হেফাজত নেতাদের বিরুদ্ধে উবায়দুল মোকতাদিরের মামলার আবেদন খারিজ

প্রকাশ | ২২ জুন ২০২১, ২২:২৮

নিজস্ব প্রতিবেদক
ঢাকাটাইমস
উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরী।

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টির অভিযোগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার হেফাজতে ইসলামের ১৯ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে স্থানীয় সংসদ সদস্য র আ ম উবায়দুল মোকতাদির চৌধুরীর মামলার আবেদন খারিজ করে দিয়েছে চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনাল। 

মঙ্গলবার বিকালে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলার আবেদনটি করেছিলেন ব্রাহ্মণবাড়িয়া-৩ আসনের (সদর ও বিজয়নগর) এমপি মোকতাদির। ট্রাইব্যুনালের বিচারক এ কে এম তোফায়েল হাসান পরে আবেদনটি খারিজ করে দেন।

সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদনে হেফাজতের ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা কমিটির সভাপতি সাজিদুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মুবারক উল্লাহসহ ১৯ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছিল। হেফাজতের কেন্দ্রীয় যুগ্ম মহাসচিব সাজিদুর ব্রাহ্মণবাড়িয়া জামিয়া ইসলামিয়া ইউনুসিয়া মাদ্রাসার মুদাররেস ও মুবারক ওই মাদ্রাসার অধ্যক্ষ।

সংসদ সদস্যের আইনজীবী ইকবাল হোসাইন বলেন, ‘বাদী সশরীরে হাজির হয়ে আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। অভিযোগের সপক্ষে আমরা ফেইসবুকের লিংক, ছবি ও ভিডিও পেনড্রাইভে করে এবং এসবের কালার ফটোকপিও জমা দিয়েছিলাম। আদালত রাতে দেয়া আদেশে মামলাটি গ্রহণ করেননি বলে শুনেছি। আমরা পূর্ণাঙ্গ আদেশ পাইনি।’

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সফরকে কেন্দ্র করে গত ২৬ থেকে ২৮ মার্চ হেফাজতের বিক্ষোভ-হরতাল থেকে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ব্যাপক সহিংসতা ও রেলওয়ে স্টেশন, পুলিশ সুপারের কার্যালয়, খাঁটিহাতা হাইওয়ে থানা, জেলা পরিষদ কার্যালয়, জেলা পরিষদ ডাক বাংলো, পৌরসভা কার্যালয়সহ বেশ অনেক জায়গায় অগ্নিসংযোগ করা হয়। ফেসবুকে ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে ওই সহিংসতা ঘটানো হয় অভিযোগে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলার আবেদনটি করেন উবায়দুল মোকতাদির। ওইসব ঘটনায় ৫৬টি মামলাও হয়েছে।

সাংসদের আইনজীবী ইকবাল হোসাইন জানান, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৭, ২৮, ২৯, ৩১ ও ৩৫ ধারায় অভিযোগ করা হয়।  

এসব ধারায়- ভয় ভীতি প্রদর্শন ও আক্রমাণাত্মক তখ্য উপাত্ত প্রেরণ, সোশ্যাল মিডিয়া ও ইউটিউব চ্যানেল ব্যবহার করে প্রচারণা চালানো, সাইবার সন্ত্রাসী কার্য সংগঠন, ইলেকট্রনিক বিন্যাসে ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত, ধর্মীয় উন্মাদনা তৈরিতে ডিজিটাল মাধ্যম ব্যবহার করে প্রচারণা চালানো এবং গণমাধ্যমে মিথ্যা তথ্য প্রচার করে ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন করার অভিযোগ আনা হয়।

ইকবাল বলেন, ‘ফেসবুকসহ ইলেকট্রনিক বিন্যাসে ধর্মীয় মূল্যবোধে আঘাত করে বিভিন্ন প্রচারণার পাশাপাশি ৩১২ জনের নাম উল্লেখ করে বলেছে, ‘তারা মারা গেলে তাদের জানাজা পড়বেন না।’ এছাড়া কিভাবে হামলা করতে হবে সেজন্য অনুসারীদের সহিংসতার সময় লুঙ্গি না পড়তে, জিন্স ও হেলমেট পড়তে নির্দেশনা দেয়া হয়।

অভিযোগে আরও বলা হয়, ‘এরপর ৩১ মার্চ তারা একটি সংবাদ সম্মেলন করে যাবতীয় ঘটনার জন্য স্থানীয় এমপিকে দায়ী করে মিথ্যা বক্তব্য দেয় এবং মিডিয়াতে তা প্রচার করে। এতে বাদীর সুনাম ও সুখ্যাতি নষ্ট হয়।’

(ঢাকাটাইমস/২২জুন/ইএস)