কোন রোগ সারাতে কোন যোগ ব্যায়াম করবেন

প্রকাশ | ১৯ জুন ২০২১, ১০:৪৮

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

মানুষের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য রক্ষায় যোগ ব্যায়াম সব থেকে উপকারি। যোগাসন মানসিক জড়তা ও অবসন্ন ভাব কাটাতে সাহায্য করে।  এর জন্য কোন কঠোর পরিশ্রম করতে হয় না। শরীরের জন্য ঠিক যতটা প্রয়োজন আপনি ততটাই যোগ ব্যায়াম করবেন।

 

মানসিক শক্তি জোরদার এবং আমাদের মানসিক অবসাদ ভাব কাটাতে পারে যোগা ব্যায়াম। এর মাধ্যমে মানসিক চঞ্চলতা, রাগ- এরকম অনেক সমস্যা থেকেও আমাদের মনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে নিয়মিত এই সব ব্যায়ামের অভ্যাস।

 

যোগ ব্যায়েমের মাধ্যমে শরীরের সমস্ত সমস্যা নির্মূল হতে পারে। এর পাশাপাশি এই ব্যায়াম করতে লাগে না কোন বিশেষ সরঞ্জামের। তাই যে কোনো জায়গায় যে কোনো পরিস্থিতিতেই আপনি যোগ ব্যায়াম করতে পারবেন।

 

তবে একটি বিষয় জেনে অবাক হবেন যে, আমাদের যে বিভিন্ন শারীরিক রোগ হয় সেগুলো নিরাময়ের ক্ষেত্রেও যোগ ব্যায়াম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

 

জেনে নিন কোন কোন রোগের ক্ষেত্রে কোন কোন যোগা ব্যায়াম অভ্যাস করতে পারলে আপনি এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাবেন।

 

হজমের সমস্যা

 

যাদের নিয়মিত গ্যাস, অম্বল বা হজমের সমস্যা আছে তাদের ক্ষেত্রে পবনমুক্তাসন বা সুপ্ত বজ্রাসন খুব ভালো কাজে দেয়। এক্ষেত্রে আপনাকে চিত হয়ে শুয়ে ডান পা ভাজ করে পেটের সঙ্গে লাগিয়ে রাখতে হবে। বাম পা সোজা রাখবেন।

 

এরপর একই প্রক্রিয়া করবেন বাম পায়ের সঙ্গে। তখন ডান পা সোজা রাখতে হবে। এটি নিয়মিত করতে পারলে খিদে বাড়বে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও মিটবে।

 

কোমরের ব্যথা

 

যাদের কোমরের যন্ত্রণা বা ব্যথা রয়েছে তারা ভুজঙ্গাসন করতে পারেন। তারা পবনমুক্তাসনও ট্রাই করে দেখতে পারেন। উপুড় হয়ে শুয়ে পা উপরে তুলে একপদ সলভাসন করলে ভালো ফল পাবেন।

 

পেট নিতম্বের চর্বি কমানো

 

বেশিরভাগ মেয়েরা এই সমস্যায় ভোগেন। তাদের ক্ষেত্রে ভালো কাজে দিতে পারে অর্ধকূর্মাসন। মাটিতে বজ্রাসনে বসতে হবে।

 

এরপর দুটি হাত সোজা করে মাথার উপরে নমস্কার এর ভঙ্গিতে তুলুন। পেট ও বুক উরুর সঙ্গে লাগিয়ে রাখতে হবে। এই পজিশনে মনে মনে কুড়ি পর্যন্ত গুনতে হবে। এবার সোজা হয়ে আস্তে আস্তে বসে শবাসনে দুই মিনিট বিশ্রাম নিন।

 

ঘাড়ের ব্যথা

 

এই যন্ত্রণা থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য আইসোমেট্রিক প্রেসার অভ্যাস করুন। দুই হাত মাথার পেছনের দিকে নিয়ে মাথায় হাত দিয়ে ঘাড় সোজা করে চাপ দিন।

 

এভাবে নিজের মাথাকে চারদিকে ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে আস্তে আস্তে চাপ দিতে হবে। এবার চিৎ হয়ে শুয়ে পড়ে চিবুকে হাত দিয়ে চাপ দিলে ও ঘাড়ের উপর চাপ পড়ে এবং ব্যথা আস্তে আস্তে কেটে যায়।

শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যা

 

শ্বাসকষ্ট জনিত সমস্যার মোকাবিলায় সিদ্ধাসন খুবই কার্যকরী। মেরুদণ্ড সোজা রেখে পা গুটিয়ে বসে ধীরে ধীরে শ্বাস নিতে ও ছাড়তে হবে। এটি দেখতে অনেকটা পদ্মাসনের মতোই। সিদ্ধাসনে রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি পায় সেই সঙ্গে ফুসফুসের কার্যক্ষমতাও বাড়ে।

 

হাঁটুর ব্যথা

 

হাঁটুর ব্যথা কমানোর জন্য উত্থানপদাসন করলে উপকার মিলবে। চেয়ারে বসে পা তোলা ও নামানো অর্থাৎ সিটেড লেগরাইজ বা পেলভিস ব্রিজ (চিৎ হয়ে শুয়ে হাঁটু ভাঁজ করে উপরের দিকে তোলাকে পেলভিস ব্রিজ বলা হয়) করা যেতে পারে। এতে থাইয়ের পেশি সঙ্কুচিত বা প্রসারিত হয়।

 

ঢাকাটাইমস/১৯জুন/কেএমএস/এজেড