারে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, করোনায় আক্রান্তদের মধ্যে যারা সুস্থ হয়েছেন তাদের গড়ে তিন সপ্তাহ সময় লেগেছে। তবে তাদের স্থায়ী স্নায়বিক ও মানসিক সমস্যা রয়ে যেতে পারে।

এই তথ্য এখনও জোর দিয়ে দাবি করা না গেলেও সুস্থ হয়ে ঘরে ফেরাদের নিয়মিত তত্ত্বাবধানের আওতায় থাকা এবং যেকোনো উপসর্গের ওপর তীক্ষ্ণ নজর রাখা উচিত।

স্বাস্থ্যবিষয়ক একটি ওয়েবসাইটে প্রকাশিত প্রতিবেদনের আলোকে জানানো হলো করোনা থেকে সুস্থ হওয়া ব্যক্তিদের করণীয় ও বর্জণীয় বিষয়গুলো সম্পর্কে।

শরীরকে ধকল সামলানোর সময় দিতে হবে

সুস্থ হওয়া বা করোনাভাইরাস পরীক্ষার ফলাফল ‘নেগেটিভ’ আসার সঙ্গে সঙ্গেই স্বাভাবিক জীবনে ফিরে যেতে পারবেন এমনটা ভাবা বা করা কোনোটাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে না। ভাইরাসমুক্ত হওয়ার পর পুনরায় সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে শরীরকে সময় দিতে হবে।

মস্তিষ্কের অনুশীলন

যেকোনো রোগে আক্রান্ত হলেই মনযোগ দেয়ার ক্ষমতা কিছুটা হলেও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর করোনাভাইরাসের মতো নতুন রোগের আক্রান্ত একজন ব্যক্তি সুস্থ হওয়া যেন মৃত্যুকে ফাঁকি দেওয়া।

তাই মস্তিষ্ককে সচল রাখতে এবং কাজে মনযোগ ফিরিয়ে আনতে ধাঁধাঁর খেলা, স্মৃতিশক্তি বাড়ানোর অনুশীলন ইত্যাদিতে সময় দিতে হবে। মনে রাখতে হবে, বেশি চাপ প্রয়োগ না করে প্রতিদিন অল্প করে স্বাভাবিক পর্যায়ে নিয়ে আসতে হবে মস্তিষ্ককে।

শারীরিক ও মানসিক সমস্যাকে অবহেলা নয়

মাথাব্যথা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি কিছু শারীরিক কিংবা মানসিক সমস্যা থাকতে পারে সুস্থ হওয়ার পরও। এগুলোকে রোগ পরবর্তী অস্বস্তি মনে করে সহ্য করে যাওয়া ঠিক হবে না।

যত সামান্যই হোক, চিকিৎসককে তা জানান। কারণ এর মাঝেই লুকিয়ে থাকতে ভয়ংকর কোনো রোগের পূর্বাভাস।

ঠিক ওষুধ নির্ধারণ করা

যারা বিভিন্ন দীর্ঘমেয়াদি রোগে ভুগছেন এবং প্রতিদিন ওষুধ খেতে হয় এমন করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তিদের উচিত হবে সুস্থ হওয়ার পর চিকিৎসকের সঙ্গে আলাপ করে প্রতিদিনের ওষুধ ঠিক করে নেওয়া। প্রয়োজনে নতুন করে স্বাস্থ্য পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে।

আপনি ‘প্রতিরোধী’ নন

করোনা থেকে সুস্থ হওয়া শরীরে কিছুটা ‘অ্যান্টিবডি’ তৈরি হয়েছে ঠিক। তাই বলে আবার যে ভাইরাসের আক্রমণের শিকার হবেন না, তা এখন পর্যন্ত দাবি করতে পারেনি বিশেষজ্ঞরা। তাই আপনাকে ধরে নিতে হবে আবারও আক্রান্ত হওয়া সম্ভব। তাই করোনাভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকার জন্য যথাযথ স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতেই হবে।

শক্তি সঞ্চয় করুন

আরোগ্যলাভের এই পর্যায়ে ঠিক যে কাজগুলো না করলেই নয় সেগুলোতেই শুধু হাত দিন। বাকি কাজ পরে হবে। আগে বিশ্রাম নিয়ে সম্পূর্ণ সুস্থ হতে হবে। শরীরের ওপর যতটা সম্ভব কম ধকল দিতে হবে।

সাহায্য নিন

সুস্থ অবস্থায় নিজের কাজের জন্য অপরের মুখাপেক্ষী না হওয়া যেমন ভালো তেমনি অসুস্থ বা সেরে ওঠার পর্যায়ে আশপাশের মানুষের সাহায্য না নেয়াও বোকামি।

বিশেষ করে ঘরের বাইরে গিয়ে করতে হয় এমন কাজগুলো পরিবারের কাউকে দিয়ে করিয়ে নিতে পারলে খুব ভালো। ঘরে ভারী ও পরিশ্রমের কাজ করা থেকে বিরত থাকতে হবে।

ঢাকাটাইমস/১৬জুন/কেএমএস/কেআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

স্বাস্থ্য বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

স্বাস্থ্য এর সর্বশেষ

বিএসএমএমইউতে নতুন উপাচার্যকে বরণ করতে ব্যাপক প্রস্তুতি  

অ্যানেস্থেসিয়ায় হ্যালোথেন ব্যবহার বন্ধ করতে বললো স্বাস্থ্য সেবা বিভাগ, কেন এ নির্দেশ?

হার্ট অ্যাটাক ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায় বাদাম!

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে ইনসাফ বারাকাহ হাসপাতালে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্প

বিশ্ব যক্ষ্মা দিবসে জানুন সংক্রামক এ রোগের লক্ষণ ও চিকিৎসা সম্পর্কে বিস্তারিত

মৃগী রোগ সম্পর্কে কতটা জানেন? এর লক্ষণ আর চিকিৎসাই বা কী?

এক যুগ আগেই জানা যাবে আপনি মূত্রাশয়ের ক্যানসারে আক্রান্ত কি না

কীভাবে চিনবেন প্রাণঘাতী অগ্ন্যাশয়ের ক্যানসার? বাঁচতে হলে জানুন

মাথা ও ঘাড়ের ক্যানসার ধ্বংসের থেরাপি আবিষ্কার! দাবি বিশেষজ্ঞদের

সাধারণ মানুষের দোরগোড়ায় চিকিৎসাসেবা পৌঁছাতে কাজ করছি: মন্ত্রী

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :