রমনা বটমূলে বোমা হামলা

সাত বছর ধরে মৃত্যুর প্রহর গুনছে দুই আসামি

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৪ জুন ২০২১, ১৪:৪৫

রমনার বটমূলে বোমা হামলার মামলায় আসামিদের মৃত্যুদণ্ড নিশ্চিতকরণ (ডেথ রেফারেন্স) ও আপিল শুনানির জন্য দিন নির্ধারণ করা হয়েছে। আগামী ২৪ অক্টোবর এ মামলার শুনানির জন্য পরবর্তী দিন নির্ধারণ করা হয়েছে।

বৃহস্পতিবার রাষ্ট্রপক্ষের এক সময় আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথ ও বিচারপতি এ এস এম আব্দুল মোবিনের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। আদালত তার আদেশে বলেন, রাষ্ট্রপক্ষকে শেষ সুযোগ হিসেবে এই সময় আবেদন মঞ্জুর করা হলো।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শাহীন আহমেদ খান। অপরদিকে আসামিদের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। এর আগেও কয়েকবার মামলাটি হাইকোর্টের একাধিক বেঞ্চে শুনানির জন্য এলেও দীর্ঘদিনেও নিষ্পত্তি হয়নি।

মামলার বিবরণ জানতে চাইলে আসামিপক্ষের আইনজীবী মোহাম্মাদ শিশির ঢাকাটাইমসকে বলেন, ২০০১ সালের ১৪ এপ্রিল রমনা বটমূলে বর্ষবরণ অনুষ্ঠানে বোমা হামলার ঘটনা ঘটে। একই দিন এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে হত্যা মামলা দায়ের করা হয়। ২০০৮ সালের ২৯ নভেম্বর পুলিশ তদন্ত রিপোর্ট জমা দেয়।

২০০৯ সালের ১৬ এপ্রিল বিচারিক আদালত ১৪ জনের বিরুদ্ধে দণ্ডবিধির ৩০২ এবং ১২০(খ) ধারায় অভিযোগ গঠন করেন। ২০০৯ সালের ৩ মে সাক্ষ্যগ্রহণ শুরু হয়। ২০১৪ সালের ৫ মে রাষ্ট্রপক্ষের ৬১ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ শেষ করা হয়। বিচারিক সকল কার‌্যক্রম শেষে ২০১৪ সালের ২৩ জুন ঢাকা ২য় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ রায় ঘোষণা করেন। আদালত ৮ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৬ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলো মুফতি আব্দুল হান্নান, মাওলানা আকবর হোসেন, আরিফ হাসান সুমন, মোহাম্মদ তাজ উদ্দীন, হাফেজ জাহাঙ্গীর আলম বদর, আবু বক্কর ওরফে হাফেজ সেলিম হাওলাদার, আব্দুল হাই ও শফিকুর রহমান। তাদের মধ্যে তাজ উদ্দিন, জাহাঙ্গীর আলম বদর, আবু বক্কর, শফিকুর রহমান ও আব্দুল হাই পলাতক রয়েছেন।

আর মুফতি আব্দুল হান্নানকে অন্য একটি মামলায় ফাঁসি কার্যকর করা হয়েছে। এখন ডেথ সেলে আছেন মাওলানা আকবর হোসেন ও আরিফ হাসান সুমন। যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন শাহাদাত উল্লাহ জুয়েল, সাব্বির, শেখফরিদ, আব্দুর রউফ, ইয়াহিয়া ও আবু তাহের। তারা সবাই কারাগারে।

২০১৪ সালের ২৫ জুন এ মামলার ডেথ রেফারেন্স হাইকোর্টের নথিভুক্ত হয়। ২০১৬ সালের ৭ এপ্রিল হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিমের নেতৃতাধীন বেঞ্চে এ মামলার শুনানি শুরু হয়। দীর্ঘ ৫৫ দিন শুনানি শেষে ২০১৭ সালের ৮ আগস্ট আদালত এ মামলা কার্যতালিকা থেকে বাদ দেন।

২০১৭ সালের ১৪ নভেম্বর তারিখে এ মামলায় হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুসের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চে পুনরায় শুনানি শুরু হয়। মামলাটি শুনানির জন্য ২৫১ দিন এ আদালতের কার্যতালিকায় আসে। রাষ্ট্রপক্ষের বারবার সময় আবেদনের ফলে এই বেঞ্চেও মামলাটি শুনানি করা সম্ভব হয়নি। ২০১৯ সালের ২৩ অক্টোবর বিচারপতি কৃষ্ণা দেবনাথের নেতৃত্বধীন বেঞ্চে শুনানির জন্য আসে।

২০১৯ সালের ১৪ নভেম্বর তারিখে মামলার আংশিক শুনানি হয়। পরবর্তীতে রাষ্ট্রপক্ষের ৭বার সময়ের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই মামলা ২০২১ সালের ৩০ মে তারিখ পর্যন্ত শুনানি স্থগিত ছিল। আজ ১৪ জুন শুনানির জন্য হাইকোর্ট বিভাগের কৃষ্ণা দেবনাথের নেতৃত্বাধীন বেঞ্চের কার্যতালিকার ১ নং ক্রমিকে আছে। ইতোমধ্যে হাইকোর্ট বিভাগেই ৭ বছর অতিবাহিত হয়েছে এবং ৩৭৫ বার এই মামলা শুনানির জন্য এসেছে। কিন্তু উক্ত আপিল/ডেথ রেফারেন্স এখনও শেষ হয়নি। মাওলানা আকবর ও আরিফ হাসান ৭ বছর ধরে ডেথ সেলে আছে।

(ঢাকাটাইমস/২৪জুন/এআইএম/কেআর)

সংবাদটি শেয়ার করুন

আদালত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

আদালত এর সর্বশেষ

সাবেক সচিব প্রশান্ত কুমারকে কারাগারে পাঠালেন আদালত

৩১ মার্চ পর্যন্ত ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম

বিচারপতির আসনে ছাদ বেয়ে পানি, বিচারকাজ বন্ধ ১৮ মিনিট

আগাম জামিন পেলেন অ্যাডভোকেট যুথিসহ চার আইনজীবী

জামিন নিতে এসে রায় শুনে পালিয়ে গেলেন হলমার্ক কেলেঙ্কারির আসামি

তিন মাসের মধ্যে সালাম মুর্শেদীকে গুলশানের বাড়ি ছাড়ার নির্দেশ

হলমার্ক কেলেঙ্কারি: তানভীর ও তার স্ত্রীসহ নয়জনের যাবজ্জীবন

সুপ্রিম কোর্ট বারে মারামারি: নাহিদ সুলতানা যুথীর জামিন শুনতে নতুন বেঞ্চ নির্ধারণ

পি কে হালদারের ১৩ সহযোগীর সাজা বাড়ানোর আবেদন দুদকের

ড. ইউনূসের সাজা ও দণ্ড স্থগিতের আদেশ হাইকোর্টে বাতিল

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :