আইনজীবী যুথি ও তার মেয়েকে দুই কোটি ক্ষতিপূরণ দিতে ইত্তেহাদকে নির্দেশ
দশ বছর আগে আবুধাবির বিমানবন্দরে হয়রানি শিকার হওয়া আইনজীবী যুথি ও তার মেয়ে তানজিন বৃষ্টিকে দুই কোটি টাকা ক্ষতিপূরণ দিতে ইত্তেহাদ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। রায়ের অনুলিপি প্রকাশের পরবর্তী মাস হতে ২০ কিস্তিতে এ অর্থ পরিশোধ করতে বলা হয়েছে।
বুধবার বিচারপতি মো. আশরাফুল কামাল ও বিচারপতি রাজিক-আল-জলিলের বেঞ্চ ১৯২ পৃষ্ঠার রায়ে এসব নির্দেশনা দেন।
রিটকারীর আইনজীবী মনজিল মোরসেদ রায় প্রকাশের বিষয়টি ঢাকা টাইমস নিশ্চিত করেছেন।
একইসঙ্গে রায়ে নারী যাত্রীদের সঙ্গে অধিকতর সতর্কতার সঙ্গে সম্মানজনক আচরণ করতে ইত্তেহাদ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেন উচ্চ আদালত।
রায়ে ইংল্যান্ডের একটি ও বাংলাদেশের লিবার্টি ফ্যাশনের রায়ের নীতি বিবেচনায় এ ক্ষতিপূরণের রায় প্রদান করা হয়েছে বলে আদালত উল্লেখ করেন। রায়ে আদালত বলেন, দুজন নারীকে আবুধাবি এয়ারপোর্টে যে ধরনের হয়রানি ও নির্যাতন করা হয়েছে, তা অর্থদণ্ড দিয়ে পরিমাপ করা যায় না।
আদালত রায়ে ‘নেগলিজেন্স গেস টর্ট’ আইনের ভিত্তিতে ক্ষতিপূরণের রায় প্রদানের বিষয়টি উল্লেখ করেন। এ ছাড়া আদালত ইত্তেহাদ এয়ারলাইন্সকে ভবিষ্যতের জন্য সতর্ক করেন যেন জেন্ডার বা শরীরের রং বিবেচনায় ভবিষ্যতে কোনো যাত্রীর সঙ্গে এ রকম আচরণ করা না হয়।
ইত্তেহাদের কান্ট্রি ম্যনেজারের পক্ষে ছিলেন আজমালুল হোসেন কিউসি ও মো. আজিজ উল্লাহ ইমন।
যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশের সহধর্মিনি অ্যাডভোকেট নাহিদ সুলতানা যুথি ও তার মেয়েকে ২০১১ সালের ২৮ জুন আবুধাবি এয়ারপোর্টে হয়রানির ঘটনা ঘটে। এর পর ইত্তেহাদ এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে একটি রিট করেন বাংলাদেশি যাত্রী তানজিন বৃষ্টি। রিটে বিবাদীরা হলেন পররাষ্ট্র সচিব, সিভিল এভিয়েশন সচিব ও চেয়ারম্যান, এয়ারপোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, ইত্তেহাদের অপারেশন ম্যানেজার, কান্ট্রি ম্যানেজারসহ সাত জন।
ওই রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে ওই বছরের ১৪ জুলাই হাইকোর্ট রুল জারি করেন।
(ঢাকাটাইমস/১৬ জুন/এআইএম/ইএস)