মিঠাপুকুরে ধর্ষণের পর শিশু হত্যা: যুবক গ্রেপ্তার

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
| আপডেট : ২৫ জুন ২০২১, ১৫:৪৬ | প্রকাশিত : ২৫ জুন ২০২১, ১৫:৩২

রংপুরের মিঠাপুকুর উপজেলার সন্তোষ্পুরে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার ঘটনায় প্রধান আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। তার নাম রাজা মিয়া। এ সময় হত্যাকাণ্ডে ব্যবহৃত ব্লেড, কোদাল, বটি ও রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করা হয়।

শুক্রবার সকালে চাঞ্চল্যকর শিশু হত্যায় অভিযুক্তকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি ঢাকাটাইমসকে জানিয়েছেন মিঠাপুকুর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার (এএসপি) কামরুজ্জামান।

ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার তালমার এলাকায় অভিযান চালিয়ে রাজা মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।

এএসপি কামরুজ্জামান জানান, গত মে মাসের ২৫ তারিখ নিহত শিশুর পিতার চাচা মারা যাওয়ায় তারা সবাই তার দাফন নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। এ সময়ে শিশুটির মা ছাড়া বাড়িতে কেউ ছিলো না। শিশুটি মায়ের কাছ থেকে ১০ টাকা নিয়ে বিস্কুট কেনার জন্য দোকানে যায়। পথে ওই শিশুটির দেখা হয় প্রতিবেশী যুবক রাজা মিয়ার সঙ্গে। তিনিও শিশুটিকে আরও ১০ টাকা দিয়ে তার জন্য একটি বিস্কুট আনতে বলেন। শিশুটি নিজের জন্য এবং রাজা মিয়ার জন্য বিস্কুট এনে তার বাড়িতে দিতে যাওয়ার পর থেকেই নিখোঁজ ছিলো। এদিকে চাচার দাফন-কাফন শেষ করে শিশুটির পিতা বাড়ি ফিরে আসার পর তার স্ত্রী জানায়, তাদের মেয়েকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না। ঘটনার পরদিন থেকেই আত্মগোপনে চলে যান রাজা মিয়া। এতে তার উপর শিশুর পরিবারের সন্দেহ বাড়ে।

খবর পেয়ে মিঠাপুকুর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে ঘরের মেঝে খুড়ে শিশুটির লাশ উদ্ধার করে। পরে ঘাতক রাজা মিয়া ও তার নানী হালিমা বেগমকে আসামি করে মামলা দায়ের করে নিহতের পরিবার। আর হালিমা বেগমকে ঘটনাস্থল থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।

পুলিশের এ কর্মকর্তা আরও জানান, ঘটনার পরে রাজা মিয়া ধরা ছোঁয়ার বাইরে ছিলেন। গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬ টার দিকে ফরিদপুর জেলার নগরকান্দা থানার তালমার মোড় এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে রাজা মিয়া পুলিশকে জানিয়েছেন, ধর্ষণের সময়ে শিশুটি চিৎকার দিলে তার গলা টিপে ধরেন। এতে শিশুটির শ্বাস-প্রশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। হত্যাকাণ্ড আড়াল করার জন্য সবার সঙ্গে তিনিও শিশুটিকে খোঁজাখুজি শুরু করেন। পরে ঘটনার দিন রাত সাড়ে ১১ টার দিকে বাড়ি থেকে পালিয়ে যান। গ্রেপ্তারের পর রাজার দেয়া তথ্যানুযায়ী হত্যায় ব্যবহৃত বটি, কোদাল, রক্ত মোছার কাজে ব্যবহৃত লুঙ্গি ও পাশের বাড়ির পুকুর কাঁথা উদ্ধার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর আদালতে হত্যার দায় স্বীকার করে জবানবন্দি দিয়েছেন রাজা মিয়া।

(ঢাকাটাইমস/২৫জুন/এআর/ইএস)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :