কারাগারে আত্মহত্যা করলেন ম্যাক্যাফি অ্যান্টিভাইরাসের উদ্ভাবক

প্রকাশ | ২৪ জুন ২০২১, ১০:১৩ | আপডেট: ২৪ জুন ২০২১, ১১:৪৮

তথ্যপ্রযুক্তি ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

কারাগারে আত্মহত্যা করলেন বিখ্যাত অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ম্যাক্যাফির উদ্ভাবক ও সফটওয়্যার প্রোকৌশলী জন ম্যাক্যাফি। কর ফাঁকির মামলায় স্পেনের আদালত তাকে যুক্তরাষ্ট্রের হাতে তুলে দেয়ার অনুমোদন দেয়ার পরই তিনি আত্মহত্যা করেন।

বার্তা সংস্থা রয়টার্স জানিয়েছে ২৩ জুন স্পেনের একটি কারাগারে জন ম্যাক্যাফি আত্মহত্যা করেন।

ম্যাক্যাফির আইনজীবী জাভিয়ের ভিল্লালবা জানান, অ্যান্টিভাইরাসের সফটওয়্যার নির্মাতা জন ম্যাক্যাফি ৯ মাস ধরে কারাগারে ছিলেন। এতে তিনি হতাশার দিকে চলে যান। যা তাকে ফাঁসির দিকে নিয়ে যায়।

ম্যাক্যাফি ৮০ এর দশকে নিজ নামে ‘ম্যাক্যাফি’ প্রতিষ্ঠা করেন। এরপর ২০১১ সালে আরেক প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠান ইনটেলের কাছে ম্যাক্যাফি বিক্রি করেন। এরপর থেকে তিনি আর কোনো ব্যবসায় জড়াননি।

যুক্তরাষ্ট্রের ৭৫ বছর বয়সী এই ব্যবসায়ী খামখেয়ালি আচরণের জন্য পরিচিত। যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য নিষেধাজ্ঞা এড়াতে ক্রিপ্টোকারেন্সি ব্যবহারে কিউবাকে সাহায্য করতে চেয়েছিলেন ম্যাক্যাফি। 

এছাড়া যুক্তরাষ্ট্রে কর ফাঁকি দিয়েছেন, এ কথা নিজেই স্বীকার করেছিলেন তিনি। ২০১৯ সালে তিনি বলেছিলেন, আদর্শিক কারণে আট বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে কর দেন না তিনি। এরপর বিচার থেকে বাঁচতে যুক্তরাষ্ট্র ছাড়েন তিনি। সেই থেকে একটি বিলাসবহুল তরীতেই জীবন-যাপন করছিলেন ম্যাক্যাফি। তার সঙ্গে থাকতেন স্ত্রী জেনিস ম্যাক্যাফি, দুজন নিরাপত্তা প্রহরী, সাতজন কর্মী ও তার চারটি কুকুর।

সিবিসি নিউজের খবরে বলা হয়েছে, গত বছরের অক্টোবরে যুক্তরাষ্ট্রের টেনিসি অঙ্গরাজ্যে ম্যাক্যাফির বিরুদ্ধে কর ফাঁকির মামলা হয়। এ ছাড়া নিউইয়র্কে তার বিরুদ্ধে আনা হয় ক্রিপ্টোকরেন্সি সংক্রান্ত প্রতারণার একটি অভিযোগ।

মৃত্যুর পর ম্যাক্যাফির আইনজীবী জাভিয়ার ভিল্লালবা বলেন, ম্যাক্যাফিকে কারাগারে আটকে রাখার কোনো কারণ ছিল না। স্পেনের নিষ্ঠুর ব্যবস্থার শিকার হয়েছেন তিনি।

গত মাসে স্পেনে আদালতে শুনানিতে অংশ নিয়েছিলেন ম্যাক্যাফি। ওই সময় তিনি আদালতকে বলেন, তিনি যদি যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে দোষী প্রমাণিত হন তবে তাকে বাকি জীবন কারাগারেই থাকতে হবে।

স্পেনের পুলিশ জানায়, গত বছরের ৩ অক্টোবর প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের এই প্রতিষ্ঠাতা ব্রিটিশ পাসপোর্ট নিয়ে ইস্তাম্বুলে যাচ্ছিলেন। তখন তাকে বার্সেলোনা বিমানবন্দরে গ্রেফতার করা হয়। এরপর থেকে তার বিচার চলছিল স্পেনের আদালতে।

(ঢাকাটাইমস/২৪জুন/এজেড)