ভালুকায় ধর্ষণ মামলার আসামি গ্রেপ্তার

প্রকাশ | ১৭ জুন ২০২১, ১৮:৪৪

ভালুকা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

ময়মনসিংহের ভালুকায় ধর্ষণ মামলার একজন আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে তাকে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে। অভিযুক্ত সিদ্দিকুর রহমান স্থানীয় একটি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, ফুলপুর উপজেলার পূর্ব বাখাই গ্রামের রুহুল আমিনের বড় ছেলে বর্তমানে ভালুকা উপজেলার উথুরা ইউনিয়নের ধলিকুড়ি গ্রামের উলুমুল কোরআন আদর্শ মাদরাসায় কর্মরত প্রিন্সিপাল মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান। তার সঙ্গে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে মেদুয়ারী ইউনিয়নের বনকোয়া গ্রামের এক মেয়ের।

ঘটনার সূত্রপাত আট-নয় মাস আগে। মেয়েটি অসুস্থ হলে তাকে কবিরাজি চিকিৎসার জন্য মাদরাসার শিক্ষক সিদ্দিকুর রহমানের কাছে নিয়ে আসা হয়। তারপর থেকেই তাদের মাঝে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। কিছুদিন পর সিদ্দিকুর রহমান মেয়েটিকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণ করেন বলে অভিযোগ উঠেছে।  

ধর্ষণের অভিযোগকারী তরুণী বলেন, ‘গত রোজার তিন-চার দিন আগে মাওলানা সিদ্দিকুর রহমান তার বোনের সঙ্গে আমাকে পরিচয় করিয়ে দেয়ার কথা বলে ফুলবাড়িয়া নিয়ে যায়। সেখানে একটা রুম ভাড়া নিয়ে আমাকে ধর্ষণ করে। কিন্তু এখন আমি বিয়ের কথা বললেই নানা তালবাহানা শুরু করে। তিনি আমাকে বলেন, তোমার সঙ্গে আমার কোনো সম্পর্ক ছিল না এবং আমি তোমাকে বিয়ে করতে পারব না।’

‘এ ঘটনা আমি উথুরা ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বজলুর রহমান বাচ্চুর কাছে মৌখিকভাবে জানিয়ে বিচার চাই। পরে চেয়ারম্যান সিদ্দিকুর রহমানকে পরিষদে ডেকে এনে ঘটনা জানতে চান এবং কেন বিয়ে করবেন না তাও জানতে চান। ততক্ষণে সিদ্দিকুর রহমানের মাদরাসার ছাত্ররাসহ কিছু সন্ত্রাসী পরিষদে হামলা করে এবং আমার উপর এবং চেয়ারম্যানের উপর হামলার চেষ্টা করে। পরে ভালুকা মডেল ঘটনার ওসি মাহমুদুল ইসলাম ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমাকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন।’

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী তরুণী বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় মামলা করেন। পরে বুধবার রাতেই আসামি সিদ্দিকুরকে গ্রেপ্তার করে ভালুকা থানা পুলিশ। পরে তাকে বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টার দিকে জেল হাজতে পাঠানো হয়।

ভালুকা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাহমুদুল ইসলাম বলেন, এ ঘটনায় মামলা রজু হয়েছে এবং আসামি গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৭জুন/কেএম)