বর্ষায় ভাইরাল সংক্রমণ থেকে বাঁচতে যেসব খাবার খাবেন

ফিচার ডেস্ক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৭ জুন ২০২১, ১০:৩২

বর্ষাকালে অনেকেরই অ্যালার্জি, স্কিন ইনফেকশন, হজমের সমস্যা, পেটের সমস্যা হয়। কারণ, রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যাওয়া। এই সময় চাই সঠিক ডায়েট। আবহাওয়ায় আর্দ্রতার পরিমাণ বেশি হওয়ার কারণে হজমশক্তি কমে যায়, তাই বর্ষার সময় অতিরিক্ত ভাজাপোড়া, স্ট্রিট ফুড ও রাস্তার যে কোনও খোলা খাবার এড়িয়ে চলুন। মুড়িতে কাটা শসা, পেঁয়াজ, রোল, চাউমিনে ব্যবহৃত স্যালাদ এ সময় না খাওয়াই ভালো। এর থেকে ডায়েরিয়া, টাইফয়েড, আমাশা, বদহজমের সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই সুস্থ থাকতে পাতে রাখুন এই খাবার।

হলুদ দুধ

যে কোনও ইনফেকশন থেকে রেহাই মেলে হলুদ থেকেই। এছাড়াও এর মধ্যে কারকিউমিন থাকায় তা আর্থ্রাইটিসের প্রতিরোধে সাহায্য করে। এমনও হয়েছে যে তাঁদের ব্যাথার ওষুধও কেতে হয়নি। এছাড়াও যাঁদের অ্যালঝাইমার্সের সমস্যা রয়েছে তাঁরা যদি এই দুধ নিয়মিত খান তাঁদের ব্রেনের কার্যকারিতা বাড়ে। এর সঙ্গে যদি দারুচিনি মিশিয়ে খান তাহলে পার্কিনসন'সের মতো রোগেরও উপশম হয়। হলুদ খেলে অবসাদ দূর হয়। হলুদের মধ্যে থাকে কারকিউমিন। দুধে হলুদ মিশিয়ে খেলে যাঁরা মানসিক অবসাদে ভুগছেন তাঁরা খুব ভালো ফল পাবেন।

লেবু

লেবু খাঁটি ভিটামিন সি দিয়ে সমৃদ্ধ এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য একটি দুর্দান্ত বিকল্প। লেবু আমাদের সংক্রমণ থেকে রক্ষা করে এবং হজম সিস্টেমকে সুস্থ রাখে। এ ছাড়া লেবুর ব্যবহার আমাদের হাড়কে মজবুত করে। লেবুর পাল্প মাংসের মতো পুষ্টিকর। বায়োঅ্যাকটিভ যৌগিক এবং ফ্ল্যাভোনয়েড সমৃদ্ধ, লেবু পাল্প + লেবু জাস্ট আপনার বর্ষার ডায়েটে একটি সুপারফুড। এটি মসুর ডাল বা সালাদ বা শাকসবজি হোক, আপনি আপনার ডায়েটে লেবুর রস ছিটিয়েও এটি খেতে পারেন।

মশলা চা

বর্ষা পড়লেই ধুম বাড়ে চা-কফি খাওয়ার। ঠান্ডা হাওয়ায় গরম চায়ের কাপে চুমুক দিতে মন্দ লাগে না। আর সেই আড্ডার সঙ্গী যদি হন বন্ধুরা তাহলে আরও ভালো। চা স্বাস্থ্যের জন্য এমনিই ভালো। আর তাতে যদি মেশে দুধ, এলাচ তাহলে সেই চায়ের স্বাস্থ্যগুণ বেড়ে যায় আরও খানিকটা। এছাড়াও এলাচের মধ্যে এমন কিছু উপাদান থাকে যা মন ভালো রাখে। ডায়াবিটিস , ডিপ্রেশনের মতো সমস্যা থেকেও মেলে মুক্তি। যে কারণে ক্যাফেগুলোতেও বর্ষার মেনুতে থাকে এই মশলা চা। তবে দুধ চা খাওয়া কতটা যুক্তিযুক্ত সেই নিয়ে তর্ক তো আছেই।

রসুন

স্বাস্থ্যরক্ষায় রসুন খাওয়ার চল বহু দিনের। খ্রিস্টপূর্ব ১৫০০ শতকে চীন ও ভারতে রক্ত পাতলা রাখার জন্য এর প্রচলন ছিল। আধুনিক চিকিৎসা বিজ্ঞানের জনক হিপোক্রেটিসও একে ব্যবহার করেছিলেন সারভাইকাল ক্যানসারের চিকিৎসায়। লুই পাস্তুর এর অ্যান্টিফাঙ্গাল ও অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল গুণের খবর জানান। সময়ের সঙ্গে আরও উপকারের কথা জানা গিয়েছে। আধুনিক বিজ্ঞানীরা জানালেন হৃদরোগ প্রতিরোধে এর ভূমিকার কথা। ইউনিভার্সিটি অফ কানেটিকাটের স্কুল অফ মেডিসিন–এর কার্ডিওভাসকুলার রিসার্চ টিমের বিজ্ঞানীদের দাবি, কাঁচা রসুন খেলে হার্ট অনেক বেশি সুস্থ থাকে। রক্তচাপ বশে রাখতেও তার ভূমিকা আছে।

আদা

কথায় বলে 'আদা সকল রোগ নিরাময়ে দাদা'। যার অর্থ আমাদের শরীরে সব রোগ নিরাময়ের জন্য আদা যথেষ্ট ভূমিকা রাখতে সক্ষম। আদায় রয়েছে পটাশিয়াম, আয়রণ, ম্যাগনেশিয়াম, ক্যালশিয়াম, ফসফরাস, সোডিয়াম, জিংক, ম্যাঙ্গানিজ, ভিটামিন এ, বি৬, ই ও সি এবং অ্যান্টি–ব্যাকটেরিয়াল এজেন্ট ও অ্যান্টি–ইনফ্লামেটরি এজেন্ট বিদ্যমান। যার কারণে সব বয়সী মানুষ আদা খেতে পারেন, বিশেষ করে শিশুদের জন্য আদা–মধু–জল সুস্থ দেহ ও সতেজ মনের জন্য খুবই কার্যকর। যাঁরা আমাশয়, পেটফাঁপা, পেটব্যথা-এসব সমস্যায় ভুগছেন, তাঁদের জন্য খাওয়ার পর এক কাপ গরম জলে এক চা–চামচ আদার রস মিশিয়ে খেলে আমাশয়, পেটফাঁপা, পেটব্যথা দূর হবে।

(ঢাকাটাইমস/২৭জুন/এজেড)

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :