সেরামের টিকা নিয়ে ‘সুখবর’ নেই হাইকমিশনারের কাছে

প্রকাশ | ২০ জুন ২০২১, ২১:৫৪

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউট থেকে বাংলাদেশ কবে নাগাদ টিকা পাবে এ ব্যাপারে কোনো সুখবর জানাতে পারলেন না বাংলাদেশে নিযুক্ত ভারতীয় হাইকমিশনার বিক্রম দোরাইস্বামী। ভারতের করোনা পরিস্থিতি এখনো মারাত্মক পর্যায়ে রয়েছে, এজন্য দেশটির পক্ষ থেকে টিকা দেয়ার ব্যাপারে কোনো আশ্বাস এখনই দিতে পারছেন না হাইকমিশনার।  

রবিবার বিকালে বঙ্গবন্ধু এভিনিউতে আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শনে এলে টিকা নিয়ে সাংবাদিকরা প্রশ্ন করেন ভারতীয় হাইকমিশনারকে। এ সময় বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, আমরা করোনা ভ্যাকসিন উৎপাদন বাড়াচ্ছি। ভারতের করোনা পরিস্থিতি এখনো বিপদজনক পর্যায়ে। তাই বাংলাদেশকে ভ্যাকসিন দেয়ার বিষয় নির্দিষ্ট সময় বলতে পারছি না। 

সেরাম ইনস্টিটিউটের টিকার আপডেট বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা টিকা উৎপাদন বৃদ্ধির জন্য কাজ করে যাচ্ছি, যার জন্য আরও কয়েক সপ্তাহ সময় লাগবে। সে সময়েই এ বিষয়ে বিবেচনা করা ভালো। এ বিষয়ে বাংলাদেশের সাথে এখনো আলোচনা চলছে।

গত বছরের শেষ দিকে ভারতের সেরাম ইনস্টিটিউটের সঙ্গে তিন কোটি ৪০ লাখ টিকা কেনার চুক্তি করে বাংলাদেশ। প্রতি মাসে আসার কথা ছিল ৫০ লাখ ডোজ টিকা। কিন্তু দুই মেয়াদে ৭০ লাখ টিকা পাঠানোর পর ভারত সরকারের নিষেধাজ্ঞায় আর কোনো টিকা পাঠাতে পারেনি। কেনা টিকার বাইরে উপহার হিসেবে বাংলাদেশকে ৩৩ লাখ ডোজ টিকা দিয়েছে ভারত। এর ফলে গণটিকাদান কর্মসূচি বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় সরকার। এখন বিকল্প উৎস থেকে টিকা সংগ্রহের চেষ্টা চলছে।

যুবলীগ অফিস পরিদর্শন সম্পর্কে বিক্রম দোরাইস্বামী বলেন, বাংলাদেশ সৃষ্টির ইতিহাসে যুবলীগ এক অদ্বিতীয় স্থান দখল করে আছে। যুবলীগের প্রতিষ্ঠাতা নিজেও একজন মুক্তিযোদ্ধা ও স্বাধীনতা যুদ্ধের নায়ক। তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের মূল্যবোধ রক্ষা করে কাজ করে যাচ্ছে। তাদের অফিস পরিদর্শনের জন্য আগেই আমি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম। কিন্তু করোনা মহামারির জন্য উপস্থিত হতে পারিনি।

হাইকমিশনার বলেন, আমাদের দ্বিপাক্ষিক বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। যার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশ এবং ভারতের যুবকদের মধ্যে সম্পর্ক বৃদ্ধি করা। যুবলীগের সাহায্যে তরুণদের দোরগোড়ায় পৌঁছা এবং ভারত ও বাংলাদেশের শিক্ষার্থী, তরুণ, ব্যবসায়ীদের মধ্যে সংযোগ বৃদ্ধি করা৷

যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ বলেন, ভারত আমাদের দুঃসময়ের বন্ধু এবং সুসময়েরও সাথী। সংস্কৃতি ও শিক্ষার বিনিময়ের মাধ্যমে দুদেশের যুব সমাজের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধি করা। যাতে ভবিষ্যতে বন্ধুত্ব আরও শক্তিশালী করতে পারি। বিষয়গুলো নিয়ে আজকে ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে।

এ সময় যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মাইনুল হোসেন খান নিখিল, যুবনেতা মামুনুর রশীদ, মজিবুর রহমান চৌধুরী (নিক্সন), খালেক শওকত আলী, সুব্রত পাল, শেখ ফজলে নাঈম, কাজী মাজহারুল ইসলাম এবং সাইফুর রহমান সোহাগ উপস্থিত ছিলেন।

(ঢাকাটাইমস/২০জুন/জেবি)