বাগেরহাটে শিশু হত্যার দায়ে দুই শিশুর সাত বছরের দণ্ড

বাগেরহাট প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২২ জুন ২০২১, ১৮:৩৬

বাগেরহাটে মোংলায় মো. হৃদয় (১৬) নামে এক শিশুকে হত্যার দায়ে দুই কিশোরকে সাত বছরের কারাদন্ড দিয়েছে আদালত। দণ্ডিতরা শিশু হওয়ায় তাদের কারাগারে না রেখে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে রাখার আদেশ দেয় আদালত।

মঙ্গলবার বিকালে বাগেরহাট নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর হাকিম নূরে আলম আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন।

তারা হলেন- বাগেরহাটের মোংলা পৌরসভার মালগাজী এলাকার প্রয়াত মো. বাবুল হাওলাদারের ছেলে মো. জিহাদুল ইসলাম জিহাদ (১৭) এবং একই এলাকার আমির হোসেনের ছেলে শাহীন হোসেন (১৭)।

নিহত মো. হৃদয় মোংলা পৌরসভার আব্দুল হাই সড়কের মো. দুলাল তালুকদারের ছেলে।

রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী রণজিৎ কুমার মণ্ডল বলেন, খুনের শিকার হৃদয় ও দণ্ডিত আসামি জিহাদুল ও শাহীন এরা পরস্পরের বন্ধু ছিল। এরা তিনজনই মাদকাসক্ত। ঘটনার দিন ২০১৭ সালের ২৯ মে রাত আটটার দিকে মাদকসেবন করা নিয়ে হৃদয়ের সাথে শাহীন ও জিহাদের দ্বন্দ্ব হয়। দ্বন্দ্বের জেরে শাহীন ও জিহাদ দুজনে মিলে হৃদয়কে মাথায় আঘাত করে পরে শ^াসরোধে হত্যা করে নৌবাহিনীর ক্যাম্পের ভেড়িবাঁধ এলাকায় মরদেহটি ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এরপর দিন হৃদয়ের মরদেহটি পুলিশ উদ্ধার করে।

এই ঘটনায় ৩০ মে নিহত হৃদয়ের বাবা মো. দুলাল তালুকদার অজ্ঞাতনামাদের বিরুদ্ধে মোংলা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। মামলাটি পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগকে (সিআইডি) তদন্তভার দিলে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পুলিশ পরিদর্শক মো. খলিলুর রহমান ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই নিহতের দুই বন্ধু জিহাদ ও শাহীনকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা হত্যার কথা স্বীকার করলে ওই বছরের ৩১ ডিসেম্বর মামলার তদন্ত শেষে তদন্ত কর্মকর্তা আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। আদালতের হাকিম ১৭ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করেন। দীর্ঘ শুনানি শেষে অপরাধ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় তাদের প্রত্যেককে সাত বছরের আটকাদেশ দেয়া হয়। আসামিরা শিশু হওয়ায় ২০১৩ সালের ৩৪ ধারা মতে সাত বছর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে রাখার আদেশ দেন। আসামি পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন আইনজীবী বিধান চন্দ্র মণ্ডল।

(ঢাকাটাইমস/২২জুন/এলএ)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :