বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে হিমশিম খাচ্ছে দিনাজপুর প্রশাসন
করোনা সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সীমান্তবর্তী জেলা দিনাজপুর সদরে সপ্তাহব্যাপী লকডাউনের দ্বিতীয় দিন চলছে আজ। লকডাউনে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হলেও তা বাস্তবায়নে হিমশিম খাচ্ছে প্রশাসন।
জেলায় লকডাউন বাস্তবায়নে মাঠে কাজ করছে- পুলিশ, র্যাব, বিজিবিসহ স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী। তবে অভিযোগ রয়েছে, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের খামখেয়ালিপনায় ভেস্তে যাচ্ছে প্রশাসনের কঠোর বিধিনিষেধ।
গত ১৩ জুন রাতে জেলা করোনা প্রতিরোধ কমিটির বৈঠক শেষে জারিকৃত এক গণবিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জেলা প্রশাসক খালেদ মোহাম্মদ জাকী লকডাউন ঘোষণা করেছিলেন।
প্রথমদিন সকাল থেকে শহরের পাঁচটি প্রবেশমুখে পুলিশ-আনসার-বিজিবি ও র্যাব সদস্যরা তল্লাশি চৌকি বসালেও তেমন তৎপর নয় তারা। লকডাউনের নির্দেশনায় জরুরি পণ্যসেবার দোকান ছাড়া অন্য সব দোকান ও ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। তবে নিষেধ অমান্য করে বেশ কিছু ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান ও দোকানের অর্ধেক খোলা রেখে ব্যবসা চালু রয়েছে। অকারণে মানুষ বাড়ি থেকে বের হচ্ছে। এছাড়াও অনেকে মুখের মাস্ক থুতনিতে আটকে রেখে ঘুরছে।
দিনাজপুর জেলা সিভিল সার্জন ড. আব্দুল কুদ্দুস জানান, দিনাজপুরে চলতি মাসের ১৩ দিনে করোনায় ১৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ পর্যন্ত জেলায় করোনায় মৃত্যু হয়েছে ১৪৪ জনের। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনায় আক্রান্ত হয়েছে ৭৬ জন। জেলায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ছয় হাজার ৪৪৩ জন। এর মধ্যে সুস্থ হয়েছেন পাঁচ হাজার ৬৯৫ জন। বর্তমানে শনাক্তের হার ৩৮ দশমিক ৯৫ শতাংশ। বর্তমানে জেলায় করোনা রোগী রয়েছেন ৬০৪ জন। এর মধ্যে ৮৪ জন হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন। জেলায় আইসোলেশনে রয়েছে ৫৬৭ জন।
সিভিল সার্জন বলেন, গত তিন সপ্তাহ ধরে করোনা সংক্রমণ ঊর্ধ্বমুখী। বিশেষ করে দিনাজপুর সদর উপজেলায় সংক্রমণ অস্বাভাবিকভাবে বাড়ছে।
(ঢাকাটাইমস/১৬জুন/পিএল)