পুলিশকে হেয় করে লেখা সংবাদটি সঠিক নয়: সদরদপ্তর

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ১৯ জুন ২০২১, ১৭:৪৭ | প্রকাশিত : ১৯ জুন ২০২১, ১৬:৫৪

পটুয়াখালীর রাঙ্গাবালিতে নিজের ছেলেদের দ্বারা এক বৃদ্ধের নির্যাতিত হওয়ার ঘটনায় পুলিশের ব্যবস্থা নিয়ে দৈনিক যুগান্তর যে সংবাদ পরিবেশন করেছে তার প্রতিবাদ জানিয়েছে পুলিশ সদরদপ্তর। শনিবার বাংলাদেশ পুলিশের এআই‌জি (মি‌ডিয়া অ্যান্ড পাব‌লিক রি‌লেশন্স) মো. সো‌হেল রানা স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ওই সংবাদে পুলিশকে হেয় করা হয়েছে। সংবাদটি সঠিক ও পূর্ণাঙ্গ নয়।

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, দৈ‌নিক যুগান্তর প‌ত্রিকায় প্রকাশিত সংবাদে দাবি করা হয়েছে, নির্যাতনের শিকার বৃদ্ধ স্থানীয় চরমোন্তাজ পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে ন্যায়বিচার পাননি। পরে, তিনি আদালতে মামলা করেন এবং থানা পুলিশ আদালতের নির্দেশে মামলা গ্রহণ করে আদালতের ইস্যুকৃত ওয়ারেন্টের ভিত্তিতে আসামিকে গ্রেপ্তার করে। (সংবাদের স্ক্রিনশট সংযুক্ত)

কিন্তু, এ বিষয়ে বাংলাদেশ পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের ভাষ্যটি সম্মানিত পাঠক ও নাগরিকগণের জ্ঞাতার্থে তুলে ধরা হলো। নির্যাতনের ভিডিওটি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের হাতে আসার পরপরই এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. সোহেল রানা তাৎক্ষণিকভাবে রাঙ্গাবালী থানার ওসি দেওয়ান জগলুল হাসানকে ফোন করে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে দ্রুত আইনি ব্যবস্থা নিতে বলেন। ওসি রাঙ্গাবালী জানান, তিনি ঘটনাস্থলে আগেই পুলিশ পাঠিয়েছিলেন। তাৎক্ষণিকভাবে কাউকে পাননি। তবে, লোক মুখে শুনেছেন, নির্যাতিত বৃদ্ধ আদালতে মামলা করেছেন। কিন্তু, রাঙ্গাবালী থানা আদালতের নিকট হতে এ সংক্রান্তে মামলার কোনো নথি পায়নি। কোনো গ্রেপ্তারি পরোয়ানাও থানায় আসেনি।

এ পর্যায়ে এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মো. সোহেল রানা ওসি রাঙ্গাবালীকে বলেন, মামলার বিষয়টি যেহেতু নিশ্চিত নয় এবং এ ধরনের কোনো সুনির্দিষ্ট তথ্য বা নির্দেশনা যেহেতু পুলিশ পায়নি, তাই অপেক্ষা করে বসে না থেকে এ ধরনের গর্হিত কাজের জন্য দ্রুততম সময়ে ব্যবস্থা নিতে হবে। যদি আদালতের কোনো নির্দেশনা পরবর্তীতে আসে তবে সে অনুযায়ী তখন ব্যবস্থা নিতে পারবে পুলিশ। তিনি ওসি রাঙ্গাবালীকে নির্দেশনা দেন, দ্রুত বৃদ্ধের সাথে যোগাযোগ করে তার নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং বৃদ্ধের অভিযোগের ভিত্তিতে আইনি ব্যবস্থা নিতে। এর পরপরই ওসি রাঙ্গাবালী থানা পুলিশের একটি বিশেষ টিমকে পাঠিয়ে বৃদ্ধের সাথে যোগাযোগ করেন এবং তার অভিযোগের ভিত্তিতে অভিযুক্ত দুই ছেলেকে গ্রেফতার করেন। ও‌সি রাঙ্গাবালী এ বিষ‌য়ে অত্যন্ত আন্তরিকতার সা‌থে কাজ করেছেন।

মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের দাবির সপক্ষে নির্যাতিত ব্যক্তি, যুগান্তরের স্থানীয় প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্টদের বক্তব্যের অডিও ও ভিডিও রেকর্ডসহ প্রাসঙ্গিক প্রমাণাদি মিডিয়া উইংয়ের হাতে এসেছে। বৃদ্ধ বা তার পক্ষে কেউ উ‌ল্লি‌খিত নির্যাতনের বিষয়ে অভিযোগ জানাতে তদন্ত কেন্দ্র বা থানায় কোনো প্রকার যোগাযোগ করেননি। এর প্রমাণও রয়েছে মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স উইংয়ের হাতে।

উল্লেখ্য, গতকাল ১৮ জুন ২০২১ গ্রেপ্তার ও পুলিশি ব্যবস্থা প্রসঙ্গে একটি প্রেস নোট ইস্যু করেছিল মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং। সেটি বিভিন্ন গণমাধ্যমে গুরুত্বের সাথে প্রকাশিত হয়েছে।

পুলিশের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, যুগান্তরের মতো একটি প্রতিষ্ঠিত পত্রিকার নিকট আরও বেশি বস্তুনিষ্ঠ ও সচেতন সংবাদের প্রত্যাশা ব্যক্ত করছে বাংলাদেশ পুলিশ। পাশাপাশি, দেশ ও মানুষের কল্যাণে যেকোনো কাজে পাশে থাকার ও একত্রে কাজ করার সদিচ্ছা ব্যক্ত করছে বাংলাদেশ পুলিশ।

(ঢাকাটাইমস/১৯জুন/জেবি)

সংবাদটি শেয়ার করুন

জাতীয় বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

জাতীয় এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :