চিলমারীতে ভাঙন আতঙ্কে ১১ গ্রামের মানুষ

মমিনুল ইসলাম বাবু, কুড়িগ্রাম
 | প্রকাশিত : ০২ জুলাই ২০২১, ১১:৩৭

বছর ঘুরে বছর আসে, এক বর্ষা ঘুরে আসে আরেক বর্ষা মৌসুম। আর প্রতিবছর বর্ষা মৌসুম শুরুর পরপরই কুড়িগ্রামের চিলমারীতে ব্রহ্মপুত্র নদের দুই পাড়ের মানুষদের মধ্যে আসে ভাঙন আতঙ্ক। অথচ কার্যকর কোনো পদক্ষেপই নেওয়া হয় না ভাঙন রোধে। এবারও আষাঢ় মাসের অর্ধেক যেতে না যেতেই উপজেলার চার ইউনিয়নের ১১টি গ্রামের মানুষ পড়েছেন নদী ভাঙনের চরম আতঙ্কের মধ্যে।

উপজেলার অষ্টমীর চর ইউনিয়নের নটারকান্দি, চর মুদাফৎথানা, চিলমারী ইউনিয়নের কড়াইবরিশাল, পশ্চিম মনতোলা, গাজীরপাড়া, নয়ারহাট ইউনিয়নের দক্ষিণ খাউরিয়ার চর, ২০ বিঘা, নায়ের চরসহ ১১ টি গ্রামের আড়াই শতাধিক বাড়ীঘর ও ৭ শতাধিক বিঘা ফসলি জমি নদে বিলীন হয়ে গেছে।

রমনা খরখরিয়া সাতঘরি পাড়া এলাকার বাসিন্দা ফাহমিদুল হক, জয়নাল অভিযোগ করে বলেন, পানি উন্নয়ন বোর্ড ভাঙন কবলিত এলাকায় যে বালুর বস্তা ফেললে তা গভীরে ফেলা হচ্ছে না। কোন রকমে লোক দেখানো কাজ হচ্ছে। এটা টেকসই কোনো উপায় না।

চিলমারী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান গওছল হক মন্ডল বলেন, কয়েকদিনের ব্যবধানে আমার ইউনিয়নের দুটি গ্রামের ডের শতাধিক ঘর-বাড়ি ও ২ শতাধিক বিঘা ফসলি জমি নদে বিলীন হয়ে গেছে। বিষয়টি সংশ্লিষ্ট দপ্তরে জানানো হয়েছে।

নয়ারহাট ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আবু হানিফা বলেন, মহামারীকালে নদের ভাঙন ‘মরার উপর খাড়ার ঘাঁ’ হয়ে দেখা দিয়েছে। ক্ষতিগ্রস্থদের পূনবাসন ও ভাঙন রোধে সংশ্লিষ্ট দপ্তরের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছি।

এ বিষয়ে চিলমারী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মাহ্বুবুর রহমান বলেন, ক্ষতিগ্রস্থদের তালিকা করে তাদের সহযোগীতা করা হবে। এছাড়া ভাঙন কবলিত এলাকায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য পানি উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে। তাদের ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।

(ঢাকাটাইম/২জুলাই/পিএল)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

বাংলাদেশ এর সর্বশেষ

এই বিভাগের সব খবর

শিরোনাম :