আহমদ ছফা: মহাসিন্ধুর কল্লোল

সউদ আহমেদ খান
| আপডেট : ৩০ জুন ২০২১, ১০:৩৩ | প্রকাশিত : ৩০ জুন ২০২১, ১০:২৯

সাহিত্য সমাজের দর্পণস্বরূপ। সমাজ গঠনে সাহিত্যের দায় এড়ানো সম্ভব না। পৃথিবীর যে কোনো জাতির প্রতিনিধিত্ব করে সেই জাতির সাহিত্য। পৃথিবীতে যেসব জাতির সাহিত্যের মান যতো উঁচু দরের, জাতি হিসেবে ও তারা সে জাতির দর সবচেয়ে উঁচু মানের। অর্থ্যাৎ দেশ ও জাতির গঠনে সাহিত্যের দায় এড়ানো সম্ভব না।

সাহিত্যের অন্যতম দর্শন হচ্ছে জীবন সমালোচনা। একজন সাহিত্যিক তার লেখনির মাধ্যমে প্রাণ-প্রতিবেশ, সুখ-দুঃখ, প্রেম-প্রীতি জীবন ও ভালোবাসার ক্যানভাস এঁকেছিলেন। সাহিত্য ভাষাকে ঋদ্ধ করে, গণমনকে উদ্দীপ্ত করে, সৃষ্টিশীল মননশীলতা গঠন করে, শাসন-শোষণ বঞ্চনা থেকে মুক্তির সাহস যোগায়, ইতিহাস ঐতিহ্যকে সংরক্ষণ করে।

ভাষার ঋদ্ধতা, সৌষ্ঠ-সৌরভ বৃদ্ধি, মুক্তির আকাঙ্খা, সৃষ্টির চেতনা, প্রজন্মের দায় মেটানো ও জ্ঞানের তপস্যায় কালে কালে যেসকল মনীষী কবি-সাহিত্যিক এই বঙ্গদেশে অবতীর্ণ হয়েছিলেন আহমদ ছফা তাদের মধ্যে অন্যতম। বঙ্গদেশ বলার অন্যতম কারণ পূর্ব এবং পশ্চিম উভয় বঙ্গে তার সমসাময়িক তার মতো প্রভাব বিস্তারকারী সাহিত্যিক কম জন্মেছেন। তিনি শুধু সাহিত্য নয়, সমাজ ও দেশ গঠনের মহান ব্রতের শপথ নিয়েছিলেন। ধনুক ভাঙা পণ রক্ষা এবং প্রজন্মের দায় মেটাতে এড়িয়ে গেছেন জীবন সংসার ,অর্থ-বিত্ত ও খ্যাতির মোহের দায়। তাকে বুদ্ধিজীবি বললেও তার উপাধি পূর্ণতা পায়না। তিনি ছিলেন একজন দার্শনিক। একজন ফেরারি দেশপ্রেমিক।

১.

জীবন যাঁকে হেচকা টানে টানে গৃহ সমাজ-সংস্কারের বন্ধন খসিয়ে শিল্পতীর্থের যাত্রী করেছে, শিল্পের মানস-সায়রের উপকূলেই তো তাঁকে গৃহ সন্ধান করে নিতে হয়। (বাংলার চিত্র- ঐতিহ্যঃ সুলতানের সাধনা, আহমদ ছফা)। আহমদ ছফা তার বাংলা সাহিত্য আদর্শ প্রবন্ধে চারজন লেখক যথাক্রমে মাইকেল মধুসূদন দত্ত, বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এবং কাজী নজরুল ইসলামকে বাংলা সাহিত্যের আদর্শ বলে উল্লেখ করেছিলেন। “আহমদ ছফা শীর্ষস্খান দখল করতে না পারলেও তিনি বাংলা সাহিত্যে প্রথম পাঁচজন সাহিত্যিকের একজন। কাজী নজরুল ইসলামের পরে আহমদ ছফাই হচ্ছেন বাংলা মুসলিম সাহিত্যিকদের মধ্যে শ্রেষ্ঠ লেখক (ড. সলিমুল্লাহ খান)।” শব্দচয়ন, বাক্যগঠন, বিষয়বস্তু, কাহিনি আখ্যান সব দিকেই তার শিল্পের তুলির আঁচড়। তার লেখা যেনো শব্দের নহর, মিয়া তানসেনের তানপুরার সুরের ঝঙ্কার। তার বর্ণনায় প্রকাশিত হয় তুষারের শূভ্রতা, প্রেম নিবেদনে মাদকতা! আবার সমালোচনায় সূক্ষ্ণ তীরের তীক্ষ্ণতা। নারী মনের মনস্তাত্বিক ব্যাপার ও মানূষের আকাঙ্খা-কামনা কে তিনি এমনভাবে উপস্থাপন করেছেন, যা জীবন্ত মনে হয়। তার লেখা নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে সুদীপ্ত হান্নান বলেছেন, “আহমদ ছফা তার লেখনিতে প্রয়োজনের বাইরে একটি শব্দ ও ব্যবহার করেন নি।”

