চাটমোহরে সেতুর অভাবে দুর্ভোগে ৬০ হাজার মানুষ

চাটমোহর (পাবনা) প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২১ জুন ২০২১, ১৭:২৪

পাবনার চাটমোহর উপজেলার ধানকুনিয়া-বিন্যাবাড়ি গ্রামে গুমানী নদীতে একটি সেতুর অভাবে দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন এলাকার ১৫ গ্রামের ৬০ হাজার মানুষ। বর্ষায় ভরা নদীতে খেয়া নৌকা আর শুকনো মৌসুমে স্থানীয়দের বানানো বাঁশের সাঁকো একমাত্র ভরসা এলাকাবাসীর।

উপজেলা শহরে আসা-যাওয়া বা এক গ্রাম থেকে অন্য গ্রামে যাতায়াতের জন্য দীর্ঘদিন কষ্ট করে গেলেও সেতু নির্মাণ হয়নি। বিল ও নদ-নদীবেষ্টিত উপজেলার বেশিরভাগ এলাকায় উন্নয়নের ছোঁয়া লাগলেও গুমানী নদীর ওপর একটি সেতু নির্মাণের দীর্ঘদিনের দাবি স্থানীয়দের। কিন্তু সংশ্লিষ্ট দপ্তরের উদাসীনতায় সেতু নির্মাণ তো দূরের কথা আশ্বাস পর্যন্ত মেলেনি! নদী পারাপার হতে গিয়ে প্রতিদিন সীমাহীন দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন সবাই। এতে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে এলাকাবাসীর মধ্যে।

সরেজমিন গিয়ে দেখা যায়, গুমানী নদীর তীরে ধানকুনিয়া হাট। নদীর অপর প্রান্তের গ্রামের নাম বিন্যাবাড়ি। নদীর পাশেই রয়েছে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ও হাইস্কুল। নদীর ওপারে রয়েছে কিন্ডার গার্টেন স্কুল ও মাদ্রাসা। রয়েছে একটি কমিউনিটি ক্লিনিকও।

দুই পাশের কয়েকটি গ্রামের মধ্যে বিন্যাবাড়ি, গৌরনগর, বরদানগর, লাঙলমোড়া, নবীণ, চরনবীণ, কুকড়াগাড়ি, বনমালী, ইসলামপুর, কাটেঙ্গাসহ বেশ কয়েকটি গ্রামে কৃষি জমি বেশি হওয়ায় গ্রামগুলোতে আবাদের পরিমাণও বেশি হয়। কিন্তু যোগাযোগব্যবস্থা ভালো না হওয়ায় মাঠ থেকে আবাদকৃত ফসল তোলা বা কৃষিপণ্য বাজারে নেয়া কষ্টকর হয়ে ওঠে ওই এলাকার কৃষকদের।

আর সেতু না থাকায় রাস্তাঘাটেও লাগেনি উন্নয়নের ছোঁয়া। শুধু তাই নয়, রাত বিরাতে কেউ অসুস্থ হলে হাসপাতালে নেয়া দুস্কর হয়ে পড়ে। খেয়া নৌকায় রোগী পারাপার করা কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ে। এছাড়া ব্যবসা বাণিজ্যেরও প্রসার ঘটেনি। স্কুল বা মাদ্রাসা চলাকালে নদী পারাপার হতে গিয়ে অনেকে শিক্ষার্থী দুর্ঘটনার শিকার হয়। স্থানীয়দের ভাষ্য ধানকুনিয়া-বিন্যাবাড়ি এলাকায় গুমানী নদীর ওপর সেতু নির্মাণ হলে দুর্ভোগ লাঘবের পাশাপাশি এলাকার সাধারণ মানুষের জীবনমানের উন্নতি ঘটবে।

গৌরনগর গ্রামের লুৎফর রহমান নামে এক বৃদ্ধ বলেন, ‘একটি সেতুর অভাবে মানুষ যে কতটা কষ্ট করে, সেটি এলাকায় না এলে বোঝা যাবে না। আশ্বাস শুনতে শুনতে জীবন পার হয়ে গেল।’

লাঙলমোড়া গ্রামের সাহেব আলী নামে আরেকজন বলেন, ‘আর কতো কষ্ট করলে সেতু পাবো আমরা? ভোট এলে নেতারা শুধু কথা দিয়ে যায়। কিন্তু পরে আর খোঁজ নেয় না। আমাদের কষ্ট কেউ বোঝে না!’

উপজেলা প্রকৌশলী সুলতান মাহমুদ বলেন, ‘আমি সদ্য এই উপজেলায় যোগদান করেছি। ওই এলাকা সম্পর্কে আমার জানা নেই।’ তবে খোঁজ নিয়ে এ ব্যাপারে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবেন বলে জানান তিনি।

উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সৈকত ইসলাম জানান, সাধারণ মানুষের কষ্ট লাঘবে দ্রুত এ বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২১জুন/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :