ফেলনা নয় আমের খোসাও
আমের খ্যাতি সর্বজনবিদিত। আম ভালোবাসেন না, এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। আম পুষ্টিগুণে ভরপুর। আমে আছে প্রচুর পরিমাণে ক্যারোটিন, ভিটামিন বি, ভিটামিন সি, আয়রণ, ক্যালসিয়াম ও খনিজ লবণসহ শরীরের জন্য প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান। আমের যেমন গুণ তেমনি আমের খোসারও গুণ। আমরা যখনই আম খাই তখন ভাবি না যে এর খোসা কোনও উপকারে আসতে পারে। আমর সবাই আম খেয়ে খোসা ফেলে দিই কারণ এটির মিষ্টি স্বাদ হয় না। তবে আমের খোসা ছাড়ানোর পরে আপনি এগুলোকে যুক্ত করতে পারেন।
চোখের জন্য ভালো। এটি দৃষ্টিশক্তির জন্য ভালো, চোখের মণিকে সুরক্ষিত রাখে।
ত্বকের বলিরেখা দূর করতে খেতে পারেন আমের খোসা। আমের খোসার মধ্যে রয়েছে ভিটামিন সি। এটি ত্বক ভালো রাখে।
আপনি যদি ক্যানসারে ঝুঁকি কমাতে চান এর মধ্যে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। এর উপাদানগুলো ক্যানসার প্রতিরোধ করে।
রোদে শুকানোর পর ভেজে বা সেঁকে খেতে পারেন আমের খোসা। আমের খোসাও কিন্তু যথেষ্ট পুষ্টিকর। ভিটামিন ও মিনারেলে ভরপুর আমের খোসা স্বাস্থ্যের জন্য ভালো।
রক্তে বেশি সুগার থাকা ভালো লক্ষণ নয়। এতে কিডনি ও চোখ-সহ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গকে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। এতে ডায়াবেটিস হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়। পাশাপাশি শরীরে বাজে কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়। পরিণতিতে বেড়ে যায় হৃদরোগের ঝুঁকি।
বিশেষজ্ঞদের মতে, আমের খোসার উপাদান রক্তের সুগার ও কোলেস্টেরল কমাতে কাজ করে। আমের খোসা আর্থ্রাইটিস ও আলঝেইমার্স রোগের ঝুঁকি কমায়। এর মধ্যে আছে প্রদাহরোধী উপাদান। এটি শরীরের প্রদাহ প্রতিরোধে কাজ করে।
এছাড়া শক্ত মজবুত চুলের জন্য আমের খোসা চুলে লাগাতে পারেন। এতে চুলের বৃদ্ধি বাড়বে। খুশকির সমস্যা দূর করতেও আমের খোসা ভালোই কার্যকর।
আমের খোসা ভালোভাবে পানিতে ভিজিয়ে রেখে রাসায়নিক ও জীবাণুমুক্ত করে নেওয়া উচিত।
(ঢাকাটাইমস/২৭জুন/আরজেড/এজেড)