চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগকে শক্তিশালী করতে সম্মেলনের আভাস

চট্টগ্রাম ব্যুরো, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২১ জুন ২০২১, ১৮:৪১

মেয়াদোত্তীর্ণ চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সম্মেলনের দাবি নানা সময়ে বিছিন্নভাবে উঠলেও কখন হবে তার স্পষ্ট ঘোষণা বা ইঙ্গিত মেলেনি কখনও। তবে দেশব্যাপী দল গোছানোর কাজ শুরু করেছে আওয়ামী লীগ। তারই ধারাবাহিকতায় চট্টগ্রাম দক্ষিণ জেলার সম্মেলন চলতি বছরের মধ্যেই করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে দলটি। তেমনিভাবে আগামী বছরের শুরুতেই চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগেরও সম্মেলন করতে চায় কেন্দ্র।

রবিবার চট্টগ্রাম সার্কিট হাউজে দুই দিনের সাংগঠনিক মতবিনিময় সভার প্রথম দিনে এমনই ইঙ্গিত মিলেছে।

এদিন দুপুরে সার্কিট হাউজে দলের কেন্দ্রীয় যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ বলেছেন, ‘সারাদেশে আওয়ামী লীগের কিছুটা হলেও সাংগঠনিক দুর্বলতা চোখে পড়েছে। টানা ১২ বছর ক্ষমতায় থাকার কারণে আমাদের অনেকের মাঝে আয়েশি মনোভাব চলে এসেছে।’

তিনি বলেন, ‘জননেত্রী শেখ হাসিনা যতদিন আছে, ততদিন ক্ষমতায় আছি। ক্ষমতায় থেকে সংগঠন দুর্বল বা সবল বুঝা যাচ্ছে না। যার কারণে সংগঠনের দিকে সবার নজর একটু কম। যার ফলে অনেক জেলায় দেখেছি ১৫ ও ২০ বছর হয়ে গেছে, কমিটির কোনো পরিবর্তন নেই। সংগঠনের যে কার্যপদ্ধতি সেটাও কোনো রকমে চলছে।’

সংগঠন গোছাতে চট্টগ্রাম সফরে থাকা এ নেতা আরও বলেন, ‘আমরা ডিসেম্বরে জেলা পর্যায়ের সম্মেলনের উদ্দেশ্য নিয়ে মাঠে নেমেছি। সে লক্ষ্য নিয়ে প্রতিটি ওয়ার্ড, ইউনিয়ন, উপজেলা ও জেলা সম্মেলন করবো। আমরা মহানগরে প্রতিটি ইউনিট, ওয়ার্ড ও থানার সম্মেলন আগামি ডিসেম্বরের মধ্যে করতে চাই। সেটা করলে আপনাদের মধ্যে অনেক নেতা আছেন, যারা যথাযথ মূল্যায়ন বা পদোন্নতি পাননি, তারা মূল্যায়ন পাবেন।

সম্মেলনের মাধ্যমে সংগঠনে গতিশীলতা আসবে। মূল্যায়ন হওয়ার সুযোগ আসবে। আমরা কাউকে চাপিয়ে দিতে চাই না। আমরা একজন অপরজনের সহকর্মী ও সহযোগী হিসেবে কাজ করতে চাই। আপনাদের সহযোগিতা দিতে এসেছি। সহায়তা নিয়ে কাজ করলে চট্টগ্রামে সংগঠনের লাভ হবে।’

‘সম্মেলন যদি না হয় তাহলে যোগ্য নেতাদের মূল্যায়ন হওয়ার সুযোগ থাকে না। চট্টগ্রামে বহু নেতা কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব দেওয়ার মতো, কিন্তু আপনাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা বা নিষ্ক্রিয়তার কারণে মূল্যায়ন হচ্ছে না। প্রতি তিন বছর পর পর সম্মেলন হলে যোগ্য নেতৃত্ব চলে আসবে।’— যোগ করেন হানিফ।

দলের যুগ্ম সম্পাদক মাহবুব উল আলম হানিফ প্রয়াত মহিউদ্দীন চৌধুরীর প্রসঙ্গ টেনে বলেন, ‘চট্টগ্রামে রাজনীতির একটি ইতিহাস আছে। চট্টগ্রাম বন্দর থেকে মহিউদ্দিন চৌধুরী আন্দোলন করে সারাদেশ অচল করে দিয়েছিলেন। চট্টগ্রাম থেকে মহিউদ্দিন চৌধুরী দেখিয়েছিলেন আন্দোলন কিভাবে করতে হয় ও ন্যায্য দাবি কিভাবে আদায় করতে হয়। চট্টগ্রামের আন্দোলন সারাদেশে আওয়ামী লীগ নেতাদের অনুপ্রেরণা যুগিয়েছে। যার কারণে চট্টগ্রামে সাংগঠনিক দুর্বলতা আসাটা দুঃখজনক। আমরা চাই, তৃণমূল থেকে সাংগঠনিক কোথায় কি দুর্বলতা আছে- সেটা দূর করে কিভাবে সম্মেলন করা যায়, কোন সমস্যা আছে, সেটা এখানে সমাধান করতে চাই। সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর জন্য সবাই আন্তরিকভাবে কাজ করবেন।’

রবিবার সকাল থেকে সংশ্লিষ্ট সাংসদদের উপস্থিতিতে ধারাবাহিকভাবে চট্টগ্রাম- ৪, ৫, ৮, ৯, ১১ ও ১৩ সংসদীয় আসনের সাংগঠনিক কার্যক্রম পর্যালোচনা করা হয় সভায়।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক হুইপ আবু সাঈদ মাহমুদ আল স্বপন, মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দিন চৌধুরী, দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি মোছলেম উদ্দিন আহমদ এমপি, মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আ জ ম নাছির উদ্দীন প্রমুখ।

(ঢাকাটাইমস/২১জুন/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

ফেসবুক আইডি ক্লোন করে প্রতারণার মাধ্যমে অর্থ আত্মসাৎ, যুবক গ্রেপ্তার

ফরিদপুর প্রেসক্লাবের নবনির্বাচিত নেতৃবৃন্দের সঙ্গে পুলিশ সুপারের মতবিনিময়

পতেঙ্গায় ফিশিং বোটের ইঞ্জিন বিস্ফোরণে ৪ জন দগ্ধ

চট্টগ্রামে ঈদকে সামনে রেখে জালনোট চক্রের ৩ সদস্য গ্রেপ্তার

বরিশালে নামাজের সময় মসজিদের এসি বিস্ফোরণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে দ্রুতগতির লেনে যাত্রী নামানোর অপরাধে ৩৩ যানবাহনকে মামলা 

বরগুনা প্রেসক্লাব দখলের মামলায় ৭ জন কারাগারে  

পর্যটকদের আকৃষ্ট করছে তাহিরপুরের শহীদ সিরাজ লেক

ঝিনাইদহে ভর্তুকি মূল্যে টিসিবির পণ্য বিক্রি শুরু

ঢাকা-ময়মনসিংহ সড়কে বেতন বৃদ্ধির দাবিতে শ্রমিকদের বিক্ষোভ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :