আরও ৭৬ মৃত্যু, শনাক্ত ৭০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ

প্রকাশ | ২২ জুন ২০২১, ১৭:৫২ | আপডেট: ২২ জুন ২০২১, ১৮:০০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

দেশে গত এক দিনে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন আরও ৭৬ জন। উল্লেখিত সময়ে শনাক্ত হয়েছেন ৪ হাজার ৮৪৬ জন, যা ৭০ দিনের মধ্যে সর্বোচ্চ। এতে দৈনিক শনাক্তের হার বেড়ে ১৯.৩৬ শতাংশ হয়েছে। এর আগে গত ১৪ এপ্রিল এর চেয়ে বেশি করোনা রোগী শনাক্ত হয়েছিল। সেদিন ৫ হাজার ১৮৫ জন শনাক্ত হন। 

মঙ্গলবার বিকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তি থেকে এসব তথ্য জানা যায়।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২৪ ঘণ্টায় ২৫ হাজার ২৮টি নমুনা পরীক্ষায় ৪ হাজার ৮৪৬ জন শনাক্ত হন। এ নিয়ে মোট শনাক্ত ৮ লাখ ৬১ হাজার ১৫০ জন। ২৪ ঘণ্টায় শনাক্তের হার ১৯.৩৬ শতাংশ। গতকাল ছিল ১৯.২৭। এ পর্যন্ত শনাক্তের মোট হার বেড়ে ১৩.৫০ শতাংশ হয়েছে।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানায়, গত একদিনে যারা মারা গেছেন তাদের মধ্যে পুরুষ ৪২ জন ও নারী ৩৪ জন। ২৪ ঘণ্টায় মৃতদের মধ্যে ২১ থেকে ৩০ বছরের মধ্যে ১ জন, ৩১ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ৮জন, ৪১ থেকে ৫০ বছরের মধ্যে ৭ জন, ৫০ থেকে ৬০ বছরের মধ্যে ২৩ জন ও ষাটোর্ধ্ব ৩৭ জন রয়েছেন। এ নিয়ে মোট মারা গেছেন ১৩ হাজার ৪৬৬ জন।

এদিকে গত একদিনে করোনা থেকে সুস্থ হয়েছেন ২ হাজার ৯০৩ জন। এ পর্যন্ত সুস্থ হয়েছেন ৭ লাখ ৮৮ হাজার ৩৮৫ জন।

দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে ছিল। তখন শনাক্তের হারও ৫ শতাংশের নিচে নেমেছিল। তবে গত মার্চ মাস থেকে মৃত্যু ও শনাক্ত আবার বাড়তে থাকে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মানদণ্ড অনুযায়ী, কোনো দেশে টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় পরীক্ষার বিপরীতে রোগী শনাক্তের হার ৫ শতাংশের নিচে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে ধরা যায়। সে হিসেবে বাংলাদেশে করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নেই বলা হয়।

এরমধ্যে গত ১৬ এপ্রিল দেশে দৈনিক মৃত্যু একশো ছাড়ায়। সেদিন ও তার পরদিন ১৭ এপ্রিল ১০১ করে মৃত্যু হয় করোনায়। ১৮ এপ্রিল ১০২ জন ও ১৯ এপ্রিল ১১২ জন মারা যান, যা একদিনে সর্বোচ্চ।

বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন। করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় প্রথমে ২১ এপ্রিল ও পরে তা বাড়িয়ে ২৮ এপ্রিল পর্যন্ত লকডাউন ঘোষণা করেছিল সরকার। এরপর সেটি ধাপে ধাপে বাড়িয়ে ১৬ জুলাই পর্যন্ত করা হয়েছে।

(ঢাকাটাইমস/২২জুন/ইএস)