আওয়ামী লীগ ও আলফা ইনস্যুরেন্স কোং

আব্দুল্লাহ আল হাদী
 | প্রকাশিত : ২২ জুন ২০২১, ১৭:০৬

'এটি প্রতীয়মান হয় যে এই পদ্ধতিতে তিনি (শেখ মুজিবুর রহমান) তাঁর উপর আরোপিত রেস্ট্রিকশনের অন্তরালে কাজ করতে চাচ্ছেন।' গোয়েন্দা রিপোর্ট, [ঢাকা, ২০ এপ্রিল, ১৯৬০. নম্বর ৩৫২২/ আর.২৩৪৮/১০০-৪৯ পি.এফ.]

রাজনীতি তখন সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ, আওয়ামীলীগকে বিলুপ্ত ঘোষণা করা হয়েছে, রাজনীতিবিদের নামে এবডো জারি করা হচ্ছে, সামরিক শাসনের নামে যা যা করা যায় না, তাও করা হচ্ছে। এর মধ্যে দীর্ঘ ১ বছরের বেশি সময় নির্যাতন মূলক কারাভোগের পর ১৭ ডিসেম্বর ১৯৫৯ বঙ্গবন্ধু মুজিবকে মুক্তি দেয়া হয়। সাথে সাথে তাঁর চলাচলের উপর বেশ কিছু রেস্ট্রিকশন ও জুড়ে দেয়া হয়, যেমন তাঁর যে কোনো মুভমেন্টের জন্য থানায় অবগত করতে হতো, ভাষণ বক্তৃতা বিবৃতি নিষেধ ছিল। যে কোনো কাজের জন্য সরকার তাঁর কাছে কৈফত তলব করতে পারত। চলা-ফেরা, বন্ধু-বান্ধব আত্মীয়-স্বজন সবকিছুই তাঁকে নজরদারির মধ্যে করতে হতো।

তখন বঙ্গবন্ধু একটা বিশেষ পদ্ধতির ছদ্মবেশ নিলেন। তিনি আলফা ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে কন্ট্রোলার পদে যোগদান করলেন এবং এ ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে যোগদানের নামে তিনি বিভিন্ন জেলায় জেলায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের সংগঠিত করতে থাকলেন। তিনি সেখানে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের কোম্পানির এজেন্ট হিসেবে নিয়োগ দিতে থাকলেন। তিনি কোম্পানির কাজের কথা উল্লেখ করে প্রায়ই ঢাকার বাইরে যেতে থাকেন। তারমধ্যে নারায়ণগঞ্জ ও চট্রগ্রামের উল্লেখ পাওয়া যায় সবচেয়ে বেশি।

গোয়েন্দারা বঙ্গবন্ধু মুজিবের নিয়মিত (প্রায় প্রতিদিনের) নারায়ণগঞ্জ ভিজিট নিয়ে একটি প্রতিবেদনে লিখছেন- [ঢাকা, ২৪ মার্চ, ১৯৬০. নম্বর ২৮৪০/১০০-৪৯ পি.এফ.]

'নারায়ণগঞ্জ খুব খারাপ জায়গা এবং রাজনীতির জন্য গরম বিছানা। তিনি (শেখ মুজিবুর রহমান) সম্ভবত সেখানে রাজনীতিবিদ, শ্রমিক, এবং রাষ্ট্রবিরোধী এবং সমাজবিরোধীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন।'

'এ সবের মধ্য দিয়ে তিনি (শেখ মুজিবুর রহমান) সম্ভবত লম্বা দড়ি চায়, যাতে করে এদের সঙ্গে তাঁর রাজনৈতিক যোগাযোগ রক্ষা সম্ভব হয়।' (আ খালেক - এডিশনাল সুপারিন্টেডেন্ট অফ পুলিশ, ডি.আই.বি., ঢাকা. ২০.০৪.১৯৬০)।

৬ জুলাই ১৯৬০, আরেকটি গোয়েন্দা রিপোর্টে [ডি.এস. আই/জেড আই] বঙ্গবন্ধু মুজিবের নারায়ণগঞ্জে একটা ভিজিটের বর্ণনা দেয়া আছে এবং পাশাপাশি একটা সাইড নোটে উল্লেখ করেছে-

