নারায়ণগঞ্জে শিক্ষকের নগ্ন ভিডিও ধারণের অভিযোগে একজন গ্রেপ্তার

নারায়ণগঞ্জ প্রতিনিধি, ঢাকাটাইমস
 | প্রকাশিত : ০২ জুলাই ২০২১, ২০:৪৪

নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় এক শিক্ষককে ডেকে পরিকল্পিতভাবে অন্য নারীর সঙ্গে নগ্ন ভিডিও করে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করার অভিযোগে মো. সালাউদ্দিন শেখ ওরফে জনি (৩৫) নামে একজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব-১১। গ্রেপ্তার জনি ফতুল্লা থানার শিয়াচর পিলকুনি এলাকার মৃত সামছুদ্দোহার ছেলে।

দীর্ঘ দিন ধরে নগ্ন ভিডিওর কথা বলে বিভিন্নভাবে ভয় দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইলিং করে যাচ্ছিলেন জনিরই বড় ভাই শিক্ষক আবু নাঈম মো. রাফিকে। এ ঘটনায় ব্ল্যাক মেইলিংয়ের শিকার রাফি শুক্রবার ফতুল্লা মডেল থানায় মামলা করেছেন। এর আগে বাদী গত ২৪ জুন ঘটনার বিস্তারিত জানিয়ে র‍্যাব-১১ বরাবর লিখিত অভিযোগ দেন।

মায়ের অসুস্থতার কথা বলে শিক্ষক বড় ভাইকে বাসায় ডেকে এনে নারীর ফাদেঁ ফেলে দৈহিক মেলামেশার ভিডিও ধারন করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দেবার হুমকি দিয়ে টাকা দাবি করেন জনি। পরে র‍্যাব-১১-এর সদস্যরা ঘটনার সত্যতা পেয়ে বৃহস্পতিবার রাতে ফতুল্লা থানার পিলকুনিস্থ ফাতেমা আবাসন নামক দোতালা ভবনের দ্বিতীয় তলায় অভিযান চালিয়ে জনিকে আটক করে। এ সময় তার নিকট থেকে ধারন করা ভিডিওসহ ভিডিও ধারন করার কাজে ব্যবহৃত মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়।

মামলার অভিযোগে বলা হয়, পিলকুনির সামসু উদ্দিনের ছেলে মামলার বাদী আবু নাঈম মো. রাফি একজন শিক্ষক। তার ছাত্র আবুল কালাম আজাদের ছোট ভাই গ্রেপ্তার জনি। সেই পরিচয়ের সূত্র ধরে গত ২৩ জুন জনি তার মায়ের অসুস্থতার কথা বলে রফিকে মোবাইল ফোনে বিকাল ৫টার দিকে বাসায় ডেকে নিয়ে আসেন। বাসায় এলে এক অজ্ঞাত তরুণীকে নিয়ে এসে জনি জানায় যে মেয়েটিকে চাকরি দিতে হবে।

এ সময় রফির অজ্ঞাতসারে তাকে কোকের সঙ্গে যৌন উত্তেজনার ট্যাবলেট মিশিয়ে দেন জনি এবং রাফি সেটি সেবন করেন। এ সময় উপস্থিত তরুণী তাকে চাকরির জন্য বিভিন্ন অঙ্গ ভঙ্গিমায় তাকে আকৃষ্ট করে দৈহিক মিলনে প্রলুব্দ করে। তখন রফি নিজেকে সামলাতে না পেরে তরুণীর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্কে লিপ্ত হন।

ওই সময়ের পুরো চিত্র জনি গোপনে ভিডিও ধারন করে রাখেন। পরে রাত ১০ টার দিকে রাফিকে মোবাইল ফোন করে জনি জানান যে, তরুণীর সম্পর্কের বিষয়টি ভিডিও ধারন করা হয়েছে এবং তা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে দিয়ে তাকে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করা করা হবে। এ থেকে বাঁচতে তার কাছ থেকে পাঁচ লাখ টাকা দাবি করা হয়।

গ্রেপ্তার জনির বিরুদ্ধে ফতুল্লা মডেল থানায় ধর্ষণ ও হত্যার মামলা রয়েছে। মাদক ব্যবসাসহ নারী দিয়ে ফাঁদ তৈরি করে ব্ল্যাক মেইলিংয়েরও বহু সংখ্যক অভিযোগ রয়েছে জনির বিরুদ্ধে। সর্বশেষ তিনি ২০১৮ সালে খাবারের সঙ্গে ট্যাবলেট মিশিয়ে অচেতন করে এক শিশুকে ধর্ষণ করেন। সেই মামলায় দুই বছরেরও বেশি সময় কারাগারে আটক থাকার পর জামিনে বেরিয়ে আসেন। এরপর তার পুরোনো দুই সহোযোগী তোফাজ্জল হোসেন ওরফে মেজর ওরফ তুজু ডাকাত ও আলম ওরফে মাইচ্ছা আলমকে সঙ্গে নিয়ে নিজ বাড়িতে বসেই ব্ল্যাকমেইলিংসহ নানা অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড শুরু করেন।

ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রকিবুজ্জামান জানান, ব্ল্যাক মেইলিং করার অভিযোগে জনির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে অভিযোগের বিষয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। তার সঙ্গে কে জড়িত রয়েছে তাও খতিয়ে দেখা হবে।

(ঢাকাটাইমস/২জুলাই/কেএম)

সংবাদটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :