ভোলায় তুচ্ছ ঘটনায় বাবা-ছেলেকে কুপিয়ে জখম
ভোলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে মো. মনির হাওলাদার ও মো. রাজিব নামে বাবা-ছেলেকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে জখম করা হয়েছে। তাদেরকে পরিবারের সদস্যরা স্থানীয়দের সহযোগিতায় উদ্ধার করে রক্তাক্ত অবস্থায় ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেন। শনিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সদর উপজেলার বাপ্তা ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের হাজিরহাট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আহত মনিরের স্ত্রী নাজমা বেগম অভিযোগ করে বলেন, প্রায় এক বছর আগে তাদের বাড়ির পাশের মো. গিয়াস উদ্দিনের ছেলে মো. দোলনের সঙ্গে একই এলাকার বাড়ির পাশের এক মেয়ের প্রেমের সম্পর্ক ছিল। বিষয়টি একদিন নাজমা বেগম দেখে পেলে। পরে দোলন নাজমা বেগমকে কাউকে কিছু না বলার জন্য হুমকি ও মারধর করেন।
পরে স্থানীয়ভাবে বিষয়টি নিয়ে শালিস মীমাংসা হয়। এ ঘটনায় ওই মেয়ের সঙ্গে দোলনের প্রেমের সম্পর্ক ভেঙে যায়। এতে দোলনসহ তার পরিবারের সদস্য ক্ষিপ্ত হয়ে তাদের পরিবারের সদস্যদের বিভিন্ন সময় মেরে ফেলার হুমকি দেয়। বিভিন্ন সময়ে লোকজন দিয়ে তাদেরকে হুমকি-ধামকি দিতে থাকে। এ অবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাতে নাজমা বেগমের ছেলে রাজিব বাড়ির দড়জায় বসে বন্ধুদের সঙ্গে আড্ডা দিচ্ছিল। এতে দোলনের বাবা গিয়াস রাজিবকে গালমন্দ করেন। এতে রাজিবের সঙ্গে গিয়াসের বাকবিতণ্ডা হয়। পরে বিষয়টি নিয়ে রাজিবের বাবার কাছে বিচার দেন গিয়াসউদ্দিন।
এ ঘটনার সূত্র ধরে গিয়াসের ছেলে দোলন স্থানীয় হাজিরহাট বাজারে বেলা ১১টার দিকে রাজিবকে জনসম্মুখে এলোপাতাড়ি মারধর করে।
নাজমা জানান, রাজিবকে মারধরের বিষয়ে তার বাবা মনির দোলনের বাবাকে জানানোর জন্য তাদের ঘরে যান। এতে গিয়াস নিজের ছেলের বিচার না করে উল্টো ছেলে মেয়ে ও স্ত্রীকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে রাজিব ও তার বাবা মনিরকে কুপিয়ে জখম করেন। এ অবস্থায় তারা দুজন গুরুরত আহত হলে স্থানীয়দের সহায়তায় তাদের রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে ভোলা সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তারা বর্তমানে ভোলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
ভোলা সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি ) মো. এনায়েত হোসেন বলেন, ‘বিষয়টি আমরা শুনেছি। তবে এখনও কেউ আমাদের কাছে অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
(ঢাকাটাইমস/৩জুলাই/কেএম)