“কাঞ্চনঝঙ্ঘার অমল ধবল সূর্যালোক চমকানো তুষার চূড়ার মতো আমাকে আকর্ষণ করছো। আমি যতোদূর যাই, যতোদূর যেতে থাকি, কাঞ্চনঝঙ্ঘার ততোদূরে পিছাতে থাকে। ক্লান্ত হয়ে থমকে দাঁড়িয়ে যখন অদৃষ্টকে ধিক্কার দিতে থাকি সোনা-মাখানো কাঞ্চনঝঙ্ঘার সমস্ত তুষার মধুর হাসি ছড়িয়ে দিয়ে হাতছানিতে ডাকতে থাকে, এই তো আমি সেই কতোকাল দাঁড়িয়ে থেকে তোমার প্রতীক্ষা করছি।” (অর্ধেক নারী, অর্ধেক ঈশ্বরী)

লেখায় রসবোধ সৃষ্টি এবং হাসি ঠাট্টা, ব্যাঙ্গ-বিদ্রুপের মাধ্যমে ভাব প্রকাশে নিজস্ব শিল্পশৈলী সৃষ্টি করেছিলেন। সমাজ, সভ্যতার অসুখ কৌতুক, রসিকতার মাধ্যমে ফুটিয়ে তুলতেন। “বিশ্ববিদ্যালয়ের এলাকা উপাচার্যের গাভি একটা চমৎকার শ্লেষাত্মক শব্দবন্ধ হিসেবে পরিচিতি পেয়ে গেলো। যখন কোনো ছাত্র কোনো ছাত্রকে ইয়ার্কি করে তখন বলে তুই বেটা উপাচার্যের গাভি। শ্লেষ প্রকাশে, অবজ্ঞা প্রকাশে নির্মল রসিকতায় উপাচার্যের গাভি শব্দবদ্ধের ব্যাপক ব্যবহার বেড়ে গেল। উপাচার্যের গাভি শব্দবদ্ধ অল্প কিছুদিনের মধ্যেই তরুণ ছাত্র-ছাত্রীদের নানান ধরনের ভাব প্রকাশের মাধ্যম হয়ে দাঁড়াল। উপাচার্যের গাভি শব্দবদ্ধের অপব্যবহারকে কেন্দ্র করে দুইদল ছাত্রের মধ্যে জবরদস্ত মারামারি হয়ে গেলো….” (গাভি বৃত্তান্ত)

আহমদ ছফা হাস্য রসাত্মক সৃষ্টিতে, নতুন শব্দ উদ্ভাবনেও তিনি প্রতিভার ছাপ রেখেছেন। তার লেখা পুষ্প, বিহঙ্গ, বিহঙ্গ পুরাণ উপন্যাসে কাহিনির বর্ণনায় ইংরেজি ও বাংলা শব্দের মিশেলে ‘ফাকাইবো’ শব্দের সৃষ্টি করেন।

২.

একজন চিন্তাবিদ শুধুমাত্র কলম ধরেই তার চিন্তা চেতনার উন্মেষ ঘটাতে পারেন না, বাস্তব জগতেও তার বিচরণ থাকতে হয়। আহমদ যেনো নজরুলের বিদ্রোহী, শামসুর রাহমানের সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কাঁপা মহান পুরুষ। দেশের বুদ্ধিবৃত্তিক উৎকর্ষ বৃদ্ধিতে নানাবিধ দায়িত্ব পালন করেছিলেন। সে দায়িত্ববোধ পালনে একবার জাতীয় নির্বাচনে প্রার্থী ও হয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচনে বিপুল ব্যবধানে হেরে তার ভুল ভাঙে। তার প্রথম নিরিক্ষাধর্মী উপন্যাস “সূর্য তুমি সাথী” ছাপা হয় ১৯৬৭ সালে, যাতে তিনি সমাজ জীবনের রূঢ় বাস্তবতা তুলে ধরেন। ১৯৭১ সালে দেশের জন্য কিছু করার প্রয়াসে দেশের সকল স্বাধীনতা পন্থী বুদ্ধিজীবী লেখকদের সমন্বয়ে গঠন করেছিলেন ‘লেখক সংগ্রাম শিবির’।

তিনি, আহমদ শরীফ, ফরহাদ মজহার, সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, হূমায়ুন কবির প্রমুখ মিলে লেখক, সাহিত্যিকদের এক মঞ্চে আনতে স্বাধীন বাংলার প্রথম পত্রিকা ‘প্রতিরোধ’ নামক ট্যাবলয়েড কাগজ ছেপেছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে তার লেখা দুটি উপন্যাস ওঙ্কার এবং অলাতচক্র মুক্তিযুদ্ধের পূর্ববর্তী ও মুক্তিযুদ্ধের সময়কার কাহিনি বর্ণিত করেছেন। ঘুণেধরা সমাজ ব্যবস্থা এবং শিক্ষা ব্যবস্থার পচন তিনি হাড়েহাড়ে অনুধাবন করতে পেরেছিলেন। তারই প্রতিবিম্ব ফুটিয়ে তুলেছিলেন তার স্যাটায়ার ধর্মী কবিতার বই গো-হাকিম এবং গাভি বৃত্তান্ত উপন্যাসে।

শিক্ষাবিস্তারে তিনি গুরুত্বপূর্ণ উদ্যোগ নিয়েছিলেন। কাটাবনের বস্তি ও পথশিশুদের জীবনমুখী ও কারিগরি শিক্ষায় শিক্ষিত করতে দৈনিক ইত্তেফাকের সাংবাদিক নাজিমুদ্দীন মোস্তানের সহায়তায় “শিল্পী সুলতান কর্ম ও শিক্ষাকেন্দ্র” চালু করেন। তিনি ছিলেন রাজনৈতিক সচেতন এবং প্রতিবাদী কণ্ঠস্বর। রাজনৈতিক দর্শন ও তার নেহাৎ কম ছিল না। প্রচলিত রাজনীতির প্রতি বীতশ্রদ্ধ হয়ে গড়েছিলেন ‘জনসমাজ’ নামে রাজনৈতিক দল গড়েছিলেন। রাজনৈতিক দলের কর্মকান্ড পরিচালনা করতে সন্ত্রাস অসম্ভাব, কৃষক বাঁচানো, চোরাচালান রোধ, পরিবেশসম্মত গ্রামীণ অবকাঠামো, শিক্ষানীতির পরিবর্তনসহ সতেরোটি কর্মসূচি ঘোষণা করেছিলেন। রাজনীতি এবং রাজনৈতিক দল নিয়েও তার বিশ্লেষণ ছিলো চমৎকার। তিনি আওয়ামী লীগের প্রসঙ্গে বলেছিলেন, “মূলত আওয়ামী লীগেই একমাত্র দল যারা আমাদের জনগণের ঐতিহাসিক সংগ্রামের উত্তাপ থেকে জন্ম নিয়েছে এবং তার একটি ঐতিহাসিক ভিত্তি রয়েছে। মুশকিলের কথা আওয়ামী লীগ যখন যেতে তখন মুষ্টিমেয় নেতা বা নেত্রীর বিজয় সূচিত হয়। কিন্তু আওয়ামী লীগ যখন পরাজিত হয় গোটা বাংলাদেশটাই পরাজিত হয়।” (উত্তর ভূমিকা)

বাংলাদেশের কমিউনিস্ট রাজনীতিবিদদের নিয়ে তিনি বলেছিলেন, “কমিউনিস্টদের ব্যক্তিগত ত্যাগ তিতিক্ষা এত অধিক যে শ্রদ্ধা না করে পারা যায় না। কিন্তু তাঁরা যে মিথ্যার চর্চা করেন, তার জন্য লজ্জিত এবং দুঃখিত হওয়ার প্রয়োজন তারা আদৌ অনুভব করেন না” (একাত্তরঃ মহাসিন্ধুর কল্লোল)

আহমদ ছফা বাঙালি মুসলমান সমাজের রোগ ধরতে পেরেছিলেন। বাঙালি মুসলমানের কর্মকান্ডকে তিনি ‘অকেশনাল’ বলে উল্লেখ করেছেন। বাঙালি মুসলমান না বাঙালি, না মুসলমান। এই প্রসঙ্গ টানতে তিনি বাঙালি মুসলমানের মন প্রবন্ধে প্রাচীন পুঁথিসাহিত্য ও উপন্যাসে হিন্দু সাহিত্যিকদের মুসলমানদের বীরত্ব প্রকাশে মতো কাল্পনিক গায়েবি ক্ষমতা এবং চরিত্র টেনে আনার প্রসঙ্গ উল্লেখ করেছেন।

তিনি বলেছিলেন, ঐতিহাসিক চরিত্রসমূহ দিয়ে স্বদেশীয় সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের ওপর জোরারোপ করে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জনের জন্য হিন্দুরা যে সমস্ত বিষয় নিয়ে গর্ববোধ করত, সেই সমস্ত বিষয়ে মুসলিম লেখকেরা নিজেদের শ্রেষ্ঠ করে চিত্রায়িত করেছেন। যেমন আহমদ ছফা বলেছেন, 'হিন্দু সমাজের বীরেরা যদি পাতাল বিজয় করে বহাল তবিয়তে ফিরে আসতে পারেন, আমির হামজা দৈত্যের দেশে গমন করে তাদের শায়েস্তা করে আসতে পারেবেন না কেন? হিন্দুদের দেবতা শ্রীকৃষ্ণ যদি বৃন্দাবনে ষোলশত গোপীবালা নিয়ে লীলা করতে পারেন, মুহম্মদ হানিফার কি এতই দুর্বল হাওয়া উচিত যে মাত্র একটা ব্রাহ্মণ কন্যাকে সামলাতে পারবেন না' (বাঙালি মুসলমানের মন)

৩.

আহমদ ছফার পরিবেশ বোধ ও নেহাৎ কম ছিল না। নিঃসঙ্গ আহমদ ছফা প্রাণ-প্রতিবেশের মধ্যে নতুন আরেক সৃষ্টিশীলতা খুঁজে পেয়েছিলেন। তিনি বলেছিলেন, “মানুষ যদি বৃক্ষের শরাণাগত না হয়, তার জীবনীশক্তিই জীবনের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে থাকে।”

বৃক্ষের প্রতি ভালোবাসায় তিনি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইন্টারন্যাশনাল হলে থাকার সময় সামনের খালি জায়গায় আস্ত একটা সবজির বাগান করে বাগানের সবজি মানুষকে বিলাতেন। মানবজীবনের সাথে বিহঙ্গজীবন ও উদ্ভিদজীবনের যে একটি আবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক সে সম্পর্কের নানান মাত্রা প্রকাশ করতে তিনি ‘পুষ্প, বৃক্ষ ও বিহঙ্গ পুরাণ’ নামে একটি উপন্যাস লিখে ফেলেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরেরে আত্মকথন ছিন্নপত্রে জীবনবোধের উন্মেষ, জীবনানন্দ দাশের প্রকৃতির উপমা নির্ভর কবিতায় যে বোধের বিকাশ ঘটেছে, আহমদ ছফার লেখাটি একই প্রজাতির হয়েও কিছুটা স্বাতন্ত্র লাভ করেছে। “গাছের সাথে ফলের সংযোগ সূত্রটির যে মিলন বিন্দু , সেটাই পুষ্প। পুষ্পের মধ্যে গাছ এবং ফল দুই ই বর্তমান রয়েছে। যেমন গোধূলির মধ্যে দিন ও রাত যুগপৎ অবস্থান করে, তেমনি ফুলের মধ্যে বর্তমান এবং ভবিষ্যৎ এ ওর হাত ধরে সুখ নিদ্রায় শয়ান রয়েছে।” (পুষ্প, বৃক্ষ এবং বিহঙ্গ পুরাণ)

আহমদ ছফা সৃজনশীলতার ছাপ রেখেছিলেন সাহিত্যের সব জায়গাতেই। এমনকি সংগীত চর্চা ও করতেন। বেশ কয়েকটি গান ও রচনা করেছিলেন। তিনি তার গুরু জ্ঞানতাপস অধ্যাপক আব্দুর রাজ্জাকের যোগ্য শিষ্য হতে পেরেছিলেন। তিনিও গুরুর মতো অসংখ্য গুণগ্রাহী তৈরি করেছেন। অধ্যাপক ড. সলিমুল্লাহ খান, অর্থনীতিবিদ হোসেন জিল্লুর রহমান, চলচ্চিত্রকর তারেক মাসুদ, ফরহাদ মজহার প্রমুখ তার গুণগ্রাহী ছিলেন। তিনিই কালের গর্ভে হারিয়ে যেতে বসা এস.এম. সুলতান কে নতুন করে আবিষ্কার করেছিলেন এবং তাকে বিশ্ব দরবারে পরিচিত হতে সাহায্য করেছিলেন।

তিনি ছিলেন খ্যাতির উর্দ্ধে। তাইতো তিনি বেঁচে থাকতে তার রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতি জুটেনি। বাঙালি বুদ্ধিজীবী মহলে তিনি অনুচ্চারিত এক নাম। কিন্তু কালের দায় তো আর এড়ানো যায় না। আহমদ ছফার প্রজ্ঞা, অন্তর্দৃষ্টি, সৃজনশীলতার, মননশীলতা, ইতিহাসবোধ, ঐতিহ্যবোধ, মানবপ্রেম, সামাজিক দায়বদ্ধতা তাকে সাহিত্যিক পচিয়ের উর্দ্ধে আমাদের কালের চিন্তানায়কের মর্যাদায় অধিষ্টিত করেছে। তিনি চির অম্লান, চিরস্মরণীয়।

লেখক: সউদ আহমেদ খান

শিক্ষার্থী, শান্তি ও সংঘর্ষ অধ্যয়ন বিভাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়

সংবাদটি শেয়ার করুন

ভাষা, সাহিত্য ও সংস্কৃতি বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :