পুলিশের সহায়তায় পিতৃপরিচয় পেল কিশোর

প্রকাশ | ২৩ জুন ২০২১, ১৪:৫৯

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস

কিশোর রনি যখন মায়ের গর্ভে তখন বাবা আরও একটি বিয়ে করেন। বাবার সেই সংসারে রয়েছে স্ত্রী ও সন্তান। তারা থাকেন প্রবাসে। সন্তান হিসেবে রনি বাবার স্বীকৃতি পাচ্ছিলেন না। পরে বাংলাদেশ পুলিশের পেজে বিষয়টি কেউ একজন জানায়। তদন্ত শেষে চকরিয়া থানা পুলিশ কিশোর রনি পিতৃপরিচয় ফিরে পাবার ব্যবস্থা করে।

বুধবার দুপুরে পুলিশ সদরদপ্তর থেকে পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, কক্সবাজার চকরিয়া থানার কৈয়ারবিল এলাকায় বাড়ি রনির। এখন থাকে পতেঙ্গায়। সেখানকার একটি হোস্টেল থেকে স্কুলে পড়াশোনা করেন। জন্মের আগে সে যখন মাতৃগর্ভে, তখন তার মাকে ফেলে গেছে তার বাবা। সন্তান হি‌সে‌বে কোনো স্বীকৃতি মেলেনি তার। পিতার পরিচয়বিহীন এক দুর্বিসহ জীবনযাপন করছিল কিশোর রনি। তার বাবা পুনরায় বিয়ে করে দ্বিতীয় স্ত্রী সন্তান নিয়ে বিদেশে থাকেন।

সম্প্রতি স্কুলে শিক্ষার্থীদের তথ্যভিত্তিক ডাটাবেজ তৈরি ও ইউনিক আইডি তৈরির জন্য পিতৃপরিচয়ের প্রয়োজন হয়। পিতার জাতীয় পরিচয়পত্রের কপি প্রয়োজন হয় তার। সেজন্য বাবার বাড়িতে যায় রনি। সেখানে গেলে বাবার আত্মীয়স্বজন দুর্ব্যবহার করে তাকে তাড়িয়ে দেয়। কিশোর রনির আহাজারি চোখে পড়ে এক সচেতন নারীর। তিনি পুলিশের মিডিয়া এন্ড পাবলিক রিলেশন্স উইং পরিচালিত ‘বাংলাদেশ পুলিশ অফিসিয়াল ফেইসবুক পেজ’ এ বিষয়টি লিখিতভাবে জানান। পরবর্তীতে চকরিয়া থানার ওসি শাকের মোহাম্মদ যুবায়েরকে তদন্ত করে পিতৃপরিচয় নিশ্চিত কর‌তে বলা হয়। কি‌শো‌রের বিষয়টি নি‌শ্চিত কর‌তে প্রয়োজনীয় সকল উদ্যোগ নেয় থানা পুলিশ। এসআই গোলাম সারোয়ার রনির আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। পরে তার পিতৃপরিচয় নিশ্চিত হয় পুলিশ।

উভয়পক্ষের সম্মতিতে স্থানীয় গণ্যমান্য ব্যক্তি ও জনপ্রতিনিধির সহায়তায় কিশোরের পিতৃপরিচয়ের বিষয়টি সমাধান হয়। এখন সে সন্তান হিসেবে পিতার স্বীকৃতি পেয়েছে।

ঢাকাটাইমস/২৩জুন/এসএস/এমআর