বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কোকা-কোলার অবদান বছরে ১২২০ কোটি টাকা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৩ জুন ২০২১, ১৬:৩১

শীর্ষস্থানীয় কোমল পানীয় কোম্পানি কোকা-কোলা ২০১৯ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রায় ১২.২ বিলিয়ন টাকার অবদান রেখেছে। প্রতিষ্ঠানটির আর্থ-সামাজিক প্রভাব বা সোসিও-ইকোনমিক ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট (এসইআইএ) রিপোর্টে এই তথ্য উঠে এসেছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০১৯ সালে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে কোকা-কোলার অবদান মোট জিডিপির প্রায় ০.১১ শতাংশের সমান।

কোকা-কোলা বাংলাদেশের এসইআইএ রিপোর্টে আরও দেখা গেছে যে, ভোক্তারা কোকা-কোলা ক্রয় বাবদ ১ টাকা খরচ করলে প্রায় ৮৫ পয়সাই স্থানীয় অর্থনীতিতে যোগ হয়।

২০১৯ সালে বাংলাদেশের আয় ও কর্মসংস্থানের ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে কোকা-কোলার প্রভাব নিরূপণের জন্য অর্থনৈতিক পর্যালোচনার দায়িত্ব দেয়া হয় বিশ্বখ্যাত বিশেষায়িত পরামর্শক প্রতিষ্ঠান স্টুয়ার্ড রেডকুইনকে। নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ওয়েসলি লিওনটিফের ‘ইনপুট-আউটপুট’ পদ্ধতির মাধ্যমে এই অর্থনৈতিক পর্যালোচনা তৈরি করা হয়েছে। বিশ্বের অন্যান্য অর্থনীতিবিদরাও এ ধরনের গবেষণা পরিচালনার ক্ষেত্রে ওই পদ্ধতি ব্যবহার করে থাকেন।

কোকা-কোলা কোম্পানি পাঁচ দশকের বেশি সময় ধরে বাংলাদেশে তাদের কার্যক্রম চালিয়ে আসছে। এতে স্থানীয়দের কর্মসংস্থান তৈরি, সরকারকে ট্যাক্স প্রদান, পণ্য ও সেবা ক্রয় এবং সাপ্লাইয়ারদের কাছ থেকে প্রাথমিক যন্ত্রপাতি সংগ্রহ ও সামাজিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে সহায়তার মাধ্যমে কোম্পানিটি দেশের অর্থনীতিতে অবদান রেখে চলেছে। কৌশলগত দিক থেকেও বাংলাদেশ কোকা-কোলার জন্য বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ বাজারগুলোর একটি হিসেবে বিবেচিত।

তিনটি ভিন্ন ভিন্ন ইউনিটের সমন্বয়ে বাংলাদেশে দ্য কোকা-কোলা সিস্টেম গঠিত। ইউনিটগুলো যথাক্রমে- কোকা-কোলা বাংলাদেশ লিমিটেড (সিসিবিএল), ইন্টারন্যাশনাল বেভারেজ প্রাইভেট লিমিটেড (আইবিপিএল) এবং আব্দুল মোনেম লিমিটেড (এএমএল)। নিজস্ব প্ল্যান্ট দু’টির পাশাপাশি বোতলজাতকরণ ও সরবরাহ কার্যক্রমে বিনিয়োগের মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রাখছে কোকা-কোলা সিস্টেম।

কোকা-কোলা সিস্টেম ২০১৯ সালে বাংলাদেশে প্রায় ৬.১ বিলিয়ন টাকা সমমূল্যের পণ্য ও সেবা সংগ্রহ করেছে। এর মধ্যে ৭৫ শতাংশই নেয়া হয়েছে স্থানীয় উৎস থেকে। ফলে বাংলাদেশের হাজার হাজার বিক্রেতা বাড়তি লাভবান হয়েছে। কোকা-কোলার সকল ব্র্যান্ডই স্থানীয়ভাবে উৎপাদন করা হয় এবং বাংলাদেশি কর্মীরাই এদেশের ভোক্তাদের জন্য তা বাজারজাত করে থাকেন।

আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে কোকা-কোলা সিস্টেমের প্রভাবকে বেশ কয়েকটি ভাগে ভাগ করা যায়। যেমন- স্থানীয়ভাবে কাঁচামাল সংগ্রহ থেকে শুরু করে আপস্ট্রিমে পরোক্ষ প্রভাব রাখা, কোম্পানির মাধ্যমে তৈরি হওয়া প্রত্যক্ষ প্রভাব এবং বিক্রি ও সরবরাহের মাধ্যমে ডাউনস্ট্রিমে পরোক্ষভাবে রাখা সার্বিক প্রভাব।

প্রতি বোতল কোকা-কোলা উৎপাদনের ক্ষেত্রে প্রোডাকশন লাইন থেকে শুরু করে ভোক্তাদের হাতে পৌঁছানো পর্যন্ত পুরো প্রক্রিয়ায় বাণিজ্য, কৃষি, পরিবহন, উৎপাদন, খুচরা বিক্রয়, বিজ্ঞাপনসহ অন্যান্যখাতে গুরুত্বপূর্ণ নানান অবদান রয়েছে।

কোকা-কোলা সিস্টেম বাংলাদেশে প্রায় ২২ হাজার ১০০ কর্মসংস্থান তৈরি করেছে। এর মধ্যে প্রত্যক্ষভাবে প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে জড়িত রয়েছে ৮৩৩ জন। আর পরোক্ষভাবে কোকা-কোলার সঙ্গে সম্পৃক্ত মানুষের সংখ্যা প্রায় ২১ হাজার ৩০০। এই সংখ্যা বাংলাদেশের মোট কর্মসংস্থানের প্রায় ০.০৩ শতাংশ। কোম্পানির প্রতিটি প্রত্যক্ষ কর্মসংস্থানের সঙ্গে দেশের বাণিজ্য, পরিবহন, কৃষি, উৎপাদন ও অনান্য খাতের প্রায় ২৬টি কর্মসংস্থান সম্পৃক্ত রয়েছে। বাংলাদেশে কোকা-কোলা সিস্টেমের মাধ্যমে তৈরি হওয়া কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি সুবিধাভোগী রয়েছে বাণিজ্য খাতে। আর এর পরেই রয়েছে পরিবহন ও কৃষি খাত।

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপনের এই ঐতিহাসিক সময়ে এদেশে টেকসই ব্যবসা সম্প্রসারণের বিষয়ে কোকা-কোলা তার প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করছে।

(ঢাকাটাইমস/২৩জুন/এসকেএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

অর্থনীতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

অর্থনীতি এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :