বিও অ্যাকাউন্টে জমা টাকার সুদ গ্রাহককে দেয়ার নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২২ জুন ২০২১, ২৩:১৩ | প্রকাশিত : ২২ জুন ২০২১, ২৩:০৮

পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীদের বিও অ্যাকাউন্টে জমা অর্থের বিপরীতে যে সুদ আসে তা বিনিয়োগকারীদের মাঝে বণ্টনের নির্দেশ দিয়েছে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশন (বিএসইসি)।

সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বিধিমালা ২০২০ অনুযায়ী এ সংক্রান্ত একটি নির্দেশনা সোমবার (২১ জুন) জারি করেছে সংস্থাটি। এ সুদ আয় গণনা ও কীভাবে তা গ্রাহকদের মধ্যে বণ্টন করা হবে নির্দেশনায় সেটিও স্পষ্ট করা হয়েছে।

পুঁজিবাজারের বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগের জন্য স্টক ব্রোকারের কাছে যে অর্থ জমা দেন সেটি সমন্বিত গ্রাহক হিসাব নামে একটি আলাদা ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা থাকে। জমাকৃত এ অর্থের বিপরীতে যে সুদ আয় আসে তা এতদিন ধরে স্টক ব্রোকারই ভোগ করে আসছিল। তবে, গত ফেব্রুয়ারিতে সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বিধিমালা-২০২০ প্রণয়ন করা হয়। এতে সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের সুদ আয় স্টক ব্রোকারের নয়, বরং গ্রাহককে আনুপাতিক হারে বণ্টন করার কথা বলা হয়েছে। এখন থেকে সে অনুযায়ী বিধি মানতে হবে বলে নির্দেশনায় জানানো হয়।

২০২০ সালের সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বিধিমালার বিধি ৬-এর ১ উপবিধি অনুসারে, নিবন্ধিত স্টক ব্রোকারদের সমন্বিত গ্রাহক হিসাবে থাকা অর্থের বিপরীতে প্রাপ্ত সুদ আয় ব্যাংকের চার্জ পরিশোধের পর গ্রাহকদের মধ্যে আনুপাতিক হারে বণ্টন করে দিতে হবে। যদি এক্ষেত্রে সুদ আয় অবণ্টিত থাকে তাহলে তা এক্সচেঞ্জের বিনিয়োগকারী সুরক্ষা তহবিলে ৩০ কার্যদিবসের মধ্যে স্থানান্তর করতে হবে। সোমবার জারি করা বিএসইসির নির্দেশনায় সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের সুদ আয় গণনা ও কীভাবে গ্রাহকদের মধ্যে বণ্টন করা হবে সেটিও স্পষ্ট করা হয়েছে।

নির্দেশনা বলা হয়, বার্ষিক হিসাব রক্ষণাবেক্ষণ ব্যয়, ব্যাংক চার্জ ও অন্যান্য বার্ষিক চার্জ বাবদ মোট সুদ মোট আয় থেকে বাদ দিয়ে নিট সুদ আয় হিসাব গণনা করতে হবে। সমন্বিত গ্রাহক হিসাব থেকে কার্যকর সুদ আয়ের হার নির্ধারণের ক্ষেত্রে বার্ষিক নিট সুদ আয়কে সমন্বিত গ্রাহক হিসাবের বার্ষিক ক্রেডিট ব্যালেন্সের ভারিত গড় দিয়ে ভাগ করে যা থাকবে সেটিকে ১০০ দিয়ে গুণ করতে হবে। প্রতি আর্থিক বছর শেষ হওয়ার ৩০ দিনের মধ্যে স্টক ব্রোকারকে ক্রেডিট ব্যালেন্সের ভারিত গড়ের ভিত্তিতে কার্যকর সুদহার প্রয়োগ করে যোগ্য গ্রাহকদের মধ্যে নিট সুদ আয় বণ্টন করতে হবে।

বিএসইসির নির্দেশনায় কোন শ্রেণির গ্রাহকরা সুদ আয়ের অর্থ পাবেন, সেটি নির্ধারণ করে দেয়া হয়েছে। যদি কোনো আর্থিক বছরের ন্যূনতম এক মাস একজন গ্রাহকের হিসাবে ধারাবাহিকভাবে ১ লাখ টাকার ক্রেডিট ব্যালেন্স থাকে তাহলে তিনি সুদ আয় পাওয়ার যোগ্য হবেন। যদি কোনো গ্রাহকের হিসাবে এক আর্থিক বছরে কমপক্ষে ৫০০ টাকা সুদ আয় জমা হয় তাহলেও তিনি সুদ আয় পাবেন। প্রত্যেক স্টক ব্রোকারকে সমন্বিত গ্রাহক হিসাব পরিচালনা ও সংরক্ষণের জন্য নির্দেশ দিয়েছে কমিশন। পাশাপাশি এ হিসাবে থাকা অর্থ স্থায়ী আমানত হিসাবে রাখা যাবে বলে জানিয়েছে বিএসইসি।

(ঢাকাটাইমস/২২জুন/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

পুঁজিবাজার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা