গোপালগঞ্জ প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের অবরুদ্ধ ভিসি সাত ঘণ্টা পর মুক্ত

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৬ জুন ২০২১, ২০:৫৪

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) উপাচার্য ও রেজিস্ট্রারের কক্ষ অবরুদ্ধ করে আন্দোলন চালান মাস্টাররুলে নিয়োগ পাওয়া কর্মচারীরা। সাত ঘণ্টা পরে মুক্তি পান উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব। বুধবার বিকাল সাড়ে ৫টায় চাকরি স্থায়ীকরণের দাবিতে আন্দোলনরত মাস্টাররোলের কর্মচারীরা উপাচার্যের কার্যালয়ের তালা খুলে দিলে তিনিসহ ভেতরে আটকে থাকা কর্মকর্তারা বেরিয়ে আসেন।

সকাল সাড়ে ১০টায় উপাচার্যের দপ্তরে তালা দিয়ে ভেতরে অবস্থান করে আন্দোলন করতে থাকেন অস্থায়ী কর্মচারীরা। এসময় উপাচার্য, রেজিস্ট্রারসহ অনেকে ভেতরে আটকা পড়েন।

আন্দোলনকারী কর্মচারীরা জানান, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার স্বাক্ষরিত একটি চিঠির মাধ্যমে ইউজিসির নিকট ১৩২টি কর্মচারীর পদ সৃষ্টির জন্য আবেদন করা হয়েছে। এসব পদে মাস্টাররোল কর্মচারীদের নিয়োগ দেওয়া হবে। এমন আশ্বাসেরভিত্তিতে আমরা উপাচার্য দপ্তরের তালা খুলে দিয়েছি।

গোপালগঞ্জ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. একিউএম মাহবুব বলেন, সাবেক উপাচার্য এ সমস্যা সৃষ্টি করে গেছেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু লোককে কাজ দিয়েছেন। তাদের কোনো নিয়োগ বা অফিস আদেশ নেই। দৈনিক মজুরিভিত্তিতে কিছু টাকা তিনি তাদের দিতেন। আমি যোগদানের পর এদের মধ্য থেকে যারা হতদরিদ্র তাদের দৈনিক মজুরিভিত্তিতে কিছু টাকা দিয়েছি। এত লোক আমাদের এখানে প্রয়োজন নেই। আমরা কীভাবে তাদের কাজে লাগাব।

তিনি আরও বলেন, আন্দোলনকারীরা মনে করেছেন জুন মাসে বিশ্ববিদ্যালয়ে কিছু নিয়োগ আসতে পারে। তাই তারা নিয়োগ পাওয়ার জন্য এ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন। এখানে যদি কোনো লোক প্রয়োজন হয়, তা আমরা স্বচ্ছতার সঙ্গে বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে জানিয়ে নিয়োগ প্রক্রিয়ায় যাব।

(ঢাকাটাইমস/১৬জুন/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :