ওরিয়ন ফার্মার টিকা উৎপাদনে মন্ত্রণালয়ের ইতিবাচক সাড়া

প্রকাশ | ১৭ জুন ২০২১, ১৩:১৫ | আপডেট: ১৭ জুন ২০২১, ১৩:২৮

অর্থনৈতিক প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

পুঁজিবাজারের তালিকাভুক্ত ঔষধ এবং রসায়ন খাতের কোম্পানি ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটেডের রাশিয়ার স্পুতনিক-৫ উৎপাদন করার আবেদনকে ইতিবাচক হিসেবে নিয়েছে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ। স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ ওরিয়ন ফার্মার প্রস্তাবটি বিবেচনা করে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য চিঠিও পাঠিয়েছে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর বরাবর।

গত ৩০ মে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের উপসচিব ডা. মো. শিব্বির আহমেদ ওসমানী স্বাক্ষরিত একটি চিঠি অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। চিঠিতে বলা হয়েছে, ওরিয়ন ফার্মা লিমিটেড এক কোটি ডোজ টিকা রাশিয়া থেকে আমদানি ও তাদের নতুন প্রতিষ্ঠিত সর্বাধুনিক কারখানায় শুধু কভিড-১৯ প্রতিরোধী টিকা উৎপাদনের প্রস্তাব দিয়েছে। ওরিয়ন ফার্মার প্রস্তাবটি কভিড-১৯ মহামারী মোকাবেলায় জরুরি ভিত্তিতে দেশের সব জনগণকে টিকাদানের আওতায় আনতে সরকারের প্রচেষ্টার সঙ্গে অত্যন্ত সামঞ্জস্যপূর্ণ। যেহেতু কভিড অতিমারী খুব সহজে এবং কয়েক মাসের মধ্যে চলে যাবে বলে মনে হয় না, তাই এ টিকা স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করতে পারলে দেশের ও দশের মঙ্গল হবে বলে আশা করা যায়। এ অবস্থায় ওরিয়ন ফার্মার বিষয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পাঠানো ডিও পত্রসহ বিষয়টি বিবেচনা করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরকে নির্দেশ দিয়েছে স্বাস্থসেবা বিভাগ।

রাশিয়া বাংলাদেশে টিকা রফতানির পাশাপাশি প্রযুক্তি হস্তান্তরের মাধ্যমে স্থানীয়ভাবে উৎপাদনের বিষয়েও আগ্রহ দেখিয়েছে। এ বিষয়ে বর্তমানে দুই দেশের সরকারের মধ্যে আলোচনা চলছে। দেশে টিকা উৎপাদনের সক্ষমতার বিষয়টি যাচাই করতে সরকারের পক্ষ থেকে স্থানীয়ভাবে টিকা উৎপাদনে সক্ষম প্রতিষ্ঠানগুলোর মান যাচাইয়ে একটি কারিগরি কমিটি গঠন করা হয়। সে সময় কমিটির কাছে দেশের তিনটি ওষুধ কোম্পানি ইনসেপ্টা ফার্মাসিউটিক্যালস, পপুলার ফার্মাসিউটিক্যালস ও হেলথকেয়ার ফার্মাসিউটিক্যালসের কারখানায় কভিড-১৯-এর টিকা উৎপাদনের সক্ষমতা রয়েছে বলে জানানো হয়।

গত মাসের ২ তারিখে ওরিয়ন ফার্মাসিউটিক্যালস রাশিয়ার টিকা দেশে আমদানি ও উৎপাদনের বিষয়ে তাদের আগ্রহের বিষয়টি ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তর ও স্বাস্থ্যসেবা বিভাগকে জানায়। এর পরিপ্রেক্ষিতে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগ কোম্পানির প্রস্তাবটি বিবেচনার সুপারিশ করেছে। এখন পর্যন্ত দেশে অক্সফোর্ড-অ্যাস্ট্রাজেনেকা, ফাইজার, স্পুতনিক-৫, সিনোফার্ম, সিনোভ্যাক, জনসন অ্যান্ড জনসনের করোনার টিকা জরুরি ব্যবহারের অনুমোদন দিয়েছে সরকার।

ওরিয়ন ফার্মা ২০১৩ সালে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত হয়েছে। বর্তমানে কোম্পানিটির অনুমোদিত মূলধন ৫০০ কোটি টাকা। পরিশোধিত মূলধন ২৩৪ কোটি টাকা। রিজার্ভে রয়েছে ৭৫৫ কোটি ২২ লাখ টাকা। কোম্পানিটির মোট শেয়ার সংখ্যা ২৩ কোটি ৪০ লাখ। এর মধ্যে ৩১ দশমিক ৯৮ শতাংশ উদ্যোক্তা পরিচালক, ৪১ দশমিক ২৪ শতাংশ প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারী, ১ দশমিক ১৮ শতাংশ বিদেশী বিনিয়োগকারী ও বাকি ২৫ দশমিক ৬০ শতাংশ শেয়ার সাধারণ বিনিয়োগকারীদের হাতে রয়েছে। সর্বশেষ ২০১৯-২০ হিসাব বছরে কোম্পানিটির ৬৬ কোটি টাকা কর-পরববর্তী নিট মুনাফা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৭জুন/এসআই)