'শেখ মুজিবুর রহমান আলফা ইনস্যুরেন্স কোম্পানির এজেন্সি দেয়ার মাধ্যমে নিষিদ্ধ আওয়ামী লীগ নেতা-কর্মীদের অর্থনৈতিক সাহায্য দেয়ার চেষ্টা করছেন। যেমনভাবে তিনি চট্রগ্রামে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম. এ আজিজকে আলফা ইনস্যুরেন্স কোম্পানির চট্রগ্রাম অফিসের দায়িত্ব দিয়েছেন।'

এরপর একই বছরের আগস্টে [নম্বর ১৫০০২/৬০৬-৪৮ পি.এফ. ১৫.৮.১৯৬০. সিক্রেট এক্সপ্রেস। এডিশনাল এস.পি ডি.আই.বি ঢাকা] গোয়েন্দাদের প্রতি আরেক নির্দেশনায় দেখা যায়, তাদেরকে নজরদারি বেশি জোরালো করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে বিশেষত হোসেন শহীদ সোহোরাওয়ার্দ্দী, শেখ মুজিবুর রহমান, ও মানিক মিঞা এই তিন জনের উপর।

পাশাপাশি ডিআইজি অফিসের বরাত দিয়ে আগস্টেই আলফা ইনস্যুরেন্স কোম্পানির তথ্য সম্বলিত ডিটেলস একটা প্রতিবেদন চেয়ে পাঠানো হয়েছে, এবং সেখানে শেখ মুজিবুর রহমানের সাথে ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সংযুক্ততার সূত্র ও জানতে চাওয়া হয়েছে। এবং সেপ্টেম্বরে এর ফিরতি রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে সেখানে [সিক্রেট, নম্বর ১৯৪১৮ /৬০৬ - ৪৮ পি.এফ.] তারা জানাচ্ছে- 'আলফা ইনস্যুরেন্স কোম্পানি এটি করাচির আইডিয়াল লাইফ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির একটা অংশ।

আরো জানা যায় স্বাধীনতা পূর্ববর্তী সময়ে এটির নাম ছিল 'ইন্ডিয়ান লাইফ ইনস্যুরেন্স' যা পর্তুগিজদের দ্বারা ১৮৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। যদিও এর হেডকোয়ার্টার ছিল করাচি। তবু এর বেশি ব্যবসা ছিল বোম্বে ও ইন্ডিয়ার অন্যান্য জায়গায়। এবং স্বাধীনতার (১৯৪৭ এর) পরেও তারা কলকাতা কেন্দ্রিক বড় ব্যবসা গড়ে তুলতে চেয়েছিল, কিন্তু ইন্ডিয়ান সরকার ইনস্যুরেন্স ব্যবসা জাতীয়করণ করার কারণে তারা তাদের ব্যবসা পাকিস্তানে সুইচ করে। কোম্পানির নাম পরিবর্তন করে রাখা হয় আইডিয়াল এস্যুরেন্স কোং. লি.। এর দুটি ভাগ আইডিয়াল এস্যুরেন্স যা সাধারণ সেকশন এবং অন্যটি আলফা ইনস্যুরেন্স কোং, যা লাইফ সেকশন দেখভাল করে। ১৯৫৬ সাল থেকে এখানে বিজনেস ম্যাগনেট ইউসুফ আব্দুল্লাহ হারুনদের ন্যায় মুসলিম ডিরেক্টরদের অন্তর্ভুক্ত করা হয়।'

এরপর রিপোর্টে বোর্ড অফ ডিরেক্টরদের নাম ও তাঁদের কর্ম বণ্টন দেয়া হয়েছে। এবং শেষে গিয়ে উক্ত রিপোর্টে বলা হচ্ছে- 'পূর্বপাকিস্তানের বিভিন্ন জেলায় এর (আলফা ইনস্যুরেন্স কোম্পানির) যে সকল এজেন্সি খোলা হয়েছে যার অধিকাংশই পূর্বের আওয়ামী লীগের কর্মীদের দ্বারা পরিচালিত।'

এরপর [সিক্রেট, নম্বর এসবি/৬/অফিস অফ দ্য সুপারিন্টেনডেন্ট অফ পুলিশ, সি.আই.ডি করাচি, সেকেন্ড জানুয়ারি ১৯৬১] এর আরেকটি রিপোর্টে দেখা যাচ্ছে- সেখানে প্রথমে আলফা ইনস্যুরেন্স কোম্পানির ডিরেক্টরদের নাম পরিচয় দেওয়া আছে। তারপর বলা হচ্ছে [ডি.এস. (৬).] -

'কোম্পানিটি পুরোপুরি রাজনৈতিকভাবে একীভূত হয়েছে কিনা তা বলা যাচ্ছে না, তবে শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে আওয়ামীলীগ এর উপর প্রভাব বিস্তার করে চলছে তা নিশ্চিতরূপে বলা যায়।'

আরো বলা হচ্ছে 'শেখ মুজিবুর রহমান বর্তমান সময়ে কথা-বার্তায় খুবই সতর্ক এবং তিনি কারো সাথে রাজনীতি নিয়ে কথা বলতে সম্পূর্ণ এড়িয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এটি অস্বীকার করা যাবে না -যে তিনি ইনস্যুরেন্স ব্যবসার অন্তরালে অনেক সংখ্যক সাবেক আওয়ামীলীগ নেতা-কর্মীদের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করে চলছেন।'

এছাড়া সেখানে উল্লেখিত একটি পার্সোনাল হিস্টোরি শিটে [নম্বর ৭৩৭৮(৪)/বি.ডি.এস.বি, লাহোর, ২০.৮.১৯৬০.] দেখা যাচ্ছে- 'তিনি (শেখ মুজিবুর রহমান) যখন এ কোম্পানির কাজে বিভিন্ন জেলায় জেলায় ভ্রমণ করছেন তখন তিনি আওয়ামীলীগের নেতাকর্মীদের সঙ্গে দেখা করছেন। এবং জনগণের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করার জন্য তিনি এখন জেলায় জেলায় আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীদের দিয়ে এ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির ব্রাঞ্চ খোলানোর চেষ্টা করছেন। তাঁকে জনাব হোসেন শহীদ সোহোরাওয়ার্দ্দীর সাথে তাঁর ঢাকা ভিজিটের সময়ও মিটিং করতে দেখা গেছে।'

এরপর একটা শর্ট নোটের শেষের দিকে বলা হচ্ছে- '১৯৬০ এর এপ্রিলে শৈলেন্দ্র চন্দ্র ঘোষ, ইন্ডিয়ান হাইকমিশনার ঢাকা, শেখ মুজিবুর রহমানের বাসায় তাঁর সাথে দেখা করেন। এবং সেখানে মার্শাল' ল জারির কারণে নানা দুর্ভোগের প্রসঙ্গ আলোচনা হয়। এবং ১৯৬০ এর জুন মাসে সাবেক মন্ত্রী দিলদার আহমেদের সাথে এক ইনফরমাল আলোচনা কালে তিনি (শেখ মুজিবুর রহমান) কথা প্রসঙ্গে জানিয়েছেন সারা জেলা শহরগুলোতে তিনি আলফা ইনস্যুরেন্স কোম্পানির ব্রাঞ্চ খুলবেন এবং ব্রাঞ্চ ম্যানেজার হিসেবে নিষিদ্ধ আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক গণকে সেখানে সেখানে নিয়োগ দিবেন। যা ইতোমধ্যে চট্রগ্রাম, নারায়ণগঞ্জ, ঢাকা সিটিতে সম্পন্ন হয়েছে। তিনি কথা প্রসঙ্গে আরো প্রকাশ করেন -দেশে মার্শাল' ল জারির পর থেকে আওয়ামীলীগ নেতারা যোগাযোগ শূন্য হয়ে পড়েছে, এবং তাঁদের মধ্যে অনেক আওয়ামীলীগ নেতারা নিদারুণ অর্থ কষ্টে দিনাতিপাত করছে। তিনি তাঁদের এই নিয়োগের মাধ্যমে তাঁদের সাথে যোগাযোগ স্থাপন ও আর্থিকভাবে সাহায্য করতে চান।' (ডিসট্রিক্ট ইন্টেলিজেন্স ব্রান্স, ঢাকা, ২৫ অক্টোবর ১৯৬০। মেমো নং ৯৩৯৬/১০০-৪৯ পি.এফ. আর.৬৯৪৮)

এরপর থেকে গোয়েন্দারা আলফা ইনস্যুরেন্স নাম দেখলেই পিছু নেওয়া শুরু করতে শুরু করল- কে কোন অবস্থান থেকে, কীভাবে, কবে থেকে এ কোম্পানিতে যুক্ত হয়েছে, তাদের রাজনৈতিক সম্পৃক্ততা কোন পর্যায়ের ইত্যাদি ইত্যাদি। ফেব্রুয়ারি ১৯৬১, এর কয়েকটি রিপোর্ট থেকে জানা যায় তারা আলফা ইনস্যুরেন্স কোম্পানি সম্বন্ধে কোয়াইট ইনকোয়ারি চালাচ্ছে, তার জন্য [মেমো নং ২২৭০/৬০৬-৪৮/পি.এফ] একটি আবেদনে করাচি থেকে উচ্চপদস্থ অভিজ্ঞ গোয়েন্দা কর্মকর্তা নিয়োগেরও সুপারিশ করা হয়েছে।

তারপর দেখা যাচ্ছে মার্চ ১৯৬১, থেকে -চট্রগ্রাম, নোয়াখালী, খুলনা, সিলেট, যশোর, দিনাজপুর, কুমিল্লা, বগুড়া, রংপুর, ফরিদপুর, বাকেরগঞ্জ, কুষ্টিয়া, ময়মনসিংহ, পাবনা, একে একে সব জেলাগুলো থেকে আলফা ইন্স্যুরন্স কোম্পানির সম্বন্ধে তথ্য আসতে থাকে।

ডিএসভি - আলফা ইনস্যুরেন্স কোম্পানির ইস্ট পাকিস্তান নামে একটি রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে- 'কিছু কিছু সরকারি সংস্থা বিশেষত যোগাযোগ, রেলওয়ে, খাদ্য, ট্রান্সপোর্ট এ ইনস্যুরেন্স কোম্পানির সাথে কাজ করে যাচ্ছে।'

ডি.এস.(৬) সিক্রেট লেখা আরো একটি রিপোর্টে বলা হচ্ছে- 'এটি পরিষ্কারভাবে লক্ষণীয় যে যখন থেকে শেখ মুজিবুর রহমান কোম্পানিটিতে যুক্ত হয়েছেন, তখন থেকে কোম্পানিটি দ্রুত লাভজনক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হতে শুরু করেছে প্রদেশটিতে। এর কারণ শেখ মুজিবুর রহমানের ব্যক্তিগত সুনাম ও তাঁর বিশ্বস্ত সহযোগীদের সঠিকভাবে কাজে লাগানো, যারা এক সময় সকলে তাঁর (শেখ মুজিবুর রহমানের) আওয়ামী লীগের সহকর্মী ছিলেন।

কোম্পানিটি সরকারের দপ্তরগুলো থেকে কোন সাহায্য পাচ্ছে তার প্রমাণ পাওয়া যায় নি, তবে কোম্পানিটি কলকারখানা এবং ডব্লিউ.এ.পি.ডি.এ থেকে ব্যবসা আসা করছে।

