অস্তিত্ব ফিরে পাওয়ার পথে 'আদি বুড়িগঙ্গা'

প্রকাশ | ২২ জুন ২০২১, ২৩:২০

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

যুগের পর যুগ ধরে অবহেলিত বুড়িগঙ্গা নদীর ‘আদি বুড়িগঙ্গা’ চ্যানেল। দখল, আবর্জনা আর সংশ্লিষ্টদের তদারকির অভাবে অনেকটা অস্তিত্ব সংকটে পড়েছে বুড়িগঙ্গা নদীর এ অংশটি। একটু দেড়িতে হলেও সীমানা নির্ধারণ হচ্ছে আদি বুড়িগঙ্গার। 

মঙ্গলবার সকালে চ্যানেলটির আধা কিলোমিটার এলাকায় সীমানা নির্ধারণ করে সীমানা খুঁটি বসিয়েছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ঢাদসিক)। 

করপোরেশনের সম্পত্তি কর্মকর্তা মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান এ খুটি স্থাপন করেছেন। 

তিনি জানান, বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলে দখলমুক্ত হওয়া জায়গায় প্রতি ৫০ মিটার পরপর মোট দশটি সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে সর্বমোট ৪৫০ মিটার সীমানা পিলার স্থাপন করে দক্ষিণ সিটি করপোরেশন। 

দক্ষিণ সিটির সম্পত্তি কর্মকর্তা জানান, বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেল দখল মুক্ত করে সেখানে জলপ্রবাহ ফিরিয়ে আনা এবং নান্দনিক পরিবেশ সৃষ্টির যে উদ্যোগ করপোরেশনের মেয়র ব্যারিস্টার শেখ ফজলে নূর তাপস গ্রহণ করেছেন। তারই অংশ হিসেবে আজকের এই সীমানা পিলার স্থাপন করা হয়েছে।

সীমানা খুঁটি স্থাপনকালে অন্যদের মধ্যে করপোরেশনের প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) লালবাগ সার্কেল লায়লা  আঞ্জুমান, বিআইডব্লিউটিএ এর সহকারী পরিচালক, ৫৬ নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর মোহাম্মদ হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।  

এর আগে ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারি ঢাকা নদী বন্দরের চার নদী ও নদীর তীর ভূমির অবৈধ দখল উচ্ছেদে নামে বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ পরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ)। সে অভিযান এখনো চলমান। 

অভিযানে নদীর পাশাপাশি আদি বুড়িগঙ্গার উপর গজিয়ে ওঠা অনেক অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়েছে। তবে এখনও আদি বুড়িগঙ্গার উপর দাঁড়িয়ে আছে শত শত পাকা, আধা পাকা ও কাচা স্থাপনা। শিল্পপতি থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতা, জনপ্রতিনিধিদের কব্জায় রয়েছে বুড়িগঙ্গার আদি চ্যানেলটি। 

সম্প্রতি চ্যানেলটি উদ্ধার করে নান্দনিক পরিবেশ তৈরি করার উদ্যোগ নিয়েছে দক্ষিণ ঢাকা কর্তৃপক্ষ। প্রস্তাবিত প্রকল্পের প্রারম্ভিক ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার কোটি টাকা। 

(ঢাকাটাইমস/২২জুন/কারই/ইএস)