আগারগাঁয়ে গৃহবধূর ‘আত্মহত্যা’: স্বামীর একদিনের রিমান্ড

প্রকাশ | ১৬ জুন ২০২১, ২১:০৫

আদালত প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

রাজধানীর আগারগাঁয়ে সংসদ সচিবালয় কোয়ার্টারে নুসরাত জাহান নামে এক গৃহবধূর মৃত্যুর ঘটনায় দায়ের করা আত্মহত্যার প্ররোচনার মামলায় স্বামী মিল্লাত মামুনের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

 

বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম মামুনুর রশীদ এ রিমান্ডের আদেশ দেন।

 

আজ মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার উপপরিদর্শক জামিল হোসাইন আসামিকে আদালতে হাজির করে সাত দিনের রিমান্ড আবেদন করেন।

 

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, মিল্লাত মামুন ভিকটিম নুসরাত জাহানকে মারধর করে মানসিক নির্যাতনসহ বিভিন্ন অবজ্ঞাজনক কথা বলেন। এ কারণে নুসরাত অপমানবোধ করে আত্মঘাতী হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে তাদের বিয়ের হলফনামার ফটোকপি, দুই পৃষ্ঠায় নুসরাতের লেখা সুইসাইড নোট এবং তাদের একটি ছবি উদ্ধার করা হয়। নুসরাত জাহান সুইসাইড নোটে মৃত্যুর জন্য তার স্বামী দায়ী বলে উল্লেখ করেন। প্রাথমিক তদন্তে আসামির বিরুদ্ধে মামলার অভিযোগ প্রাথমিকভাবে প্রমাণিত হয়েছে বলে আদালতকে জানান তদন্ত কর্মকর্তা।

 

উপপরিদর্শক জামিল হোসাইন আদালতকে আরও বলেন, মামলার তদন্ত চলছে। পুলিশ হেফাজতে থাকাকালে অভিযুক্ত স্বামীকে ঘটনার বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি ঘটনার প্রকৃত তথ্য না দিয়ে অসংলগ্ন কথাবার্তা বলেন। প্রকৃত রহস্য উদঘাটনের জন্য তার সাত দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা প্রয়োজন।

 

আসামির পক্ষে অ্যাডভোকেট পীযূষ কান্তি রায় রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত মিল্লাত মামুনের এক দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

 

নুসরাতের মৃত্যুর ঘটনায় তার বাবা রত্ম কান্তি রোয়াজা গত ১২ জুন শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি দায়ের করেন। এরপর গতকাল মঙ্গলবার সকালে রাজধানীর কল্যাণপুর এলাকা থেকে র‌্যাব-২ এর একটি দল মিল্লাত মামুনকে গ্রেপ্তার করে।

 

মামলায় অভিযোগ করা হয়, মামুন মিল্লাত নিজেকে বিসিএস ক্যাডার পরিচয় দিয়ে নুসরাত জাহানকে ২০১৯ সালে ফুঁসলিয়ে বিয়ে করে ধর্মান্তরিত করেন। বিয়ের কিছুদিন পর থেকে মিল্লাত নুসরাতকে শারীরিক, মানসিক আঘাত ও নির্যাতন করতেন, যা নুসরাত তার বাবাকে জানান। মিল্লাত জুয়া, নেশা এবং বিভিন্ন পরকীয়ায় আসক্ত ছিলেন। গত ১২ জুন সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে নুসরাত তার বাবাকে ফোন দিয়ে জানান, মিল্লাত তাকে শারীরিক নির্যাতনসহ অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করেছেন। তাকে বাসা ছেড়ে চলে যেতে বলেছেন। না গেলে মেরে ফেলবেন বলে হুমকি দিচ্ছেন। ওইদিন বেলা দেড়টার দিকে পুলিশ রত্ম কান্তি রোয়াজাকে নুসরাতের মৃতদেহ উদ্ধারের কথা জানায়।


(ঢাকাটাইমস/১৬জুন/আরজেড/এএ/ইএস)