নিচে কয়েকজন প্রাক্তন আওয়ামীলীগারদের নাম, যারা আলফা ইনস্যুরেন্স কোম্পানিতে কাজ করছেন। ১। গোলাম মোস্তফা - ঢাকা (এক্স জেনারেল সেক্রেটারি সিটি আওয়ামীলীগ) ২। নুরুল ইসলাম - চাঁদপুর (এক্স আওয়ামীলীগ ওয়ার্কার, ঢাকা) ৩। আ. আজিজ - চট্রগ্রাম (এক্স জেনারেল সেক্রেটারি চট্রগ্রাম জেলা আওয়ামীলীগ) ৪। রফিকউদ্দিন ভুঁইয়া - ময়মনসিংহ (এক্স জেনারেল সেক্রেটারি ময়মনসিংহ জেলা আওয়ামীলীগ) ৫। সামসুজ্জোহা - নারায়ণগঞ্জ (এক্স আওয়ামীলীগার নারায়ণগঞ্জ আওয়ামীলীগ) কোম্পানিটি পুরোপুরি আওয়ামীলীগে অঙ্গীভূত হয়েছে কিনা তা জানা যায় নি। তবে শেখ মুজিবের নেতৃত্বে এক্স আওয়ামীলীগাররা সেখানে কাজ করছে।' [নম্বর ৮৩৭৫, ৮.৫.৬১/৬০৬-৪৮ পিএফ]

এরপর আরেকটি রিপোর্টে আওয়ামীলীগের ইনসাইট কর্মকাণ্ড নিয়ে সেখানে বলা হচ্ছে- [ঢাকা, ১১ এপ্রিল ১৯৬১। অরিজিনাল ইন ফাইল ১৩-৫৪(এম.এফ) জি এল]

'১। 'বর্তমান সময়ে আওয়ামী লীগের জেগে ওঠার তেমন কোন কার্যক্রম নেই। মার্শাল' ল জারির পর থেকে আওয়ামীলীগ কোন কার্যক্রমে অংশ নিতে সাহস করে নি। তবে তারা চোখ-কান খোলা রেখেছে।

২। আওয়ামী লীগ নেতারা কর বৃদ্ধি, কাপড়ের ডে-কন্ট্রোল, নিত্য মূল্যের ঊর্ধ্বগতি নিয়ে জনগণের জাগরণ আসা করছে।

৩। আরো জানা যাচ্ছে যে বামপন্থি ন্যাপ, কমিউনিস্ট পার্টির নেতারা যারা অনেকেই পুলিশের ওয়ান্টেড তালিকার তাঁরা আওয়ামীলীগ নেতা শেখ মুজিবুর রহমান সহ আওয়ামীলীগের একে অপরের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে চলেছেন। সম্প্রতি সময়ে শেখ মুজিবুর রহমান অন্যদের সাথে কথা বলতে খুবই সতর্ক রয়েছেন। তিনি যাদের বিশ্বাস করেন না তাদের কাছে মনের কথা গোপন করে চলছেন।

৪। তিনি (শেখ মুজিবুর রহমান) বন্ধুদের সাথে আলফা ইনস্যুরেন্স কোম্পানির অফিসেই দেখা করেন। সম্প্রতি সময়ে তিনি আমেরিকার প্রফেসর উইলকক্সের সাথে একটি মিটিং করেছেন যেখানে সংবিধান, কনফেডারেশন, এবং ফেডারেশন নিয়ে আলোচনা হয়েছে।'

[Secret Document Of Intelligence Branch on Father Of The Nation Bangabandhu Sheikh Mujibur Rahman, vol-6. page- 32, 33, 152, 183, 187, 189, 193, 328, 343,

আসলে এতোসব কিছু জানার পর এটি সরলভাবে প্রতীয়মান হয় যে- শত প্রতিকূলতার পরিবেশ তৈরি করেও বঙ্গবন্ধু মুজিবকে কোন কিছু দিয়েই দাবানো সম্ভব হয় নি, বারবারই বঙ্গবন্ধু মুজিব তাঁর নিজস্ব উদ্ভাবনী নতুন নতুন কৌশলে এগিয়ে গেছেন বাঙালির মুক্তির শেষ দিন পর্যন্ত। বঙ্গবন্ধু মুজিব বাঙালির মুক্তির জন্য লক্ষ্যে অবিচল থেকে বার বার নতুন হয়ে জন্ম নিয়েছেন তাঁর নিজের মধ্যে।

লেখক: কবি ও গবেষক

সংবাদটি শেয়ার করুন

মতামত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :