ছয় সপ্তাহ পর ৬০ মৃত্যু, শনাক্ত প্রায় চার হাজার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৬ জুন ২০২১, ১৭:৩২ | প্রকাশিত : ১৬ জুন ২০২১, ১৭:২৮

গত কয়েকদিন ধরে দেশে করোনাভাইরাসে দৈনিক মৃত্যু ও শনাক্ত বাড়ছে। এ ধারাবাহিকতায় গত ২৪ ঘণ্টায় ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৬০ জন, যা ছয় সপ্তাহ পর সবচেয়ে বেশি। এর আগে সবশেষ গত ৪ মে একদিনে সর্বোচ্চ ৬১ জনের মৃত্যুর তথ্য জানানো হয়। এরপর মৃত্যুর সংখ্যা এতো বাড়েনি।

এদিকে একদিনে মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ার পাশাপাশি দেশে বেড়েছে করোনা শনাক্তের সংখ্যাও। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানাচ্ছে গত একদিনে শনাক্ত হয়েছেন ৩ হাজার ৯৫৬ জন, যা ৫৫ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। এর চেয়ে বেশি শনাক্ত হয়েছিল গত ২২ এপ্রিল। সেদিন ৪ হাজার ১৪ জনের করোনা শনাক্ত হয়।

বুধবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৩ হাজার ৮০৭টি নমুনা পরীক্ষায় ৩ হাজার ৯৫৬ জন শনাক্ত হন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ৮ লাখ ৩৭ হাজার ২৪৭ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৬.৬২। গতকাল ছিল ১৪.২৭ শতাংশ। সোমবার ছিল ১৪.৮০ শতাংশ। এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার ১৩.৪১ শতাংশ।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৩৬ জন ও নারী ২৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ১০ জন, ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ১৬ জন ও ষাটোর্ধ্ব ২৩ জন রয়েছেন। এ নিয়ে মোট মারা গেছেন ১৩ হাজার ২৮২ জন।

গত একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৬৭৯ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৭৩ হাজার ৭৫২ জন।

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা হয়।

এরমধ্যে গত ১৬ এপ্রিল দেশে দৈনিক মৃত্যু একশো ছাড়ায়। সেদিন ও তার পরদিন ১৭ এপ্রিল ১০১ করে মৃত্যু হয় করোনায়। ১৮ এপ্রিল ১০২ জন ও ১৯ এপ্রিল ১১২ জন মারা যান, যা একদিনে সর্বোচ্চ।

বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় প্রথমে ২১ এপ্রিল ও পরে তা বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছিল সরকার। এরপর সেটি ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১৬ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৫জুন/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

সংরক্ষিত আসনের এমপিদের মধ্যেও সংখ্যায় এগিয়ে ব্যবসায়ীরা: সুজন

মানবাধিকার ও ভোক্তা অধিকার রক্ষায় গণমাধ্যমের ভূমিকা জরুরি: ড. কামাল উদ্দিন

বঙ্গবন্ধুর আদর্শ ধারণ করে রেলকে গড়ে তুলতে হবে: রেলমন্ত্রী

ইভ্যালির রাসেল-শামিমার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা

স্বাস্থ্যমন্ত্রীর আশ্বাসে ইন্টার্ন চিকিৎসকদের কর্মবিরতি প্রত্যাহার

জিম্মি নাবিকদের মুক্তির আলোচনা অনেকদূর এগিয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী

ডিএনসিসি কার্যালয় সরানোর মধ্য দিয়ে কারওয়ান বাজার স্থানান্তরের প্রক্রিয়া শুরু 

বিএসএমএমইউ উপাচার্যের দায়িত্ব নিলেন দীন মোহাম্মদ, বললেন ‘কোনো অন্যায় আবদার শুনব না’

সাত বিভাগে ঝোড়ো হাওয়াসহ বৃষ্টি হতে পারে

বাংলাদেশে মুক্ত গণতন্ত্র বাস্তবায়নে সমর্থন অব্যাহত থাকবে: যুক্তরাষ্ট্র

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :