লক্ষ্মীপুরে ভোট কেন্দ্রে সংঘর্ষ, আহত ৩০

নিজস্ব প্রতিবেদক, লক্ষ্মীপুর
 | প্রকাশিত : ২১ জুন ২০২১, ১৯:২১

জালভোট, কেন্দ্র দখল, হামলা, সংঘর্ষ ও ভাঙচুরের মধ্য দিয়ে লক্ষ্মীপুরে রামগতি ও কমলনগর উপজেলার ছয়টি ইউনিয়নে ভোট শেষ হয়েছে।

ভোট চলাকালে সোমবার দুপুরে তোরাবগঞ্জের উত্তর চরপাগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল আহমদ রতন ও আওয়ামী লীগের প্রার্থী মির্জা আশ্রাফুল জামাল রাসেলের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়। এতে উভয় পক্ষের অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে।

এ সময় জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি গোলাম ফারুক পিংকুর গাড়িসহ পাঁচটি গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। পরে বিজিবি ও পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।

এর আগে কেন্দ্রের বাইরে বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনা ঘটে। এছাড়া মধ্য চরপাগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, তোরাবগঞ্জ ইসলাম পাড়া আনসার আলী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।

অন্যদিকে রামগতির পোড়াগাছার কোডেক কলোনির নোমানাবাদ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রেও সংঘর্ষ হয়। এ সময় পাঁচজন আহত হয়। একই উপজেলার চররমিজ ইউপির উত্তর পূর্ব চর আফজাল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, আজাদ মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় ও চররমিজ দক্ষিণ পশ্চিম সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রে হামলা, পাল্টা হামলা ও সংঘর্ষে আরো ১০জন আহত হয়। আহতদের রামগতি, কমলনগর ও সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এছাড়া চরবাদাম, হাজিরহাট ও চরফলকন ইউপির কয়েকটি কেন্দ্রে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া হয়।

তবে বিদ্রোহী ও স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থীদের অভিযোগ, প্রতিটি ইউপির ভোট কেন্দ্র থেকে তাদের এজেন্টদের বের করে দিয়ে প্রকাশ্যে নৌকা মার্কা সিল মারা অভিযোগ করেন তারা। এছাড়া পথে পথে ভোটারদের কেন্দ্রে আসতে বাধা ও মারধর করা হয়।

এদিকে তোরাবগঞ্জ ইউপির আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী চেয়ারম্যান প্রার্থী ফয়সাল আহমদ রতন অভিযোগ করে বলেন, ‘পুলিশ, প্রিজাইডিং অফিসারের নেতৃত্বে নৌকা মার্কায় সিল মারা হয়। এসব বিষয়ে অভিযোগ দিয়ে কোনো লাভ হয়নি। এছাড়া কয়েকটি কেন্দ্রে জালভোট দিতে বাধা দেয়ায় আমার কর্মীদের ওপর হামলা চালিয়েছে নৌকার সমর্থকরা। এছাড়া আমার বাড়িতেও হামলা করা হয়। এতে কমপক্ষে ২০ জন গুরুতর আহত হয়।’

তবে নৌকার প্রার্থী মির্জা আশ্রাফুল জামাল রাসেলের দাবি, বিনা উস্কানিতে রতনের লোকজন নৌকা সমর্থকদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। এতে বেশ কয়েকজন আহত হয়।

ভোট দিতে কেন্দ্রে আসা ভোটার রহিম উদ্দিন, বিলবিছ বেগম, ছালামত উল্যাহসহ অনেকে বলেন, প্রকাশ্যে নৌকা মার্কায় সিল মারতে হয়। পছন্দের কোনো প্রার্থীকে ভোট দিতে পারেননি। এটি কোনো ভোট নয়, যেন জাল ভোট আর কেন্দ্র দখলের মহোৎসব চলছে।

তবে এসব অভিযোগ অস্বীকার করে মধ্য চরপাগলা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় ভোট কেন্দ্রের প্রিজাইডিং অফিসার আবদুল কুদ্দুস বলেন, ‘অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে ভোট গ্রহণ হচ্ছে। বড় ধরনের কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটেনি।’

কমলনগর ও রামগতি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোসলেহ উদ্দিন ও সোলাইমান উদ্দিন জানান, কয়েকটি কেন্দ্রে বিক্ষিপ্তভাবে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। পরে পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এসব বিষয়ে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।

(ঢাকাটাইমস/২১জুন/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :