সাতক্ষীরায় লকডাউনে শিথিলতা, কমছে না সংক্রমণ

সাতক্ষীরা প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২০ জুন ২০২১, ১৯:৪৪

সাতক্ষীরায় গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ১৪ জনের করোনাভাইরাস শনাক্ত হয়েছে। এ সময় নমুনা পরীক্ষা করা হয় ২৮ জনের। শনাক্তের হার ৫০ শতাংশ। এদিকে, করোনায় আক্রান্ত হয়ে গত ২৪ ঘণ্টায় আরও তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। এ নিয়ে করোনায় মারা গেলেন ৬০ জন। এছাড়া করোনা উপসর্গে মারা গেছেন আরও তিনজন। এ নিয়ে করোনা উপসর্গে মারা গেলেন ২৬৬ জন।

করোনায় মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন- কলারোয়ার খায়রুল ইসলাম (৫৯), আবুল গাজী (৬২) ও কালিগঞ্জের শেখ আইউব আলী (৫৮)।

এর আগের দিন, সাতক্ষীরা করোনা ডেডিকেটেড মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের করোনা ওয়ার্ডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় নয়জনের মৃত্যু হয়েছে। এর মধ্যে পজিটিভ একজন। বাকি আটজন করোনা উপসর্গে মারা গেছেন।

উপসর্গে মারা যাওয়া ব্যক্তিরা হলেন, শ্যামনগরের গোবিন্দকাটি গ্রামের মুনসুর গাজীর স্ত্রী মরিয়ম (৪৮), কালিগঞ্জের রাজাপুর গ্রামের মো. গনির স্ত্রী রিজিয়া (৫২), ধুলিহরের মৃত আকের আলীর স্ত্রী মোমেনা (৬০), কলারোয়ার আলাইপুর গ্রামের আব্দুল মজিদের স্ত্রী আছিয়া (৬০), ব্যাংদহের মৃত বলাই ঠাকুরের ছেলে গনেষ ঠাকুর (৭০), যশোরের কেশবপুর উপজেলার মৃত হেরাম তুল্ল্যার ছেলে আব্দুল ওহাব (৮০), ধুলিহরের ইউছুপের স্ত্রী মোসলেমা (৩০), তালার গোপালপুরের ইব্রাহিমের ছেলে হায়দার আলী (৬০) এবং কলারোয়ার চন্দনপুর গ্রামের মৃত জগধর কুমারের ছেলে দেবকুমার (৪৫)।

এ পর্যন্ত জেলায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৮৫৪ জন। মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, সদর হাসপাতাল ও ৬টি ক্লিনিকে ৩৬১ জন ভর্তি ছিলেন। এরমধ্যে পজিটিভ ৩৮ জন।

জনবলে ধুঁকতে থাকা সামেক হাসপাতালে ৩৯ জন নার্স নিয়োগ পেয়েছেন। তবে এখনো ২০ জন চিকিৎসক ও ৫০ জন ওয়ার্ড বয় নিয়োগের দাবি সামেক কর্তৃপক্ষের। করোনা রোগী যেভাবে বাড়ছে, জনবল সংকটের কারণে চিকিৎসা সেবা ভেঙে পড়ার আশঙ্কা স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের।

এ বিষয়ে সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত বলেন, সামেক হাসপাতালে ২০০ বেডে ২০৯ জন রোগী ভর্তি আছেন। আইসিইউ রয়েছে ৮টি। ১ মাসেই তিনগুন শয্যা সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে সামেক হাসপাতালে। সদর হাসপাতালে করোনা ইউনিট করা হয়েছিল। তবে করোনা প্রতিরোধ কমিটির সম্মতিক্রমে তা বন্ধ করা হয়েছে। প্রাইভেট হাসপাতালে ১৪৭ জন রোগী রাখা হয়েছে। তার মধ্যে ১১ জন পজিটিভ।

এদিকে, একেবারেই ঢিলে-ঢালাভাবে পালিত হচ্ছে তৃতীয় সপ্তাহের লকডাউনের দ্বিতীয় দিন। শহরের প্রধান প্রধান মোড়ে কয়েকটি ব্যারিকেট দেওয়া হলেও পুলিশি তৎপরতা জোরালোভাবে দেখা যায়নি। ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রমও বেশ সীমিত। গ্রাম-গঞ্জে চোখে পড়ছেনা প্রশাসনিক তৎপরতা। ফলে গ্রামাঞ্চলের কমিউনিটি ট্রান্সমিশন বেড়েই চলেছে। গত ১৫ দিনে সংক্রমণের হার ৫০ এর নিচে না আসায় হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে বাড়তি চাপ। এ অবস্থা চলতে থাকলে করোনা রোগীর ব্যাপক চাপে হিমশিম খাবে স্বাস্থ্যবিভাগ।

এ প্রসঙ্গে সিভিল সার্জন ডা. হুসাইন শাফায়াত বলেন, স্বাস্থ্যবিভাগের ক্যাপাসিটি বাড়ালেও রোগী বাড়ছে। ৩০০ বেড করা হলেও তা পূরণ হয়ে যাবে। এমনকি ৫০০ বেড বাড়ালেও তা পূর্ণ হয়ে যাবে। করোনা প্রত্যন্ত অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়েছে। তাই করোনা সংক্রমণের হার যেভাবে হোক কমাতে হবে। তাই গ্রাম-গঞ্জেও লকডাউনের পরিধি বাড়াতে হবে। নইলে করোনায় স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে।

(ঢাকাটাইমস/২০জুন/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :