ময়মনসিংহে পুলিশ-ছাত্রদল সংঘর্ষ: বিএনপির দাবি গুলিবিদ্ধ ১৭

ময়মনসিংহ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৮ জুন ২০২১, ১৯:৩৭

ময়মসিংহের ছাত্রদলের সাথে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় ছাত্রদলের ২০ নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। এছাড়াও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন আরও ১৭ জন নেতাকর্মী। বৃহস্পতিবার সংঘর্ষের ঘটনায় পুলিশ বিনা উস্কানিতে হামলা ও গুলিবর্ষণ করে। সংঘর্ষের পর থেকে ২৮ নেতাকর্মী নিখোঁজ রয়েছেন এবং পুলিশ ২২টি মোটরসাইকেল জব্দ করেছে।

শুক্রবার সকালে ময়মনসিংহ প্রেসক্লাবে উত্তর জেলা বিএনপি ও দক্ষিণ জেলা বিএনপি আয়োজিত সংবাদ সম্মেলন থেকে এই দাবি করা হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার শম্ভূগঞ্জ বাজারের চরকালীবাড়ি এলাকায় খোলা মাঠে জিয়াউর রহমানের ৪০তম শাহাদতবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে ছাত্রদল। ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রদল ছাড়াও উত্তর জেলা ছাত্রদল, দক্ষিণ জেলা ছাত্রদল, বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদল, আনন্দ মোহন কলেজ ছাত্রদলের যৌথ অংশগ্রহণে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভার একপর্যায়ে পুলিশ বিনা উস্কানিতে হামলা ও গুলিবর্ষণ করে।

সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে বিএনপির কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ বলেন, ছাত্রদলের শান্তিপূর্ণ আলোচনা অনুষ্ঠানে পুলিশ বাধা দেয় এবং অতর্কিত হামলা চালায়। লাঠিচার্জ, গুলিবর্ষণ করে অনুষ্ঠান পণ্ড করে দেয় এবং তাদের ১০ নেতা–কর্মীকে আটক করে থানায় নিয়ে যায়। এ সময় ২৮টি মোটরসাইকেল তুলে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানানো হয় সংবাদ সম্মেলনে।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক মাহবুবুর রহমান, উত্তর জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক মোতাহের হোসেন তালুকদার, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক জাকির হোসেন, শেখ আমজাদ আলী, আলমগীর মাহমুদ আলম, রেজাউল করিম, উত্তর জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আহাম্মদ তায়েবুর রহমান, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক এমএ হান্নান খান, শামীম আজাদ, এ কে এম মাহবুব আলম প্রমুখ।

এদিকে ময়মনসিংহে ছাত্রদলের সঙ্গে পুলিশের সংঘর্ষের ঘটনায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে দুটি মামলা করেছে পুলিশ। মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে আরও ৪০০-৫০০ ব্যক্তিকে। এখন পর্যন্ত পুলিশ আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে।

পুলিশ দাবি করে জানায়, কোনো অনুমতি ছাড়াই স্বাস্থ্যবিধি উপেক্ষা করে আলোচনা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ছাত্রদল। তাদের নিষেধ করার পরেও অনুষ্ঠান চালাতে গেলে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ ঘটে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ৩০টি ফাঁকা গুলি করে।

ময়মনসিংহ কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার বলেন, পুলিশ বাদী হয়ে বিস্ফোরক আইনে এবং পুলিশের কাজে বাধা ও পুলিশের ওপর হামলার জন্য দুটি মামলা করা হয়েছে। মামলায় কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ইকবাল হোসেনসহ ৩৮ জনের নাম উল্লেখ করে এবং অজ্ঞাত আরও ৪০০-৫০০ ব্যক্তিকে আসামি করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/১৮জুন/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :