কথার মর্ম তোমার সাড়ায়
আমার অনেক কথা হলো জমা
শুনবে তুমি, খানিক সময় হবে?
ফিরিস্তিতে নেই যে দাড়ি কমা
সবি লিখা গভীর অনুভবে।
বর্ণমালার অঙ্গ জুড়ে কেবল
ঝিলিমিলি স্বপ্ন আছে আঁকা,
কথার তরুর মূলে চোখের জল
সেচ দিয়েছে প্রাণের সুধা মাখা।
আখরগুলোর চপল নাচানাচি
শব্দে এসে ধরা দিলেই থামে,
চাল চলনে দক্ষ সব্যসাচী
তাদের ডাকি নানান রঙের নামে।
শব্দগুলো ডানামেলা পাখি
মনের আকাশ জুড়ে কেবল উড়ে,
ওদের সঙ্গে ভাবের মাখামাখি
পাড়ি জমায় সপ্ত সমুদ্দুরে।
বাক্যগুলোর চলার গতি দ্রুত
টগবগিয়ে ছোটে দিগন্তরে,
সামনে চলার পায়ের যতো ক্ষত
বুকে ধরে প্রেমের সাড়ম্বরে।
বাক্য পেলে মুক্তবাকের সাড়া
মানে না আর কোনোই শাসন বারণ,
তখন ওদের পথ হয়ে যায় হারা
খোঁজে না আর অকারণের কারণ।
এমনি করে কথার পিঠে কথা
কথার যেনো পাহাড় গড়ে তোলে,
কথার ফুলের কল্পতরু লতা
ভাবের দোলায় পরাগ মেলে দোলে।
ভূমিকাতেই ফুরালো সব কথা
আসল কথা বলা হলো না যে,
শোনার মাঝেই কথার স্বার্থকতা
অর্থ খোঁজে তোমার সাড়ার মাঝে।
ব’লে তোমায় কী বোঝাবো বলো
না-বলাতেই কথার মানে পাবে,
আমার কথার সাগর টলোমলো
কেমন করে ঘাটের কূলে যাবে?
জমা কথার ঝাঁপি হলো খালি
কি বুঝেছো তা তুমিই জানো,
সকল কথা দিয়ে জলাঞ্জলি
মনের কথার বার্তা শুধু মানো।
তাতেই কথার মর্মবাণি পাবো
বলেছি যা বুঝবো তা-ই ঠিক,
শেষে আমার সব হারিয়ে যাবো
তুমিই যদি না হও আন্তরিক।