পাখিপ্রেমীদের জন্য বিখ্যাত কিছু জায়গা

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ২৮ জুন ২০২১, ১৯:৫২

বিশ্বে এমন কোনো স্থান পাওয়া যাবে না, যেখানে পাখি দেখতে পাওয়া যায় না। বিভিন্ন জাত, রঙ ও গড়নের পাখির সৌন্দর্য উপভোগ করে আমরা অভিভূত হয়ে যায়, মানসিক তৃপ্তি লাভ করি। কিন্তু পৃথিবীর সব জায়গায় কি বিরল প্রজাতির কিংবা মনোমুগ্ধকর পাখিগুলোর দেখা পাওয়া যায়? না।

পাখিপ্রেমীরা এখন কোনো নির্দিষ্ট জায়গায় আবদ্ধ নেই, তারা ঘুরতে যান পৃথিবীর বিভিন্ন অঞ্চলে। বিশ্বজুড়ে কিছু জায়গা আছে, যেগুলোতে বিশেষ কিছু পাখি দেখা যায় বা বিভিন্ন জাতের পাখি পর্যবেক্ষণ করার জন্য সেসব জায়গার কোনো বিকল্প নেই।

হাওয়াই, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র: রেড-ক্রেস্টেড কার্ডিনাল, হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের অন্যতম প্রধান আকর্ষণ। পাখিপ্রেমীরা প্রধানত হাওয়াই প্রদেশের চারটি দ্বীপে হাজির হন। কাওয়াই, ওয়াহু, মাউয়ি ও 'বিগ আইল্যান্ড অব হাওয়াই। এই চারটি দ্বীপে পাখিপ্রেমীরা বেড়াতে আসেন মূলত। বিভিন্ন দুর্লভ ও স্থানীয় পাখির পাশাপাশি এখানকার একটি পাখি আলাদা করে পর্যটকদের আকৃষ্ট করে। লাল মাথাবিশিষ্ট 'রেড-ক্রেস্টেড কার্ডিনাল' নামের এই পাখি দক্ষিণ আমেরিকা থেকে আসলেও বর্তমানে হাওয়াই দ্বীপপুঞ্জের প্রায় সব জায়গায় দেখতে পাওয়া যায়। এটি শুধু সুন্দরই নয়, এর ওড়ার ভঙ্গি পর্যটকদের বেশ আনন্দ দেয়।

কোস্টা রিকা, ল্যাটিন আমেরিকা: ল্যাটিন আমেরিকা বরাবরই পাখিপ্রেমীদের জন্য স্বপ্নের জায়গা। এজন্য এই অঞ্চলে পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর পাখিগুলো দেখতে পাওয়া যায়। কোস্টা রিকায় উনিশ প্রজাতির পাখি রয়েছে। প্রায় দুশো প্রজাতির পাখি 'পরিযায়ী পাখি' হিসেবে কোস্টা রিকায় মৌসুমের সময়ে এসে থাকে। জানুয়ারি থেকে এপ্রিল- এই সময় আবহাওয়া ভালো থাকায় বেশি পর্যটকের আগমন ঘটে। পৃথিবীবিখ্যাত হামিংবার্ড, লম্বা ঠোঁটের টোউকান কিংবা 'স্বর্গীয় পাখি' হিসেবে পরিচিত 'রেসপ্লিডেন্ট কুয়েটজাল' এখানকার প্রধান আকর্ষণ।

দক্ষিণ জর্জিয়া: আটলান্টিক মহাসাগরের দক্ষিণ দিকে অবস্থিত দ্বীপপুঞ্জগুলোর একটি হচ্ছে দক্ষিণ জর্জিয়া। এখানকার আবহাওয়া পেঙ্গুইনদের বসবাসের জন্য অত্যন্ত সহায়ক। সারাবছর পেঙ্গুইনরা এখানে অবস্থান করে, শীতকালে তাদের বিকল্প খুঁজতে হয় না।

ক্রুগার ন্যাশনাল পার্ক, দক্ষিণ আফ্রিকা: দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রুগার ন্যাশনাল পার্ক খ্যাতি লাভ করেছে মূলত 'বিগ সিক্স'-এর জন্য। বিগ সিক্স বলতে এখানে সবচেয়ে বেশি পরিমাণে পাওয়া বিখ্যাত পাঁচটি পাখিকে বোঝায়। কোরি বাস্টার্ড, মার্শাল ঈগল, ল্যাপেট-ফেসড শকুন, ফিশিং পেঁচার মতো পাখিগুলো পর্যবেক্ষণ করতে অনেক পর্যটক এখানে বেড়াতে আসেন। অন্য পাখিগুলো সচরাচর দেখা গেলেও নিশাচর ফিশিং পেঁচার দেখা পাওয়া এত সহজ নয়।

পাপুয়া নিউ গিনি: জীববৈচিত্র এবং বিভিন্ন সংস্কৃতির সম্মীলনে গড়ে ওঠা পাপুয়া নিউ গিনি পাখিপ্রেমীদের জন্য বিখ্যাত একটি জায়গা। 'বার্ডস অব প্যারাডাইজ' গোত্রের প্রায় ৩৮ প্রজাতির পাখির মধ্যে অনেক প্রজাতির অসংখ্য অনিন্দ্য সুন্দর পাখির দেখা মেলে এই দেশে। প্রতিবছর জুন থেকে অক্টোবরের মাঝামাঝি সময় এই দেশে শুষ্ক আবহাওয়া বিরাজমান করায় এই সময়ে বেশিরভাগ পাখিপ্রেমী বেড়াতে আসেন। র‍্যাগিয়ানা নামের একটি পাখি হচ্ছে পাপুয়া নিউ গিনির জাতীয় পাখি, যেটি শুধু এই দেশেই দেখতে পাওয়া যায়। চমৎকার এই পাখি তার সঙ্গীকে আকর্ষণ করার জন্য মনোমুগ্ধকর অঙ্গভঙ্গি করে থাকে, যেটি পাখিপ্রেমীদের চোখে শীতলতা এনে দেয়।

মানু ন্যাশনাল পার্ক, পেরু: পেরুতে বিভিন্ন প্রজাতির পাখির মিলনমেলা ঘটেছে। ল্যাটিন আমেরিকার আর দশটা দেশের মতো এখানেও অসংখ্য প্রজাতির পাখি দেখতে পাওয়া যায়, যেগুলো প্রতিবছর অসংখ্য পাখিপ্রেমীর আগমন ঘটায়। মানু ন্যাশনাল পার্কে প্রায় এক হাজার প্রজাতির পাখি দেখতে পাওয়া যায়। মজার ব্যাপার হচ্ছে, পৃথিবীর অনেক দেশেও এত বেশি পরিমাণ পাখির দেখা মেলে না। এন্টিপিট্টা, কক অব দ্য রক কিংবা ট্যানাজার্সের মতো পৃথিবীর সবচেয়ে সুন্দর পাখিগুলোর দেখা মিলবে এই পার্কে।

ঢাকাটাইমস/২৮জুন/এসকেএস

সংবাদটি শেয়ার করুন

ফিচার বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :