বিডিএসআই অ্যাওয়ার্ড পেলেন হবিগঞ্জের সিলভী

প্রকাশ | ০১ জুলাই ২০২১, ১৯:০৮

হবিগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস

হবিগঞ্জের চুনারুঘাটের সৈয়দা নাজনীন আহমেদ সিলভী ভলান্টিয়ার লিডারশিপ ক্যাটাগরিতে (ইনডিভিজ্যুয়াল সেকশন) বাংলাদেশ ডিজিটাল সোশ্যাল ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড-২০২১ (বিডিএসআই) পেয়েছেন। বিশ্বের ২৯টি দেশের বাছাইকৃত ১৫ জনের মধ্যে সিলেট বিভাগের এই সংগ্রামী নারী আন্তর্জাতিক মানের অ্যাওয়ার্ডটি লাভ করেন ।

বিজয়ী সিলভী চুনারুঘাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আলহাজ্ব আব্দুল কাদির লস্করের পুত্রবধূ ও হবিগঞ্জ জেলা যুবলীগের শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক আলহাজ্ব জিল্লুর কাদির লস্কর রিমনের সহধর্মিণী। সিলভীর বাড়ি মৌলভীবাজার জেলা সদরে। বর্তমানে সিলেট লিডিং ইউনিভার্সিটিতে এমবিএ-তে অধ্যয়নরত তিনি।

সম্প্রতি বিশ্বের ২৯ দেশের এ অ্যাওয়ার্ডের জন্য এক হাজার আটজন আবেদন করেন। এর মধ্য থেকে তিন ধাপে বাছাই কার্যক্রম হয়। এরপর সাত ক্যাটাগরিতে গ্রুপ ও ইনডিভিজ্যুয়াল সেকশনে সাত সামাজিক সংস্থা ও আট ব্যক্তিকে চুড়ান্ত বিজয়ী ঘোষণা করা হয়।

গত ২৪ জুন রাজধানীর তেজগাঁও স্কাই ভিউ রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ ডিজিটাল সোশ্যাল ইনোভেশন ফোরাম কর্তৃক আয়োজিত ডিজিটাল সামাজিক উদ্ভাবনের বৈশ্বিক প্রতিযোগিতা বাংলাদেশ ডিজিটাল সোস্যাল ইনোভেশন অ্যাওয়ার্ড-২০২১ এর চুড়ান্ত সাতটি ক্যাটাগরিতে বিজয়ীদের মাঝে অনুষ্ঠানিকভাবে পুরস্কার বিতরণ করা হয়।

সিলভী গত আট বছর ধরে বিভিন্ন এনজিও সংস্থার মাধ্যমে সামাজিক কর্মী হিসাবে কাজ করছেন। তিনি মহিলা ক্ষমতায়ন, লিঙ্গ সমতা এবং শিক্ষার মান উন্নয়নে সিলেট বিভাগের বিভিন্ন ক্ষেত্রে এসডিজি বাস্তবায়নে তার সামাজিক কাজ কেন্দ্রিক দৃষ্টিভঙ্গি, স্কুলগামী মেয়েদের স্ব-প্রতিরক্ষা প্রশিক্ষণ, প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বাচ্চাদের গুড টাচ-ব্যাড টাচ ক্যাম্পেইন এবং বিভিন্ন এনজিওর সহায়তায় সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের বিনামূল্যে ইংরেজি ক্লাস সরবরাহ শুরু করেছেন। তিনি অনেক জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক এনজিওর সঙ্গেও কাজ করছেন এবং শিগগিরই তিনি নিজস্ব সামাজিক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছেন যা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

সিলভী তার সংসার ও পড়ালেখার পাশাপাশি সামাজিক কার্যকলাপের জন্য অনেক জাতীয় এবং আন্তর্জাতিক পুরস্কার পেয়েছেন। ২০১৯ সালে অস্ট্রেলিয়া ক্যানবেরার রাজধানীর ইউনাইটেড নেশনস অ্যাসোসিয়েশনস আয়োজিত বাংলাদেশে এসডিজি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে ক্যানবেরার তরুণ পেশাদার আইন, পরামর্শদাতাদের একচ্ছত্র দল বিশ্বব্যাপী পরিবর্তনবিদ হিসাবে তাদের অভিজ্ঞতা বিষয়ক এক সেমিনারে অংশ নেন সিলভী।
বাংলাদেশ ডিজিটাল সোশ্যাল ইনোভেশন ফোরাম জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যসমূহ নিয়ে প্ল্যাটফর্ম হিসাবে কাজ করে। এই বছরের ইভেন্টের চূড়ান্ত বিজয়ীরা বৃত্তি, ফেলোশিপ এবং স্পনসরশিপের মাধ্যমে ৫০ শতাংশ ব্যয়ে উন্নত বিশ্বে পাড়ি জমানোর সুযোগ পাবে। এ প্রতিযোগিতায় যারা অংশ নিয়েছেন তাদের সর্বাধিক মর্যাদাপূর্ণ পুরস্কারে স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে।

অ্যাওয়ার্ড পেয়ে সিলভী সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, এ অর্জন আমার একার নয় এটি গোটা সিলেটবাসীর। তাই সিলেট বিভাগের প্রতি আমার দায়িত্ব বেড়ে গেল। ইতোমধ্যে আমার নিজস্ব উদ্যোগে সামাজিক সংগঠন গঠনের কাজ চলছে। এ সংগঠনটি তৃণমূল পর্যায়ে শিক্ষাবঞ্চিত শিশু, নারী শিশুর অধিকার আদায়ে কাজ করবে। এজন্য সকলের সহযোগীতা কামনা করছি।

বিডিএসআইএফের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বলেন, আমাদের আয়োজনের মূল বিষয় থাকে জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনের উদ্দেশে প্রযুক্তি ব্যবহার করে সামাজিক উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডকে বিশ্বব্যাপী তুলে ধরা ও বিশেষ সম্মাননা দেওয়া, যার মাধ্যমে যুবসমাজ যেন সামাজিক উন্নয়নমূলক কাজে উদ্বুদ্ধ হয়। এ বছর আমরা করোনা পরিস্থিতে যেসব কার্যক্রম ব্যক্তিগত বা গ্রুপের মাধ্যমে এগিয়েছে তাদের পুরস্কৃত করেছি।

(ঢাকাটাইমস/১জুলাই/পিএল)