নতুন মায়েরা কী খাবেন, কী খাবেন না

প্রকাশ | ২০ জুন ২০২১, ১৪:৪০

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

প্রসবের পরবর্তী কয়েকটা মাস নতুন মায়েদের নিজের শরীরের সঠিক যত্ন নেওয়া আর ঠিকমতো খাবার খাওয়া প্রয়োজন। না হলে, শিশু ও মা উভয়ে অসুস্থ হয়ে যাবেন। মায়েদের মনে রাখতে হবে তাদের শরীর থেকেই পুষ্টি পেয়ে বেড়ে উঠছে শিশু। নিজের শরীর সুস্থ করার জন্য তো বটেই, অন্তত বাচ্চার কথা ভেবেও মনোযোগ দিন কী খাচ্ছেন না খাচ্ছেন তার ওপরে।

 

মা হওয়ার পরে খাওয়া-দাওয়ায় মন দিলেই হবে না, আপনার শিশুর কথা মাথায় রেখে এড়িয়ে চলতে হবে কয়েকটি খাবার, এমনটাই বলছেন বিশেষজ্ঞরা।   

কিছু খাবার, বিশেষত মা হওয়ার  প্রথম কয়েকটি  সপ্তাহে না খাওয়াই ভাল, যে খাবার খেয়ে গ্যাস অথবা অ্যাসিডিটি হতে পারে বলে মনে হয়, এমন খাবার এড়িয়ে চলুন।    

 

কফিতে উচ্চ ক্যাফেইন  থাকে  যা শিশুর জন্যে হজম করতে অসুবিধে হতে পারে। প্রতিদিন  চেষ্টা করুন  কম করে কফি খাওয়ার,  বিকল্পের জন্য অন্য কিছু খান এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের।

 

শিশুদের জন্যে কয়েকটি অ্যাসিডিক  উপাদান ক্ষতিকর হতে পারে, এর প্রভাবে শিশুদের ঘন ঘন ডায়াপার র‌্যাপ, স্পিট আপস এবং ক্র্যাঙ্কনেস হতে পারে।

ফুলকপি, বাঁধাকপি জাতীয় কিছু খাবারে গ্যাস হতে পারে তাই এই ধরনের খাবার এড়িয়ে যাওয়া আপনার শিশুর জন্য ভাল এমনটাই জানাচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।

 

প্রোটিন জাতীয় বা আমিষ খাবার একজন নতুন মাকে তাড়াতাড়ি সুস্থ হয়ে উঠতে সাহায্য করে। আবার যেহেতু শিশু মায়ের দুধ থেকেই তার পুষ্টি পায়, তাই শিশুর পুষ্টিতেও অন্যতম ভূমিকা নেয় এই প্রোটিন জাতীয় খাবার। নতুন মা প্রত্যেকদিন ১টি করে সেদ্ধ ডিম খাবেন। এছাড়া মুগ, মুসুরি ইত্যাদি সব ধরনের ডাল, প্রাণীজ প্রোটিনের অন্যতম উৎস হিসেবে মাছ, মুরগীর মাংস, শিমের বীজ এগুলি অবশ্যই খাওয়া উচিত।

 

দিনের যে কোনও একটা সময় বরাদ্দ রাখুন ফল খাওয়ার জন্য। টাটকা মরসুমি ফল, সাইট্রাস ফলগুলি নতুন মায়ের পুষ্টির সাথে সাথে ব্রেস্ট মিল্ক-এর পরিমাণও বাড়ায়। বাতাবিলেবু, মিষ্টি মুসাম্বি ও কমলালেবু, আম, জাম, কলা দিয়ে বানিয়ে ফেলুন ফ্রুট স্যালাড।

 

নিয়মিত খেতে পারেন নাসপাতি, পেয়ারা ও আপেল; এই ফলগুলি নতুন মায়ের কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় বিশেষ কাজ দেয়। পেস্তা, আখরোট ও কাঠবাদাম খান রোজ এক মুঠো করে। কাঠবাদামে আছে ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড যা শিশুর মস্তিস্ক গঠনে বিশেষ প্রয়োজন আবার মায়ের সুস্বাস্থ্যেও বিশেষ দরকার।

শর্করা জাতীয় খাবার নতুন মায়ের এনার্জি বাড়াতে এবং শারীরিক বল ফিরে পেতে বিশেষ সাহায্য করে। সাধারণ ভাত- রুটি পর্যাপ্ত পরিমাণে খেলেই দেহে শর্করার মাত্রা ঠিক থাকে।

 

মা হওয়ার পরে অ্যালকোহল  এড়িয়ে যাওয়া শুধুমাত্র শিশুর জন্যেই নয় আপনার জন্যও ভাল, যদি  অ্যালকোহল পান করেন তাহলে শিশুকে ব্রেস্টফিড করানোর পরেই করবেন তার আগে নয় এমনটাই মত বিশেষজ্ঞদের। তবে ধূমপান ও মদ্যপান এড়িয়ে চলাই ভালো।

 

নির্দিষ্ট সময়ে পরিমাণমতো খাবার খাওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজন পর্যাপ্ত পানি খাওয়া। দিনে ৩-৪ লিটার পানি অবশ্যই খাবেন। দিনে একটা নির্দিষ্ট সময় ভালো মতো ঘুম ও বিশ্রাম সেরে ওঠার জন্য বিশেষ দরকার।

 

নিজে নিজে কোনও ওষুধ বা সাপ্লিমেনট কিনে খাবেন না। ডাক্তারের অনুমতি নিয়ে তবেই কোনও ওষুধ খান। একজন সুস্থ মা-ই কিন্তু একজন শিশুকে সুস্থভাবে বড় করে তুলতে পারে। তাই আপনার স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা শিশুর মতোই মূল্যবান।

 

(ঢাকাটাইমস/২০জুন/আরজেড/এজেড)