সাতক্ষীরায় করোনা সংক্রমণ বেড়েই চলছে, ঢিলেঢালা লকডাউন

প্রকাশ | ১৬ জুন ২০২১, ১৯:৪৫

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

সাতক্ষীরায় করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করছে। গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার উপসর্গ নিয়ে আরো চারজন মারা গেছেন। এর মধ্যে তিনজন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ও একজন বেসরকারি হাসপাতালে (ন্যাশনাল হাসপাতালে)। এছাড়া জেলায় ১৮৮ জনের করোনা পরীক্ষা শেষে ১০০ জন পজিটিভ শনাক্ত হয়েছে। যা সংক্রমণের হার ৫৩ শতাংশ।
এদিকে, জেলা শহর ও গ্রাম অঞ্চলে ঘরে ঘরে সর্দি, কাশি, জ¦র ও শ^াসকষ্ট নিয়ে ভুগছেন অধিকাংশ মানুষ। জেলার একমাত্র করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ১৫০টি বেড থাকলেও সেখানে ভারাসটিতে আক্রান্ত ও উপসর্গ নিয়ে ভর্তি রয়েছেন ১৬৫ জন। বেড না পেয়ে অনেকেই সেখান থেকে অন্যত্র গিয়ে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এদিকে, চলমান লকডাউনে তেমন কোন সফলতা না পাওয়ায় করোনা সংক্রমণ প্রতিরোধ না হয়ে আরো বৃদ্ধি পেয়েছে বলে মনে করেন সুশীল সমাজ।
গত ৫ জুন থেকে চলমান দুই সপ্তাহব্যাপী লকডাউনে নানা অজুহাতে মানুষ শহরমুখী হচ্ছে। হাটে-বাজারে, এমনকি হাসপাতাল-ক্লিনিকে কেউই সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখছেন না। করোনা আক্রান্ত ব্যক্তির পরিবারের লোকজনও স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করায় কোনভাবেই সংক্রমণ প্রতিরোধ হচ্ছে না। লকডাউনের মধ্যে এভাবে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পেতে থাকলে এক হাজার বেডের করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতাল করা হলেও রোগীর জায়গা দেয়া যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন মেডিকেল কলেজের একজন চিকিৎসক। এমনিতেই রোগীদের চাপ সামাল দিতে হিমসিম খাচ্ছেন ডাক্তার, নার্স ও স্বাস্থ্য কর্মীরা।
দেড়শ’ বেড থেকে ১৬৫ বেডে উন্নীত করে করোনা রোগী ভর্তি করা হয়েছে উল্লেখ করে করোনা ডেডিকেটেড হাসপাতালের তত্ত্বাবধায়ক ডা. কুদরত-ই-খুদা জানান, রোগীর চাপ থাকলেও ২০০ বেডের বেশি উন্নীত করা যাবে না।
সিভিল সার্জন হুসাইন শাফায়ত জানান, জেলায় করোনা উপসর্গ নিয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় চারজন মারা গেছেন। ভাইরাসটির উপসর্গ নিয়ে এ পর্যন্ত মারা গেল মোট ২৫২ জন। আর করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন মোট ৫৫ জন। জেলায় এ পর্যন্ত দুই হাজার ৬১১ জন করোনা পজিটিভ শনাক্ত হলো। আর বর্তমানে ৪৮ জন পজিটিভ রোগীসহ ২৯১ জন করোনা উপসর্গ নিয়ে বিভিন্ন হাসপাতাল ও ক্লিনিকে ভর্তি রয়েছেন।
(ঢাকাটাইমস/১৬জুন/এলএ)