ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্তদের পুঁজি করে সরকারি জায়গায় মার্কেট করার পাঁয়তারা!

কুয়াকাটা (পটুয়াখালী) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ১৮ জুন ২০২১, ১৯:৫৮

ঘূর্ণিঝড় ইয়াসে ক্ষতিগ্রস্তদের পুঁজি করে পটুয়াখালীর কুয়াকাটায় সরকারি জায়গায় অবৈধভাবে দখল ও সেখানে মার্কেট করার পাঁয়তারা করছিল স্থানীয় একটি চক্র। সরকারি জায়গা বেদখল থেকে রক্ষা করতে সেখানকার অর্ধশতাধিক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করেছে স্থানীয় প্রশাসন।

মঙ্গলবার দুপুরে কলাপাড়া উপজেলা সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তা ও নির্বাহী হাকীম জগৎ বন্ধু মন্ডলের নেতৃত্বে পরিচালিত ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে বেড়িবাঁধের বাইরের এসব অবৈধ স্থাপনার উচ্ছেদ করা হয়।

উচ্ছেদ শেষে মহিপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা মো. আজিজুর রহমান বলেন, ‘সরকারি জমিতে প্রভাবশালী একটি গ্রুপ ব্যক্তিগত মার্কেট করার উদ্যোগ নিচ্ছিল। ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে সেখানকার অবৈধ স্থাপনাগুলো ভেঙে দেয়া হয়েছে।’

উচ্ছেদের সময় স্থানীয় পৌর মেয়র ও কাউন্সিলররা উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনাকারী নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের সঙ্গে বাকবিতন্ডায় জড়িয়ে পরেন।

কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার দাবি করেন ঘূর্ণিঝড় ইয়াস কবলিত সৈকতের কিছু দোকানপাট রাখার কোনো স্থান না থাকায় হোটেল সী-কুইন সংলগ্ন ফাঁকা জায়গা পেয়ে মেরামতের জন্য রেখেছিল।

তিনি বলেন, ‘দোকানপাটগুলো শৃঙ্খলাবিহীন কোনো মার্কেটে পরিণত হয়নি। কিন্তু উপজেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জগৎ বন্ধু মন্ডল সাহেবের নেতৃত্বে ভেঙে তছনছ করে দেয়া হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, ‘এখন এই অসহায় মানুষগুলো কোথায় যাবে? এই দিনমজুর, যারা দিন আনে দিনে রোজগার করে খায় তাদের কী হবে?’

ভুক্তভোগীরা জানান, ঘূর্ণিঝড় ইয়াস পরবর্তী সৈকতের স্থানীয় অর্ধশতাধিক শুটকি, ঝিনুকসহ ক্ষুদ্র পর্যটন ব্যবসায়ীরা তাদের ক্ষতিগ্রস্ত দোকানপাট মেরামতের জন্য বেড়িবাঁধের বাইরে (সরকারি ১ নম্বর খাস খতিয়ান) সরকারি জমিতে অবস্থান নিয়ে মেরামতের কাজ করছিল। এর মধ্যেই হটাৎ করে সরকারের পক্ষ থেকে পূর্বনোটিশ দেয়া ছাড়াই প্রায় অর্ধশতাধিক খালি দোকানপাটের উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করেছে।

ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে একটি স্থায়ী মার্কেটের দাবি জানিয়েছেন।

অভিযানের বিষয়ে কলাপাড়া উপজেলা সহকারী (ভূমি) কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জগৎ বন্ধু মন্ডল বলেন, ‘যে জমিতে ঘর রাখা হয়েছে ওই জমি সরকারি। যা সরকারের নামে (বিএস) রয়েছে। এখানে কারো অভিযোগ গ্রহণ করার সুযোগ নেই।’

উচ্ছেদ অভিযানে অন্যদের মধ্যে মহিপুর ইউনিয়ন ভূমি কর্মকর্তা আজিজুর রহমান, কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র আনোয়ার হাওলাদার, পৌর কাউন্সিলর আবুল হোসেন ফরাজী, মুজিবুর রহমান, মনির শরীফ ও শহীদ দেওয়ান উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/১৮জুন/প্রতিনিধি/কারই/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :