করোনায় আক্রান্ত হলে মুখ বেঁকে যেতে পারে

প্রকাশ | ২৯ জুন ২০২১, ০৮:০৫ | আপডেট: ২৯ জুন ২০২১, ০৮:১৫

স্বাস্থ্য ডেস্ক, ঢাকাটাইমস

প্রতিদিনই করোনায় আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা বাড়ছে। করোনাভাইরাস কোনো পরিবেশে যখন দীর্ঘদিন থাকে তখন তার মধ্যে কিছু পরিবর্তন ঘটতে থাকে।  এই অবস্থাকে বলা হয় মিউটেশন। ভাইরাসের জিনগত মিউটেশন ঘটে আর তা নতুন নতুন ধরনে আবির্ভূত হয়। ধরন বদলের সঙ্গে সঙ্গে পাল্টে যায় আক্রমণের গতিপ্রকৃতিও। শরীরে করোনা সংক্রমণের নতুন নতুন প্রভাবের কথা নিত্য ধরা পড়ছে গবেষণায়।

হালের এক গবেষণায় উঠে এসেছে ‘বেলস পালসি’ বা মুখের পক্ষাঘাতের সমস্যার কথা। চিকিৎসকদের দাবি, যারা টিকা নিচ্ছেন, তারা অনেক বেশি নিরাপদ এই সমস্যা থেকে। যারা টিকা নিচ্ছেন না, তাদের মধ্যে এই সমস্যায় আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা প্রায় ৭ গুণ বেশি।

সম্প্রতি ক্লিভল্যান্ড মেডিক্যাল সেন্টার হাসপাতাল বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসকেরা দেখিয়েছেন, করোনায় আক্রান্তদের প্রতি ১ লক্ষের মধ্যে প্রায় ৮২ জনের ‘বেলস পালসি’-তে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে। সেখানে যারা টিকা নিচ্ছেন, তাদের ক্ষেত্রে সংখ্যাটি কমে আসে প্রতি ১ লক্ষে প্রায় ১৯ জনে।

করোনায় যারা আক্রান্ত হচ্ছেন করোনার আক্রমণের ধরন অনুযায়ী তাদের ঠোঁটের এক প্রান্ত অন্য প্রান্তের তুলনায় ঝুলে যেতে পারে। চোখের আশপাশে পেশি শিথিল হয়ে যেতে পারে। চোখের পাতা পড়া বন্ধ হয়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে। হাসি বেঁকে যেতে পারে।

তবে টিকার পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নিয়েও প্রতিদিন সন্ধান চলছে। টিকা নেওয়ার কারণে ‘বেলস পালসি’ হতে পারে কি না, তা নিয়ে সন্ধান করতে গিয়েই ধরা পড়ে করোনার কারণে এটি হতে পারে। বিজ্ঞানীরা বলছেন, ভবিষ্যতে করোনা সংক্রমণ থেকে বাঁচতেই শুধু নয়, মুখের পক্ষাঘাতের মতো সমস্যা এড়াতেও টিকা নেওয়া দরকার। করোনা প্রতিরোধে মাস্ক পরা, সামাজিক দূরত্ব মেনে চলা আর টিকা নেওয়া জরুরি। এতে করে মৃত্যুঝুঁকি কমিয়ে দিতে সক্ষম।

(ঢাকাটাইমস/২৯জুন/আরজেড/এজেড)