আর কেউ সাহস করলেন না

শফিকুল ইসলাম সবুজ
| আপডেট : ০৪ জুলাই ২০২১, ১৬:৪২ | প্রকাশিত : ০৪ জুলাই ২০২১, ১৩:৪৫

আমাদের কাছে রানওয়ে মাঠ। সরকারের খাতায় জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ড। শৈশব কৈশোরের সব স্মৃতিই এই মাঠকে ঘিরে। ২০০৪ সালে ১২ ফুট উঁচু দেয়াল দিয়ে বন্ধ করে দেয়া হয় আমাদের খেলার মাঠটি (আগে পাকিস্তান আমলের ছোট দেয়াল ছিলো)। যেন গলা টিপে নিঃশ্বাস বন্ধ করে দেয়া হয়েছে আমাদের।

আনিসুল হক মেয়র হওয়ার পর একবার তার ইন্টারভিউ শেষে বলেছিলাম, ভাই আমাদের এলাকায় বিশাল একটি খোলা জায়গা আছে, আপনি উদ্যোগ নিলে পারেন কিছু জায়গায় খুলে দিতে ( কারণ তাঁর ভাই তখন সেনাপ্রধান)। জিজ্ঞেস করলেন কোথায়? বললাম, পুরাতন এয়ারপোর্ট।

বললেন, বোকা সশস্ত্র বাহিনীর জায়গায় মাঠ বানাবো? সিটি করপোরেশনের ঘাড়ে কয়টা মাথা। তবে ওটা নিয়ে এরইমধ্যে আমি কাজ শুরু করেছি। যা তোমরা জানো না। জিজ্ঞেস করলাম কি কাজ? ঢাকার মধ্যে এতোবড় একটা জায়গা থাকবে যার পাশে দাঁড়িয়ে কেউ নিঃশ্বাস নিতে পারবে না? সবুজ প্রকৃতি দেখতে পারবে না তা হতে পারে না। সাথে সাথে একটা ফাইল বের করলেন। যেখানে পুরাতন এয়ারপোর্ট নিয়ে করা একটা ডিজাইনের লে-আউট দেখালেন। বললেন কাজ অনেকখানি এগিয়েছে। সংশ্লিষ্টদের সাথে বৈঠকও হয়েছে।

আরো বললেন, মাঠ ফেরত দিতে না পারলেও পুরান এয়ারপোর্ট ঘিরে হাঁটার জায়গা দিতে পারবো। যেমনটা করেছি শেরে-এ- বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের দক্ষিণ পাশের, অর্থাৎ বাণিজ্য মেলার পাশের রাস্তার দেয়াল ভেঙে উঁচু গ্রীল দিয়েছি। ৬ ফুট প্রস্থের হাঁটার রাস্তা। যেমনটা হবে তোমাদের এয়ারপোর্ট ঘিরে। আনিস ভাই চলে গেলেন, আর কেউ সাহস করলেন না। করোনাবন্দী সময়ে আজকে বিকেলে ছাদ থেকে রানওয়ে মাঠের দিকে তাকিয়ে প্রিয় আনিস ভাইর কথা মনে পড়লো। আপসোস এই প্রজন্মের জন্য। আমার সন্তানের খেলার মাঠ চার দেয়াল।

লেখক: সাংবাদিক

সংবাদটি শেয়ার করুন

মুক্তমত বিভাগের সর্বাধিক পঠিত

বিশেষ প্রতিবেদন বিজ্ঞান ও তথ্যপ্রযুক্তি বিনোদন খেলাধুলা
  • সর্বশেষ
  • সর্বাধিক পঠিত

শিরোনাম :